দশেে চীনা ভ্যাকসনি ট্রায়ালরে অনুমতি

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা প্রতিরোধে চীনের সিনোভ্যাক কোম্পানির তৈরি করা ভ্যাকসিন ট্রায়ালের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ভ্যাকসিন ট্রায়ালে ভারতসহ অন্য কোন দেশ আগ্রহ দেখালে সরকার তার কার্যকারিতা যাচাই করে অনুমোদন দেয়ার ক্ষেত্রে আন্তরিক থাকবে।

গতকাল সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভ্যাকসিন ট্রায়াল ও তার অগ্রগতি সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে তিনি একথা জানান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান, আইডিসিআরবি এর পরিচালক, ইপিআই-এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার, আইসিডিডিআরবি-এর সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ফিরদৌসি কাদেরী, ড. খালিকুজ্জামান, ড. তাজুল ইসলাম বারী প্রমুখ। সভায় অনলাইন ‘জুম’ এর মাধ্যমে অংশ নেন চীনের রাষ্ট্রদূত লি কিমিং।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চীনের এই কোম্পানিটি গত কয়েক মাস থেকেই আইসিডিডিআরবি-এর মাধ্যমে ট্রায়ালের ব্যাপারে আমাদের অনুরোধ করে আসছিল। সরকার তাদের ভ্যাকসিনের ব্যাপারে সবধরনের যাচাই-বাছাই করেছে। কোম্পানিটি ইতোমধ্যে ইন্দোনেশিয়ায় ট্রায়াল শুরু করেছে। তুরস্কসহ বেশকিছু দেশে ট্রায়াল শুরুর পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে। বাংলাদেশকে তারা (চায়না কোম্পানি) পছন্দের শীর্ষে রেখেছে শুরু থেকেই। বাংলাদেশ এই ট্রায়ালে অংশ নিলে এক লাখ পিস টিকা সামগ্রী ফ্রি লাভ করার পাশাপাশি আরও প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভ্যাকসিন ক্রয় করতে অগ্রাধিকার পাবে বলে সরকার মনে করছে। তা ছাড়া চীন সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অনেক দৃঢ়। সবকিছু বিবেচনা করেই চায়না ভ্যাকসিন কোম্পানিটিকে ট্রায়ালে অংশ নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এর আগে চায়না কোম্পানি সায়নোভ্যাক দেশে ভ্যাকসিন ট্রায়ালে অংশ নিতে আইসিডিডিআরবি-এর মাধ্যমে যে আবেদন করেছিল সেটির কার্যকারিতা নিয়ে সরকারের নানাবিধ বিশ্লেষণ শেষে চায়না কোম্পানিটিকে ভ্যাকসিন ট্রায়ালের অনুমোদন দেয়া হলো।

অন্য কোন দেশের ট্রায়াল বাংলাদেশে হবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে বিশে^র ৮টি কোম্পানি ভ্যাকসিন ট্রায়ালের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে ট্রায়ালের আগ্রহ দেখালে বাংলাদেশ তা বিবেচনা করবে। ভ্যাকসিন ক্রয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আগ্রহ কতটুকু এমন প্রশ্নের উত্তরে জাহিদ মালেক বলেন, বাংলাদেশে মাথাপিছু আয়ের অনুপাতে কিছু ভ্যাকসিন ফ্রি পাবে। তবে সরকার কেবল ফ্রি ভ্যাকসিন পেতেই বসে থাকবে না। সরকার ভ্যাকসিন ক্রয়ের ক্ষেত্রে কোনভাবেই পিছিয়ে থাকবে না।

শুক্রবার, ২৮ আগস্ট ২০২০ , ৮ মহররম ১৪৪২, ২৮ আগস্ট ২০২০

দশেে চীনা ভ্যাকসনি ট্রায়ালরে অনুমতি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা প্রতিরোধে চীনের সিনোভ্যাক কোম্পানির তৈরি করা ভ্যাকসিন ট্রায়ালের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ভ্যাকসিন ট্রায়ালে ভারতসহ অন্য কোন দেশ আগ্রহ দেখালে সরকার তার কার্যকারিতা যাচাই করে অনুমোদন দেয়ার ক্ষেত্রে আন্তরিক থাকবে।

গতকাল সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভ্যাকসিন ট্রায়াল ও তার অগ্রগতি সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে তিনি একথা জানান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান, আইডিসিআরবি এর পরিচালক, ইপিআই-এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার, আইসিডিডিআরবি-এর সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ফিরদৌসি কাদেরী, ড. খালিকুজ্জামান, ড. তাজুল ইসলাম বারী প্রমুখ। সভায় অনলাইন ‘জুম’ এর মাধ্যমে অংশ নেন চীনের রাষ্ট্রদূত লি কিমিং।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চীনের এই কোম্পানিটি গত কয়েক মাস থেকেই আইসিডিডিআরবি-এর মাধ্যমে ট্রায়ালের ব্যাপারে আমাদের অনুরোধ করে আসছিল। সরকার তাদের ভ্যাকসিনের ব্যাপারে সবধরনের যাচাই-বাছাই করেছে। কোম্পানিটি ইতোমধ্যে ইন্দোনেশিয়ায় ট্রায়াল শুরু করেছে। তুরস্কসহ বেশকিছু দেশে ট্রায়াল শুরুর পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে। বাংলাদেশকে তারা (চায়না কোম্পানি) পছন্দের শীর্ষে রেখেছে শুরু থেকেই। বাংলাদেশ এই ট্রায়ালে অংশ নিলে এক লাখ পিস টিকা সামগ্রী ফ্রি লাভ করার পাশাপাশি আরও প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভ্যাকসিন ক্রয় করতে অগ্রাধিকার পাবে বলে সরকার মনে করছে। তা ছাড়া চীন সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অনেক দৃঢ়। সবকিছু বিবেচনা করেই চায়না ভ্যাকসিন কোম্পানিটিকে ট্রায়ালে অংশ নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এর আগে চায়না কোম্পানি সায়নোভ্যাক দেশে ভ্যাকসিন ট্রায়ালে অংশ নিতে আইসিডিডিআরবি-এর মাধ্যমে যে আবেদন করেছিল সেটির কার্যকারিতা নিয়ে সরকারের নানাবিধ বিশ্লেষণ শেষে চায়না কোম্পানিটিকে ভ্যাকসিন ট্রায়ালের অনুমোদন দেয়া হলো।

অন্য কোন দেশের ট্রায়াল বাংলাদেশে হবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে বিশে^র ৮টি কোম্পানি ভ্যাকসিন ট্রায়ালের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে ট্রায়ালের আগ্রহ দেখালে বাংলাদেশ তা বিবেচনা করবে। ভ্যাকসিন ক্রয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আগ্রহ কতটুকু এমন প্রশ্নের উত্তরে জাহিদ মালেক বলেন, বাংলাদেশে মাথাপিছু আয়ের অনুপাতে কিছু ভ্যাকসিন ফ্রি পাবে। তবে সরকার কেবল ফ্রি ভ্যাকসিন পেতেই বসে থাকবে না। সরকার ভ্যাকসিন ক্রয়ের ক্ষেত্রে কোনভাবেই পিছিয়ে থাকবে না।