বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা

সিনহা হত্যার স্বীকারোক্তি এপিবিএন সদস্য আবদুল্লাহর

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ হত্যার আসামি কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বহিষ্কৃত সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে আরেকটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১০ লাখ টাকা দাবি করে পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে আরও পাঁচ লাখ টাকা না দেয়ায় টেকনাফের মাহমুদুর রহমান নামের এক প্রবাসীকে ক্রসফায়ারের নামে হত্যার অভিযোগ এনে আদালতে এ মামলার এজাহার দায়ের করা হয়েছে।

গতকাল কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-৩ আদালতে এজাহারটি দায়ের করা হয়। বিচারক মো. হেলাল উদ্দিন শুনানি শেষে এজাহারটি মামলা হিসেবে রুজু না করে ওই ঘটনায় অন্য কোন হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে কিনা তা জানাতে টেকনাফ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। এতে অভিযুক্তদের মধ্যে ওসি প্রদীপসহ ১৬ জন পুলিশের সদস্য। অন্যরা চৌকিদারসহ স্থানীয় প্রভাবশালী। অভিযুক্তরা হলেন, টেকনাফ থানার এসআই দিপক বিশ্বাস, ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, এসআই জামসেদ আহমদ, ওসি তদন্ত এবিএমএস দোহা, এসআই দীপংকর কর্মকার, এএসআই হিল্লোল বড়ুয়া, এএসআই ফরহাদ হোসেন, এএসআই আমির হোসেন, এএসআই সনজিৎ দত্ত, কনস্টেবল রুবেল শর্মা, কনস্টেবল সাগর দেব, ড্রাইভার জহির, কনস্টেবল হৃদয়, ব্যাটালিয়ন কনস্টেবল সৈকত, ব্যাটালিয়ন কনস্টেবল প্রসেনজিৎ, ব্যাটালিয়ন কনস্টেবল উদয়, হ্নীল সিকদার পাড়ার মৃত মোস্তফা কামালের পুত্র নুরুল আমিন প্রকাশ নুরুল্লাহ দফাদার, একই এলাকার মৃত আবু শামার পুত্র জাহাঙ্গীর আলম, নাটমুরা পাড়ার নজির আহমদের পুত্র নুরুল হোছাইন, সিকদার পাড়ার আলোর পুত্র ভূট্টো, মৃত তোফায়েল আহমদের পুত্র আনোয়ারুল ইসলাম ননাইয়া, পূর্ব পানখালীর আবুল হাশেমের পুত্র নুরুল আলম, মৃত নবী হোসেনের পুত্র নুরুল আমিন।

মামলার বাদী নুরুল হোছাইন দায়ের করা এজাহারে উল্লেখ করেছেন, প্রবাস থেকে ফেরত আসার পর পুলিশ তার ভাইয়ের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ টাকা না দেয়ায় ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ তার ভাইকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। ছেড়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিলেও ৩১ মার্চ তার ভাইকে হত্যা করা হয়।

বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. কাসেম আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এজাহারটি পর্যালোচনা করে আদালত আগামী ৭ সেপ্টেম্বর বন্দুকযুদ্ধ সংক্রান্ত টেকনাফ থানায় দায়ের করার মামলার বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করতে আদেশ দিয়েছেন। তিনি আরও জানান, তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে কোন সময় কোন মামলা ছিল না। পরিকল্পিতভাবে তার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। এরপর থেকে পুলিশের পক্ষে ধারাবাহিক হুমকি প্রদান করা হয়। নিরাপত্তার কারণে এতদিন মামলা করার সুযোগ ছিল না। এখন সুযোগ হয়েছে তাই মামলা করেছেন।

বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট ২০২০ , ৭ মহররম ১৪৪২, ২৭ আগস্ট ২০২০

ক্রসফায়ারের নামে হত্যা

বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা

সিনহা হত্যার স্বীকারোক্তি এপিবিএন সদস্য আবদুল্লাহর

প্রতিনিধি, কক্সবাজার

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ হত্যার আসামি কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বহিষ্কৃত সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে আরেকটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১০ লাখ টাকা দাবি করে পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে আরও পাঁচ লাখ টাকা না দেয়ায় টেকনাফের মাহমুদুর রহমান নামের এক প্রবাসীকে ক্রসফায়ারের নামে হত্যার অভিযোগ এনে আদালতে এ মামলার এজাহার দায়ের করা হয়েছে।

গতকাল কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-৩ আদালতে এজাহারটি দায়ের করা হয়। বিচারক মো. হেলাল উদ্দিন শুনানি শেষে এজাহারটি মামলা হিসেবে রুজু না করে ওই ঘটনায় অন্য কোন হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে কিনা তা জানাতে টেকনাফ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। এতে অভিযুক্তদের মধ্যে ওসি প্রদীপসহ ১৬ জন পুলিশের সদস্য। অন্যরা চৌকিদারসহ স্থানীয় প্রভাবশালী। অভিযুক্তরা হলেন, টেকনাফ থানার এসআই দিপক বিশ্বাস, ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, এসআই জামসেদ আহমদ, ওসি তদন্ত এবিএমএস দোহা, এসআই দীপংকর কর্মকার, এএসআই হিল্লোল বড়ুয়া, এএসআই ফরহাদ হোসেন, এএসআই আমির হোসেন, এএসআই সনজিৎ দত্ত, কনস্টেবল রুবেল শর্মা, কনস্টেবল সাগর দেব, ড্রাইভার জহির, কনস্টেবল হৃদয়, ব্যাটালিয়ন কনস্টেবল সৈকত, ব্যাটালিয়ন কনস্টেবল প্রসেনজিৎ, ব্যাটালিয়ন কনস্টেবল উদয়, হ্নীল সিকদার পাড়ার মৃত মোস্তফা কামালের পুত্র নুরুল আমিন প্রকাশ নুরুল্লাহ দফাদার, একই এলাকার মৃত আবু শামার পুত্র জাহাঙ্গীর আলম, নাটমুরা পাড়ার নজির আহমদের পুত্র নুরুল হোছাইন, সিকদার পাড়ার আলোর পুত্র ভূট্টো, মৃত তোফায়েল আহমদের পুত্র আনোয়ারুল ইসলাম ননাইয়া, পূর্ব পানখালীর আবুল হাশেমের পুত্র নুরুল আলম, মৃত নবী হোসেনের পুত্র নুরুল আমিন।

মামলার বাদী নুরুল হোছাইন দায়ের করা এজাহারে উল্লেখ করেছেন, প্রবাস থেকে ফেরত আসার পর পুলিশ তার ভাইয়ের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ টাকা না দেয়ায় ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ তার ভাইকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। ছেড়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিলেও ৩১ মার্চ তার ভাইকে হত্যা করা হয়।

বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. কাসেম আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এজাহারটি পর্যালোচনা করে আদালত আগামী ৭ সেপ্টেম্বর বন্দুকযুদ্ধ সংক্রান্ত টেকনাফ থানায় দায়ের করার মামলার বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করতে আদেশ দিয়েছেন। তিনি আরও জানান, তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে কোন সময় কোন মামলা ছিল না। পরিকল্পিতভাবে তার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। এরপর থেকে পুলিশের পক্ষে ধারাবাহিক হুমকি প্রদান করা হয়। নিরাপত্তার কারণে এতদিন মামলা করার সুযোগ ছিল না। এখন সুযোগ হয়েছে তাই মামলা করেছেন।