ভোলায় জলোচ্ছ্বাসে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল লঞ্চঘাট বিধ্বস্ত

ভোলায় ঝড়ের তাণ্ডবে বিধস্ত হয়েছে দৌলতখান বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল লঞ্চঘাটের টার্মিনাল পন্টুন। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগযোগ ব্যবস্থা। বিধ্বস্ত হওয়ার দুইদিন পরে গত বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তাদের কেউ ওই ঘাটে যাননি বলে অভিযোগ করেন এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি গোলাম নবী নবুসহ স্থানীয়রা। সকালে সরেজমিনে ওই ঘাটে গিয়ে দেখা যায় গাটে শতাধিক যাত্রী লঞ্চের জন্য অপেক্ষা করছেন। ঘাট ও পন্টু বিধ্বস্ত হওয়ায়, কেউ যেতে পারছেন না। ঘাটের অনেকাংশ জোয়ারের পানিতে ভেঙ্গে গেছে। স্থানীয়রা দাবি জানান ওই ঘাটসহ এলাকার ভাঙ্গন রোধে জরুরী ভিত্তিতে সিসি ব্লক দেয়ার জন্য। অপরদিকে ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাটের বিধ্বস্ত ও ডুবে যাওয়া পন্টুন উদ্ধার অভিযান শুরু হয়নি। এমনকি অতি জোয়ারে হাইওয়াটার ফেরিঘাট তলিয়ে থাকায় ওই ঘাটের লঞ্চ ও ফেরি চালাচল বন্ধ রয়েছে। সকাল থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামগামী কয়েক হাজার যাত্রী লঞ্চ, সিট্রাক ও ফেরিতে যেতে পারেনি। ঘাট এলাকা জোয়ারের পানিতে তলিয়ে থাকায় অনেক যাত্রী ঝুঁকি নিয়ে নৌকাযোগে গিয়ে মাঝ নদীতে নদীতে অপেক্ষমান লঞ্চে ওঠে। ঘাট ইজারাদার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সম্পাদক হোসেন শহীদ সোয়ারদী জানান, এদিকে বৈরী আবহাওয়ার জন্য গত বুধবার লঞ্চ ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। সকাল থেকে আবহাওয়া ভালো হলেও ঘাট উন্নয়নে বিআইডব্লিউ’র পক্ষ থেকে কোন কাজ না করায় জোয়ারের পানিতে তলিয়ে থাকার জন্য লঞ্চ ও ফেরি চলাচল করতে পারেনি। প্রায় দেড় কোটি টাকায় ঘাট ইজারা নিয়ে এখন চরম লোকসানের মধ্যে রয়েছেন বলেও জানান ইজারাদার। দেশের ২১ জেলার সহজে যোগযোগের রুট হিসেবে পরিচিত ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে যাত্রীদের যাতায়াত বন্ধ হওয়ার উপক্রম। এর জন্য বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তাদের দায়ী করেন ইউপি চেয়ারম্যান হাসনাইন আহমেদ হাসান। অপরদিকে ধসে যাওয়া শহররক্ষা বাঁধ গত বৃহস্পতিবারও সম্পূর্ণ মেরামত করা না যাওয়ায় জোয়ারের পানি প্রবেশ অব্যাহত রয়েছে।

শনিবার, ২৯ আগস্ট ২০২০ , ৯ মহররম ১৪৪২, ২৯ আগস্ট ২০২০

ভোলায় জলোচ্ছ্বাসে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল লঞ্চঘাট বিধ্বস্ত

প্রতিনিধি, ভোলা

ভোলায় ঝড়ের তাণ্ডবে বিধস্ত হয়েছে দৌলতখান বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল লঞ্চঘাটের টার্মিনাল পন্টুন। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগযোগ ব্যবস্থা। বিধ্বস্ত হওয়ার দুইদিন পরে গত বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তাদের কেউ ওই ঘাটে যাননি বলে অভিযোগ করেন এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি গোলাম নবী নবুসহ স্থানীয়রা। সকালে সরেজমিনে ওই ঘাটে গিয়ে দেখা যায় গাটে শতাধিক যাত্রী লঞ্চের জন্য অপেক্ষা করছেন। ঘাট ও পন্টু বিধ্বস্ত হওয়ায়, কেউ যেতে পারছেন না। ঘাটের অনেকাংশ জোয়ারের পানিতে ভেঙ্গে গেছে। স্থানীয়রা দাবি জানান ওই ঘাটসহ এলাকার ভাঙ্গন রোধে জরুরী ভিত্তিতে সিসি ব্লক দেয়ার জন্য। অপরদিকে ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাটের বিধ্বস্ত ও ডুবে যাওয়া পন্টুন উদ্ধার অভিযান শুরু হয়নি। এমনকি অতি জোয়ারে হাইওয়াটার ফেরিঘাট তলিয়ে থাকায় ওই ঘাটের লঞ্চ ও ফেরি চালাচল বন্ধ রয়েছে। সকাল থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামগামী কয়েক হাজার যাত্রী লঞ্চ, সিট্রাক ও ফেরিতে যেতে পারেনি। ঘাট এলাকা জোয়ারের পানিতে তলিয়ে থাকায় অনেক যাত্রী ঝুঁকি নিয়ে নৌকাযোগে গিয়ে মাঝ নদীতে নদীতে অপেক্ষমান লঞ্চে ওঠে। ঘাট ইজারাদার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সম্পাদক হোসেন শহীদ সোয়ারদী জানান, এদিকে বৈরী আবহাওয়ার জন্য গত বুধবার লঞ্চ ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। সকাল থেকে আবহাওয়া ভালো হলেও ঘাট উন্নয়নে বিআইডব্লিউ’র পক্ষ থেকে কোন কাজ না করায় জোয়ারের পানিতে তলিয়ে থাকার জন্য লঞ্চ ও ফেরি চলাচল করতে পারেনি। প্রায় দেড় কোটি টাকায় ঘাট ইজারা নিয়ে এখন চরম লোকসানের মধ্যে রয়েছেন বলেও জানান ইজারাদার। দেশের ২১ জেলার সহজে যোগযোগের রুট হিসেবে পরিচিত ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে যাত্রীদের যাতায়াত বন্ধ হওয়ার উপক্রম। এর জন্য বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তাদের দায়ী করেন ইউপি চেয়ারম্যান হাসনাইন আহমেদ হাসান। অপরদিকে ধসে যাওয়া শহররক্ষা বাঁধ গত বৃহস্পতিবারও সম্পূর্ণ মেরামত করা না যাওয়ায় জোয়ারের পানি প্রবেশ অব্যাহত রয়েছে।