করোনা মহামারীর লাগাম টেনে ধরতে পারছে না স্বাস্থ্য বিভাগ। প্রতিদিন করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর তালিকা দীর্ঘ্য হচ্ছে। দেশে গত চব্বিশ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়ে আরও ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪ হাজার ১২৭ জনে। এ ছাড়া করোনা আক্রান্তদের মধ্যে নতুন করে আরও ২ হাজার ৪৩৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩ লাখ ৪ হাজার ৫৮৩ জনে।
গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে, চব্বিশ ঘণ্টায় মৃত ৪৫ জনের মধ্যে পুরুষ ৩৪ জন, নারী ১১ জন। তাদের মধ্যে ৪২ জন হাসপাতালে এবং ৩ জন বাড়িতে মারা গেছেন। ২৫ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ১১ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৭ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ছিল। ২২ জন ঢাকা বিভাগের, ১০ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ১ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫ জন খুলনা বিভাগের, ১ জন সিলেট বিভাগের এবং ৬ জন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, চব্বিশ ঘণ্টায় বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৩ হাজার ২৭৫ জন রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেছেন। আর সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা ১ লাখ ৯৩ হাজার ৪৫৮ জন। দেশে ৯২টি ল্যাবে ১৫ হাজার ১২৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১৫ লাখ ৩৮৫টি নমুনা। নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ১১ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৩০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৬৩ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ। জানা গেছে, দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৪ হাজার ১২৭ জনের মধ্যে ৩ হাজার ২৪২ জনই পুরুষ এবং ৮৮৫ জন নারী। তাদের মধ্যে ২ হাজার ২৮ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ১ হাজার ১৪০ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৫৫৪ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ২৫৪ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ৯৬ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৩৬ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ১৯ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। এর মধ্যে ১ হাজার ৯৯০ জন ঢাকা বিভাগের, ৯০৮ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ২৭৭ জন রাজশাহী বিভাগের, ৩৪০ জন খুলনা বিভাগের, ১৫৯ জন বরিশাল বিভাগের, ১৮৭ জন সিলেট বিভাগের, ১৭৭ জন রংপুর বিভাগের এবং ৮৯ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৫তম স্থানে। মৃতের সংখ্যায় বাংলাদেশ রয়েছে ২৯তম অবস্থানে। বাংলাদেশে সব হিসাব-নিকাশ উল্টে দিয়েছে করোনাভাইরাস। আগে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছিলেন, বড়জোর মে মাস পর্যন্ত থাকবে এই ভাইরাসের দাপট। কিন্তু এখন তারা বলছেন, সহজে দূর হবে না করোনা, বাংলাদেশে অনেকদিন থাকবে করোনা ভাইরাস। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা অবশ্য করোনা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার জন্য স্বাস্থ্যবিভাগের অব্যবস্থাপনা ও জনগণের অবাধ চলাফেরাকে দায়ী করছেন।
করোনা আতঙ্কে রাজধানীর মানুষসহ বিভাগীয় ও শহরাঞ্চলের নাগরিকরাও। করোনা নিয়ে ভয়, উদ্বেগ, মানসিক চাপ, আতঙ্ক মানুষের মনে। চলমান অথবা আসন্ন বিপদকে কেন্দ্র করে মানুষের মনে দুই ধরনের ভয় উৎপন্ন হয়। একটি হলো যৌক্তিক ভয়, অন্যটি হলো অযৌক্তিক ভয়। যৌক্তিক ভয় আমাদের মন ও শরীরকে করোনা মোকাবিলা প্রস্তুত করবে। অন্যদিকে অযৌক্তিক ভয় আমাদের ভেতর নেতিবাচক আবেগ ও আচরণ তৈরি করবে। মন ও শরীরকে দুর্বল করে ফেলবে। অধিক জনসংখ্যার প্রভাব এবং অপ্রতুল চিকিৎসাব্যবস্থার কারণে করোনাভাইরাস নিয়ে মানুষের মনে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী বলেন, করোনা নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের উদাসীনতার কারণে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়নি। প্রথম কথা টেস্টের ব্যবস্থা করতে পারতো। এখন ৫২টি ল্যাবে পরীক্ষা করছেন, এটা আগে করলেন না কেন? তিন মাস সময় পেলেন, ৬৪ জেলায় ৬৪টি ল্যাব বসালেন না কেন? দেশের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার মেশিন ছিল, এগুলো কাজে লাগালেন না কেন? তারা তা জাতির এই ক্রান্তিকালে কাজ করতে প্রস্তুত ছিল। এখন একেকটি মেশিন (আরটিপিসিআর) তিন গুণ দামে কিনছেন। আবার ২০২০ সালে এসে ২০০৯ সালের মেশিন কিনছেন। এই পুরোনো মডেলের মেশিনে ভালো ফল পাচ্ছেন না। তখন যদি আধুনিক মেশিন কিনতেন, কম দামেই কিনতে পারতেন। আবার চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়ার সময় পেতেন।
একজন মানুষ আড়াই থেকে তিনজনকে সংক্রমণ করতে পারে। আমরা যদি এক্সরে আটকাতে পারতাম, তাহলে ওয়াই বা জেড আক্রান্ত হতো না। তাদের থেকে অন্যরাও আক্রান্ত হতো না। স্বাস্থ্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং অংশীজনদের অনেকেই শুরু থেকে একেক সময় একেক সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, এতে মানুষের মধ্যে ভুল বার্তা গেছে। কখনও শ্রমিকদের ঢাকায় ডেকে আনলাম, আবার কখনও বাড়ি পাঠিয়ে দিলাম। বিদেশ ফেরতদের নিয়েও শুরু থেকে নাটকীয় সব ঘটনা ঘটেছে। যখন সরকারের শীর্ষ পর্যায় হস্তক্ষেপ করেছে, তখন পরিস্থিতি একটু বদলেছে। কিন্তু ততক্ষণে ক্ষতি যা হওয়ার তা হয়ে গেছে।
শুক্রবার, ২৮ আগস্ট ২০২০ , ৮ মহররম ১৪৪২, ২৮ আগস্ট ২০২০
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
করোনা মহামারীর লাগাম টেনে ধরতে পারছে না স্বাস্থ্য বিভাগ। প্রতিদিন করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর তালিকা দীর্ঘ্য হচ্ছে। দেশে গত চব্বিশ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়ে আরও ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪ হাজার ১২৭ জনে। এ ছাড়া করোনা আক্রান্তদের মধ্যে নতুন করে আরও ২ হাজার ৪৩৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩ লাখ ৪ হাজার ৫৮৩ জনে।
গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে, চব্বিশ ঘণ্টায় মৃত ৪৫ জনের মধ্যে পুরুষ ৩৪ জন, নারী ১১ জন। তাদের মধ্যে ৪২ জন হাসপাতালে এবং ৩ জন বাড়িতে মারা গেছেন। ২৫ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ১১ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৭ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ছিল। ২২ জন ঢাকা বিভাগের, ১০ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ১ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫ জন খুলনা বিভাগের, ১ জন সিলেট বিভাগের এবং ৬ জন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, চব্বিশ ঘণ্টায় বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৩ হাজার ২৭৫ জন রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেছেন। আর সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা ১ লাখ ৯৩ হাজার ৪৫৮ জন। দেশে ৯২টি ল্যাবে ১৫ হাজার ১২৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১৫ লাখ ৩৮৫টি নমুনা। নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ১১ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৩০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৬৩ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ। জানা গেছে, দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৪ হাজার ১২৭ জনের মধ্যে ৩ হাজার ২৪২ জনই পুরুষ এবং ৮৮৫ জন নারী। তাদের মধ্যে ২ হাজার ২৮ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ১ হাজার ১৪০ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৫৫৪ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ২৫৪ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ৯৬ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৩৬ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ১৯ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। এর মধ্যে ১ হাজার ৯৯০ জন ঢাকা বিভাগের, ৯০৮ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ২৭৭ জন রাজশাহী বিভাগের, ৩৪০ জন খুলনা বিভাগের, ১৫৯ জন বরিশাল বিভাগের, ১৮৭ জন সিলেট বিভাগের, ১৭৭ জন রংপুর বিভাগের এবং ৮৯ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৫তম স্থানে। মৃতের সংখ্যায় বাংলাদেশ রয়েছে ২৯তম অবস্থানে। বাংলাদেশে সব হিসাব-নিকাশ উল্টে দিয়েছে করোনাভাইরাস। আগে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছিলেন, বড়জোর মে মাস পর্যন্ত থাকবে এই ভাইরাসের দাপট। কিন্তু এখন তারা বলছেন, সহজে দূর হবে না করোনা, বাংলাদেশে অনেকদিন থাকবে করোনা ভাইরাস। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা অবশ্য করোনা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার জন্য স্বাস্থ্যবিভাগের অব্যবস্থাপনা ও জনগণের অবাধ চলাফেরাকে দায়ী করছেন।
করোনা আতঙ্কে রাজধানীর মানুষসহ বিভাগীয় ও শহরাঞ্চলের নাগরিকরাও। করোনা নিয়ে ভয়, উদ্বেগ, মানসিক চাপ, আতঙ্ক মানুষের মনে। চলমান অথবা আসন্ন বিপদকে কেন্দ্র করে মানুষের মনে দুই ধরনের ভয় উৎপন্ন হয়। একটি হলো যৌক্তিক ভয়, অন্যটি হলো অযৌক্তিক ভয়। যৌক্তিক ভয় আমাদের মন ও শরীরকে করোনা মোকাবিলা প্রস্তুত করবে। অন্যদিকে অযৌক্তিক ভয় আমাদের ভেতর নেতিবাচক আবেগ ও আচরণ তৈরি করবে। মন ও শরীরকে দুর্বল করে ফেলবে। অধিক জনসংখ্যার প্রভাব এবং অপ্রতুল চিকিৎসাব্যবস্থার কারণে করোনাভাইরাস নিয়ে মানুষের মনে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী বলেন, করোনা নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের উদাসীনতার কারণে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়নি। প্রথম কথা টেস্টের ব্যবস্থা করতে পারতো। এখন ৫২টি ল্যাবে পরীক্ষা করছেন, এটা আগে করলেন না কেন? তিন মাস সময় পেলেন, ৬৪ জেলায় ৬৪টি ল্যাব বসালেন না কেন? দেশের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার মেশিন ছিল, এগুলো কাজে লাগালেন না কেন? তারা তা জাতির এই ক্রান্তিকালে কাজ করতে প্রস্তুত ছিল। এখন একেকটি মেশিন (আরটিপিসিআর) তিন গুণ দামে কিনছেন। আবার ২০২০ সালে এসে ২০০৯ সালের মেশিন কিনছেন। এই পুরোনো মডেলের মেশিনে ভালো ফল পাচ্ছেন না। তখন যদি আধুনিক মেশিন কিনতেন, কম দামেই কিনতে পারতেন। আবার চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়ার সময় পেতেন।
একজন মানুষ আড়াই থেকে তিনজনকে সংক্রমণ করতে পারে। আমরা যদি এক্সরে আটকাতে পারতাম, তাহলে ওয়াই বা জেড আক্রান্ত হতো না। তাদের থেকে অন্যরাও আক্রান্ত হতো না। স্বাস্থ্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং অংশীজনদের অনেকেই শুরু থেকে একেক সময় একেক সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, এতে মানুষের মধ্যে ভুল বার্তা গেছে। কখনও শ্রমিকদের ঢাকায় ডেকে আনলাম, আবার কখনও বাড়ি পাঠিয়ে দিলাম। বিদেশ ফেরতদের নিয়েও শুরু থেকে নাটকীয় সব ঘটনা ঘটেছে। যখন সরকারের শীর্ষ পর্যায় হস্তক্ষেপ করেছে, তখন পরিস্থিতি একটু বদলেছে। কিন্তু ততক্ষণে ক্ষতি যা হওয়ার তা হয়ে গেছে।