সৈয়দপুর শ্মশানের রাস্তা বেহাল : সৎকারে ভোগান্তি

সৈয়দপুর শহরে হিন্দু সম্প্রদায়ের কেন্দ্রীয় শ্মশানে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা বেহাল হয়ে পড়েছে। ফলে মরদেহ সৎকারে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সনাতন ধর্মের লোকজন। শ্মশানে যাতায়াতের রাস্তার জায়গা জবর দখল করে নেয়ায় মরদেহ শ্মশানে নেয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। কারণ ভূমি খেকোরা রাস্তার জায়গা দখল করে নেয়ায় রাস্তা সরু গলিতে পরিণত হয়েছে। এতে করে মরদেহ নিয়ে শ্মশানে প্রবেশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়াও রাস্তা খুড়ে পৌরসভা ড্রেন নির্মাণ শেষ না করায় রাস্তাটি ভেঙ্গে খানাখন্দ হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বিষয়টি পৌর কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের নজরে আনা হলেও প্রতিকার মিলছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়, শহরের কুন্দল এলাকায় খড়খড়িয়া নদী তীরে সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় শ্মশান অবস্থিত। শ্মশানে যাতায়াতের জন্য রেকর্ডভূক্ত ১৬ ফুট প্রশস্ত রাস্তা রয়েছে। কিন্তু রাস্তা সংলগ্ন এলাকার লোকজন স্থাপনা নির্মাণ করে রাস্তার জায়গা জবর দখল করে নিয়েছে। ফলে ১৬ ফুট প্রশস্ত রাস্তা সরু গলিতে পরিণত হয়েছে। শ্মশান কমিটি রাস্তার অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে দাবি জানিয়ে আসলেও তা দাবির মধ্যে আটকে আছে। এ নিয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনে চিঠি চালাচালি করা হলেও কোন সুফল মিলছে না। এর ওপর পৌর কর্তৃপক্ষ ড্রেন নির্মাণের নামে রাস্তা খোড়াখুড়ি করে অসমাপ্ত অবস্থায় ফেলে রেখেছে। এ অবস্থা মাসের পর মাস চললেও রাস্তা সংস্কার ও ড্রেন নির্মাণ শেষ করা হচ্ছে না। এর ফলে চলমান বর্ষায় রাস্তার গার্ড ওয়াল ভেঙ্গে পড়েছে। একইসঙ্গে খোড়াখুড়ির কারণে গোটা রাস্তায় ছোট বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। ফলে শ্মশানে লোকজনের যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এদিকে শ্মশান কমিটির নেতৃবৃন্দ সূত্র জানা যায়, শ্মশানের একমাত্র রাস্তাটির জায়গা দখল হয়ে যাওয়ায় শব বহনে লোকজনকে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। এর ওপর ড্রেন নির্মাণের নামে রাস্তা খনন করে পুরো রাস্তার বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তা ও ড্রেনের নির্মাণ কাজ অসমাপ্ত রেখে দেয়ায় ভোগান্তির শেষ হচ্ছে না। কবে রাস্তা ও ড্রেন মেরামত করা হবে তাও জানে না কেউ। এমন দূরাবস্থা নিয়ে চলছে শ্মশানে মরদেহ সৎকারের কাজ।

জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় শ্মশান কমিটির সভাপতি বিকাশ চন্দ্র পোদ্দার ও সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার প্রসাদ জানান, গত ফেব্রুয়ারি মাসে ড্রেন নির্মাণের নামে পৌরসভার ঠিকাদার শ্মশানের রাস্তা খোড়াখুড়ি করায় রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। অথচ ড্রেনের কাজ শেষ করা হচ্ছে না। একইসঙ্গে মেরামত কাজও আটকে আছে। এতে মৃতদেহ সৎকার করতে এসে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এর সঙ্গে রাস্তার জায়গা দখলবাজরা দখল করে নেয়ায় সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে। এ নিয়ে পৌর কর্তৃপক্ষকে মৌখিক ও লিখিতভাবে জানানো হলেও সমস্যার সমাধান হয়নি। এ অবস্থায় নীলফামারী জেলা প্রশাসক ও সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে চিঠি দিয়ে প্রতীকার কামনা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগের অপেক্ষায় আছি।

শুক্রবার, ২৮ আগস্ট ২০২০ , ৮ মহররম ১৪৪২, ২৮ আগস্ট ২০২০

সৈয়দপুর শ্মশানের রাস্তা বেহাল : সৎকারে ভোগান্তি

প্রতিনিধি, সৈয়দপুর (নীলফামারী)

image

সৈয়দপুর শহরে হিন্দু সম্প্রদায়ের কেন্দ্রীয় শ্মশানে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা বেহাল হয়ে পড়েছে। ফলে মরদেহ সৎকারে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সনাতন ধর্মের লোকজন। শ্মশানে যাতায়াতের রাস্তার জায়গা জবর দখল করে নেয়ায় মরদেহ শ্মশানে নেয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। কারণ ভূমি খেকোরা রাস্তার জায়গা দখল করে নেয়ায় রাস্তা সরু গলিতে পরিণত হয়েছে। এতে করে মরদেহ নিয়ে শ্মশানে প্রবেশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়াও রাস্তা খুড়ে পৌরসভা ড্রেন নির্মাণ শেষ না করায় রাস্তাটি ভেঙ্গে খানাখন্দ হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বিষয়টি পৌর কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের নজরে আনা হলেও প্রতিকার মিলছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়, শহরের কুন্দল এলাকায় খড়খড়িয়া নদী তীরে সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় শ্মশান অবস্থিত। শ্মশানে যাতায়াতের জন্য রেকর্ডভূক্ত ১৬ ফুট প্রশস্ত রাস্তা রয়েছে। কিন্তু রাস্তা সংলগ্ন এলাকার লোকজন স্থাপনা নির্মাণ করে রাস্তার জায়গা জবর দখল করে নিয়েছে। ফলে ১৬ ফুট প্রশস্ত রাস্তা সরু গলিতে পরিণত হয়েছে। শ্মশান কমিটি রাস্তার অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে দাবি জানিয়ে আসলেও তা দাবির মধ্যে আটকে আছে। এ নিয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনে চিঠি চালাচালি করা হলেও কোন সুফল মিলছে না। এর ওপর পৌর কর্তৃপক্ষ ড্রেন নির্মাণের নামে রাস্তা খোড়াখুড়ি করে অসমাপ্ত অবস্থায় ফেলে রেখেছে। এ অবস্থা মাসের পর মাস চললেও রাস্তা সংস্কার ও ড্রেন নির্মাণ শেষ করা হচ্ছে না। এর ফলে চলমান বর্ষায় রাস্তার গার্ড ওয়াল ভেঙ্গে পড়েছে। একইসঙ্গে খোড়াখুড়ির কারণে গোটা রাস্তায় ছোট বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। ফলে শ্মশানে লোকজনের যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এদিকে শ্মশান কমিটির নেতৃবৃন্দ সূত্র জানা যায়, শ্মশানের একমাত্র রাস্তাটির জায়গা দখল হয়ে যাওয়ায় শব বহনে লোকজনকে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। এর ওপর ড্রেন নির্মাণের নামে রাস্তা খনন করে পুরো রাস্তার বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তা ও ড্রেনের নির্মাণ কাজ অসমাপ্ত রেখে দেয়ায় ভোগান্তির শেষ হচ্ছে না। কবে রাস্তা ও ড্রেন মেরামত করা হবে তাও জানে না কেউ। এমন দূরাবস্থা নিয়ে চলছে শ্মশানে মরদেহ সৎকারের কাজ।

জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় শ্মশান কমিটির সভাপতি বিকাশ চন্দ্র পোদ্দার ও সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার প্রসাদ জানান, গত ফেব্রুয়ারি মাসে ড্রেন নির্মাণের নামে পৌরসভার ঠিকাদার শ্মশানের রাস্তা খোড়াখুড়ি করায় রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। অথচ ড্রেনের কাজ শেষ করা হচ্ছে না। একইসঙ্গে মেরামত কাজও আটকে আছে। এতে মৃতদেহ সৎকার করতে এসে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এর সঙ্গে রাস্তার জায়গা দখলবাজরা দখল করে নেয়ায় সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে। এ নিয়ে পৌর কর্তৃপক্ষকে মৌখিক ও লিখিতভাবে জানানো হলেও সমস্যার সমাধান হয়নি। এ অবস্থায় নীলফামারী জেলা প্রশাসক ও সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে চিঠি দিয়ে প্রতীকার কামনা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগের অপেক্ষায় আছি।