গ্রামবাসীর চাঁদার টাকায় সাঁকো ৫ গ্রামের ভরসা

রংপুরের পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের তিস্তার শাখা নদের ওপর সেতু নেই। ফলে বাঁশের সাকো দিয়ে পীরগাছা ও উলিপুর উপজেলার ৬টি গ্রামের মানুষ ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বাঁশের সাঁকোটি দিয়ে তিস্তার তীরবর্তী ছাওলা ইউনিয়নের গাবুড়া, হাগুরিয়া হাসিম, পূর্ব কাশিয়াবাড়ী, দক্ষিণ গাবুড়ার চর ও উলিপুর উপজেলার গোড়াইপিয়ার চর, রামনিয়াসার চর গ্রাামের বাসিন্দারা যাতায়াত করেন। সাঁকোটি অপ্রশস্থ ও নড়বড়ে। ফলে পথচারীরা যাতায়াত করতে পারলেও রিকশা-ভ্যানসহ ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারে না। এমনকি চরের প্রধান বাহন ঘোড়ার গাড়ি সাঁকোর নিচ দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পার করতে হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কয়েক বছর ধরে বর্ষার শুরুতেই তারা নিজেরা চাঁদা তুলে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে সরু সাঁকোটি নির্মাণ করে আসছেন। এ বছর সাঁকোটি তৈরি করতে ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সাঁকো পরিচালনার দায়িত্বে থাকা স্থানীয় মোন্নাফ আলী বলেন, আমাদের চলাফেরা, স্থানীয় পাওটানার হাটে পণ্য আনা-নেয়ায় অনেক কষ্ট হয়। তাই আমরা এলাকাবাসী মিলে নিজেদের চাঁদার টাকায় বাঁশের সাঁকোটি তৈরি করেছি। পূর্ব হাগুরিয়া হাসিম গ্রামের বাসিন্দা আবু বক্কর বলেন, অপ্রশস্ত সাঁকো দিয়ে গ্রামে কোন রিকশা-ভ্যান চলাচল করতে পারে না। চরাঞ্চলের পণ্য পরিবহনে একমাত্র বাহন ঘোড়ার গাড়ি। অথচ সেই ঘোড়ার গাড়ি স্র্রোতে ভাসিয়ে পার করতে হয়। এ কারণে উৎপাদিত পণ্যের পরিবহন আর রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার সময় চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। ছাওলা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম বলেন, ওই এলাকার মানুষের যাতায়াতের জন্য একটি ব্রিজ নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম বলেন, ওই স্থানে ব্রিজ নির্মাণের জন্য একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।

শুক্রবার, ২৮ আগস্ট ২০২০ , ৮ মহররম ১৪৪২, ২৮ আগস্ট ২০২০

গ্রামবাসীর চাঁদার টাকায় সাঁকো ৫ গ্রামের ভরসা

সংবাদদাতা,পীরগাছা (রংপুর)

image

রংপুরের পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের তিস্তার শাখা নদের ওপর সেতু নেই। ফলে বাঁশের সাকো দিয়ে পীরগাছা ও উলিপুর উপজেলার ৬টি গ্রামের মানুষ ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বাঁশের সাঁকোটি দিয়ে তিস্তার তীরবর্তী ছাওলা ইউনিয়নের গাবুড়া, হাগুরিয়া হাসিম, পূর্ব কাশিয়াবাড়ী, দক্ষিণ গাবুড়ার চর ও উলিপুর উপজেলার গোড়াইপিয়ার চর, রামনিয়াসার চর গ্রাামের বাসিন্দারা যাতায়াত করেন। সাঁকোটি অপ্রশস্থ ও নড়বড়ে। ফলে পথচারীরা যাতায়াত করতে পারলেও রিকশা-ভ্যানসহ ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারে না। এমনকি চরের প্রধান বাহন ঘোড়ার গাড়ি সাঁকোর নিচ দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পার করতে হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কয়েক বছর ধরে বর্ষার শুরুতেই তারা নিজেরা চাঁদা তুলে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে সরু সাঁকোটি নির্মাণ করে আসছেন। এ বছর সাঁকোটি তৈরি করতে ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সাঁকো পরিচালনার দায়িত্বে থাকা স্থানীয় মোন্নাফ আলী বলেন, আমাদের চলাফেরা, স্থানীয় পাওটানার হাটে পণ্য আনা-নেয়ায় অনেক কষ্ট হয়। তাই আমরা এলাকাবাসী মিলে নিজেদের চাঁদার টাকায় বাঁশের সাঁকোটি তৈরি করেছি। পূর্ব হাগুরিয়া হাসিম গ্রামের বাসিন্দা আবু বক্কর বলেন, অপ্রশস্ত সাঁকো দিয়ে গ্রামে কোন রিকশা-ভ্যান চলাচল করতে পারে না। চরাঞ্চলের পণ্য পরিবহনে একমাত্র বাহন ঘোড়ার গাড়ি। অথচ সেই ঘোড়ার গাড়ি স্র্রোতে ভাসিয়ে পার করতে হয়। এ কারণে উৎপাদিত পণ্যের পরিবহন আর রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার সময় চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। ছাওলা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম বলেন, ওই এলাকার মানুষের যাতায়াতের জন্য একটি ব্রিজ নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম বলেন, ওই স্থানে ব্রিজ নির্মাণের জন্য একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।