নতুন শনাক্ত ২২১১
কিছুতেই লাগাম টানা যাচ্ছে না করোনাভাইরাসের। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। গড়ে দৈনিক কমপক্ষে ৪০ জনের মৃত্যু হলে মাস শেষে দাঁড়াবে ১২শ’। যা বছর শেষে কমবেশি ১৪ হাজার ৪শ’ মানুষ শুধু করোনা আক্রন্তে মৃত্যু হবে। প্রতিদিনই যেন নতুন রেকর্ড গড়ছে করোনা।
গত চব্বিশ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও ৪৭ জন মারা গেছেন। মোট মারা গেছেন চার হাজার ১৭৪ জন। নতুন শনাক্ত হয়েছে দুই হাজার ২১১ জন। করোনা মোট শনাক্ত ৩ লাখ ৬ হাজার ৭৯৪ জন। ৯২টি পরীক্ষাগারে ১৩ হাজার ৯৭৭টি নমুনার মধ্যে পরীক্ষা হয় ১৩ হাজার ৭৪১টি। মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৫ লাখ ১৪ হাজার ১২৬টি। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৬.০৯ শতাংশ, মোট সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৯৬ হাজার ৮৩৬ জন। গতকাল পর্যন্ত শনাক্তের হার ২০.২৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন তিন হাজার ৩৭৮ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার ৬৪.১৬ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.৩৬ শতাংশ।
গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনা বিষয়ক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার ৬৪.১৬ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.৩৬ শতাংশ। রাজধানীসহ সারাদেশের ৯১টি করোনা শনাক্তকরণ আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৩২ জন, আর নারী ১৫ জন। হাসপাতালে মারা গেছেন ৪৪ জন আর বাড়িতে মারা গেছেন তিনজন। পুরুষ মোট মারা গেছেন তিন হাজার ২৭৪ জন। শতকরা হিসেবে ৭৮.৪৪ শতাংশ আর নারী মোট মারা গেছেন ৯০০ জন, ২১.৫৬ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অধিদফতরের এমআইএস (ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম) এর তথ্যমতে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ২১-৩০ বছরের মধ্যে রয়েছেন চারজন, ৩১-৪০ বছরের মধ্যে একজন, ৪১-৫০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে ১১ জন এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সের রয়েছেন ২৬ জন।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ২৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে তিন জন, রাজশাহী বিভাগে দুই জন, খুলনা বিভাগে সাত জন, রংপুরে চার জন এবং বরিশাল ও সিলেট একজন করে। আবার গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়া তিন হাজার ৩৭৮ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন এক হাজার ৯৮৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬৭৭ জন, রংপুর বিভাগে ১২১ জন, খুলনা বিভাগে ১২৮ জন, বরিশাল বিভাগে ৭৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ৯৯ জন, সিলেট বিভাগে ২৪১ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে রয়েছেন ৪৫ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন এক হাজার ৫৭৯ জন, কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়া পেয়েছেন এক হাজার ৬৯৭ জন। কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হযেছেন চার লাখ ৯০ হাজার ৪০২ জন আর ছাড় পেয়েছেন চার লাখ ৩৮ হাজার ১১৫ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫২ হাজার ২৮৭ জন। একই সময়ে আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৫৬৯ জন, আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৬৩৪ জন। আর আইসোলেশনে গেছেন ৬৯ হাজার ৮৬৫ জন, আর আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৭৮১ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ২০ হাজার ৮৪ জন।
প্রসঙ্গত, গত আট মার্চ দেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়, আর ১০ মার্চ প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়।
শনিবার, ২৯ আগস্ট ২০২০ , ৯ মহররম ১৪৪২, ২৯ আগস্ট ২০২০
নতুন শনাক্ত ২২১১
কিছুতেই লাগাম টানা যাচ্ছে না করোনাভাইরাসের। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। গড়ে দৈনিক কমপক্ষে ৪০ জনের মৃত্যু হলে মাস শেষে দাঁড়াবে ১২শ’। যা বছর শেষে কমবেশি ১৪ হাজার ৪শ’ মানুষ শুধু করোনা আক্রন্তে মৃত্যু হবে। প্রতিদিনই যেন নতুন রেকর্ড গড়ছে করোনা।
গত চব্বিশ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও ৪৭ জন মারা গেছেন। মোট মারা গেছেন চার হাজার ১৭৪ জন। নতুন শনাক্ত হয়েছে দুই হাজার ২১১ জন। করোনা মোট শনাক্ত ৩ লাখ ৬ হাজার ৭৯৪ জন। ৯২টি পরীক্ষাগারে ১৩ হাজার ৯৭৭টি নমুনার মধ্যে পরীক্ষা হয় ১৩ হাজার ৭৪১টি। মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৫ লাখ ১৪ হাজার ১২৬টি। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৬.০৯ শতাংশ, মোট সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৯৬ হাজার ৮৩৬ জন। গতকাল পর্যন্ত শনাক্তের হার ২০.২৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন তিন হাজার ৩৭৮ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার ৬৪.১৬ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.৩৬ শতাংশ।
গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনা বিষয়ক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার ৬৪.১৬ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.৩৬ শতাংশ। রাজধানীসহ সারাদেশের ৯১টি করোনা শনাক্তকরণ আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৩২ জন, আর নারী ১৫ জন। হাসপাতালে মারা গেছেন ৪৪ জন আর বাড়িতে মারা গেছেন তিনজন। পুরুষ মোট মারা গেছেন তিন হাজার ২৭৪ জন। শতকরা হিসেবে ৭৮.৪৪ শতাংশ আর নারী মোট মারা গেছেন ৯০০ জন, ২১.৫৬ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অধিদফতরের এমআইএস (ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম) এর তথ্যমতে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ২১-৩০ বছরের মধ্যে রয়েছেন চারজন, ৩১-৪০ বছরের মধ্যে একজন, ৪১-৫০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে ১১ জন এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সের রয়েছেন ২৬ জন।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ২৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে তিন জন, রাজশাহী বিভাগে দুই জন, খুলনা বিভাগে সাত জন, রংপুরে চার জন এবং বরিশাল ও সিলেট একজন করে। আবার গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়া তিন হাজার ৩৭৮ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন এক হাজার ৯৮৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬৭৭ জন, রংপুর বিভাগে ১২১ জন, খুলনা বিভাগে ১২৮ জন, বরিশাল বিভাগে ৭৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ৯৯ জন, সিলেট বিভাগে ২৪১ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে রয়েছেন ৪৫ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন এক হাজার ৫৭৯ জন, কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়া পেয়েছেন এক হাজার ৬৯৭ জন। কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হযেছেন চার লাখ ৯০ হাজার ৪০২ জন আর ছাড় পেয়েছেন চার লাখ ৩৮ হাজার ১১৫ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫২ হাজার ২৮৭ জন। একই সময়ে আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৫৬৯ জন, আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৬৩৪ জন। আর আইসোলেশনে গেছেন ৬৯ হাজার ৮৬৫ জন, আর আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৭৮১ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ২০ হাজার ৮৪ জন।
প্রসঙ্গত, গত আট মার্চ দেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়, আর ১০ মার্চ প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়।