রিজেন্টের সাহেদ রিমান্ডে

রাজধানীর পল্লবী থানার প্রতারণার মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ করিমকে ছয় দিন রিমান্ডে নেয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম মাসুদ উর রহমান রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

এর আগে পল্লবী থানার মামলার প্রতারণা মামলায় আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করেন। এ সময় সাহেদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু রিমান্ডের পক্ষে এবং জামিনের বিরুদ্ধে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে ৬ দিন রিমান্ডে পাঠায়।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর পল্লবী এলাকার ফিরোজ আলম চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি গত ১৩ জুলাই সংশ্লিষ্ট থানায় সাহেদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৬ সালের ৮ মে ফিরোজ আলমের একটি ভবনের কয়েকটি ফ্লোর রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের নামে ২০ লাখ টাকা জামানত ও মাসিক আড়াই লাখ টাকা দেয়ার শর্তে সাহেদ ভাড়া নেন। কিন্তু চুক্তি অনুযায়ী সাহেদ জামানতের টাকা ও মাসিক ভাড়া পরিশোধ করেননি। ২০১৬ থেকে ২০১৭ সালের বিভিন্ন তারিখে সাহেদ পাওনা টাকার বিপরীতে ইউসিবি ব্যাংকের বেশ কয়েকটি চেক দেন। কিন্তু এসব চেক নিয়ে টাকা তুলতে গেলে অ্যাকাউন্টে টাকা না থাকায় তুলতে পারেননি। এরপর ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে রিজেন্ট হাসপাতালের নামে থাকা প্রিমিয়াম ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের কয়েকটি চেক দেন। সেই চেক দিয়ে ফিরোজ আলম টাকা উত্তোলন করতে পারিনি। এরপর বিভিন্ন সময় লিগ্যাল নোটিশ ও পল্লবী থানায় একাধিক সাধারণ ডায়েরি করেও টাকা পাননি ফিরোজ আলম। অ্যাকাউন্টে টাকা না পেয়ে তার কাছে ভাড়ার টাকা চাইতে গেলে হুমকি দিতে থাকেন সাহেদ। এমনকি অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারেন তাকে।

সুত্র জানায়, গত ৬ জুলাই র্যাব উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ভুয়া করোনা রিপোর্ট জব্দ করে। পরে র্যাব বাদী হয়ে হাসপাতালের চেয়ারম্যানসহ ১৭ জনের নামে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করে। সেই মামলায় গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে সাহেদকে গ্রেফতার করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। বিভিন্ন সূত্র বলছে, সাহেদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৫০টির বেশি মামলা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট ২০২০ , ৭ মহররম ১৪৪২, ২৭ আগস্ট ২০২০

রিজেন্টের সাহেদ রিমান্ডে

আদালত বার্তা পরিবেশক

রাজধানীর পল্লবী থানার প্রতারণার মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ করিমকে ছয় দিন রিমান্ডে নেয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম মাসুদ উর রহমান রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

এর আগে পল্লবী থানার মামলার প্রতারণা মামলায় আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করেন। এ সময় সাহেদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু রিমান্ডের পক্ষে এবং জামিনের বিরুদ্ধে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে ৬ দিন রিমান্ডে পাঠায়।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর পল্লবী এলাকার ফিরোজ আলম চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি গত ১৩ জুলাই সংশ্লিষ্ট থানায় সাহেদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৬ সালের ৮ মে ফিরোজ আলমের একটি ভবনের কয়েকটি ফ্লোর রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের নামে ২০ লাখ টাকা জামানত ও মাসিক আড়াই লাখ টাকা দেয়ার শর্তে সাহেদ ভাড়া নেন। কিন্তু চুক্তি অনুযায়ী সাহেদ জামানতের টাকা ও মাসিক ভাড়া পরিশোধ করেননি। ২০১৬ থেকে ২০১৭ সালের বিভিন্ন তারিখে সাহেদ পাওনা টাকার বিপরীতে ইউসিবি ব্যাংকের বেশ কয়েকটি চেক দেন। কিন্তু এসব চেক নিয়ে টাকা তুলতে গেলে অ্যাকাউন্টে টাকা না থাকায় তুলতে পারেননি। এরপর ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে রিজেন্ট হাসপাতালের নামে থাকা প্রিমিয়াম ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের কয়েকটি চেক দেন। সেই চেক দিয়ে ফিরোজ আলম টাকা উত্তোলন করতে পারিনি। এরপর বিভিন্ন সময় লিগ্যাল নোটিশ ও পল্লবী থানায় একাধিক সাধারণ ডায়েরি করেও টাকা পাননি ফিরোজ আলম। অ্যাকাউন্টে টাকা না পেয়ে তার কাছে ভাড়ার টাকা চাইতে গেলে হুমকি দিতে থাকেন সাহেদ। এমনকি অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারেন তাকে।

সুত্র জানায়, গত ৬ জুলাই র্যাব উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ভুয়া করোনা রিপোর্ট জব্দ করে। পরে র্যাব বাদী হয়ে হাসপাতালের চেয়ারম্যানসহ ১৭ জনের নামে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করে। সেই মামলায় গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে সাহেদকে গ্রেফতার করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। বিভিন্ন সূত্র বলছে, সাহেদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৫০টির বেশি মামলা রয়েছে।