ভোলায় লঞ্চঘাটের পন্টুন নিমজ্জিত

ফেরিঘাটের পন্টুনে লঞ্চ ভেড়া নিয়ে উত্তেজনা : বাড়ছে দুর্ভোগ

ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের ইলিশা ফেরিঘাটের পন্টুনই ফেরির পাশপাশি লঞ্চঘাট হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। এতে সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গত শুক্রবার দুপুরে এমন পরিস্থিতিতে ওই ঘাটে উত্তেজানা দেখা দেয়। অপেক্ষমান ছিল দুটি ফেরি। অপরদিকে ঢাকা রুটের গ্রীনলাইন-২, কর্ণফুলী-১৪ ও লক্ষ্মীপুর রুটের এমভি ফারহান, এমভি দোয়েল পাখি, এমভি পারিজাত, সি-ট্রাক খিজির-৫ ঘাটে ভিড়তে গিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। একদিকে ফেরিতে বাস ট্রাক ওঠছে। অপরদিকে লঞ্চ থেকে যাত্রী নামা ও ফের ওঠা এমন পরিস্থিতিতে যাত্রীরা ক্ষোভ জানাতে থাকেন।

দেখা দেয় উত্তেজনাও। ৪ দিন আগে ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে লঞ্চঘাটের পন্টুন নিমজ্জিত হলে তা উদ্ধার করা হয়নি। নতুন করে পন্টুন স্থাপন করা হয়নি ওই ঘাট। দুর্ঘটনার পর বিআইডব্লিউটিএ একটি টিম ডুবে যাওয়া পন্টুন দেখে বরিশাল ফিরে যান। এমন পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই পাশের ফেরিঘাটেই ভিড়তে শুরু করে লঞ্চগুলো। ঘাট ইজারাদার ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সম্পাদক সোরায়াদ্দি মাস্টার জানান, প্রায় দেড় কোটি টাকার বিনিময়ে ঘাট ইজারা পেয়েছেন। পন্টুন ডুবে গেছে। এটি উত্তোলন করে তা সরিয়ে নিয়ে নতুন পন্টুন দেয়ার কোন ব্যবস্থা করছে না বিআরইডব্লিউটিএ কর্মকর্তারা। অনেকটা বাধ্য হয়েই পাশের ফেরিঘাটের পন্টুন ব্যবহার করে লঞ্চে যাত্রী যাতায়াত অব্যাহত রাখা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে উত্তেজনা দেখা দেয়া স্বাভাবিক। অপরদিকে ফেরিঘাটও জোয়ারের সময় তলিয়ে থাকে। নতুন হাইওয়াটার ঘাট নির্মাণ করা হলেও তা তেমন কোন কাজে লাগছে না। জোয়ারের সময় ৩ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এদিকে ফেরির দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার এমরান হোসেন জানান, একই ঘাটে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল করতে পারে না।

এতে ফেরিতে লোড ও আনলোড করতে সমস্যা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরের এ নিয়ে সংঘাত দেখা দিয়ে ছিল। সি-ট্রাক খিজির-৫ এর ইজারাদার মো. বশির জানান, তারা ঘাটে ভিরলে, ঘাট ইজারাদারকে ট্যাক্স দিতে হয়। অথচ পন্টুন না থাকায় বাধ্য হয়ে এখন ফেরিঘাটে ভিড়তে হচ্ছে। এতে যেমনি যাত্রীদের ভোগান্তি হচ্ছে তেমনি নৌ-যানেরও সমস্যা হচ্ছে। এরা ইলিশাঘাটে আধুনিক মানের র‌্যাম সিস্টেম টার্মিনাল পন্টুন দেয়ার দাবি জানান। বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যানকে ইলিশা ঘাটের বর্তমান পরিস্থিতি জানিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জানান সাবেক শিল্প বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এমপি। একই কথা জানান ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক।

রবিবার, ৩০ আগস্ট ২০২০ , ১০ মহররম ১৪৪২, ১৪ ভাদ্র ১৪২৭

ভোলায় লঞ্চঘাটের পন্টুন নিমজ্জিত

ফেরিঘাটের পন্টুনে লঞ্চ ভেড়া নিয়ে উত্তেজনা : বাড়ছে দুর্ভোগ

প্রতিনিধি, ভোলা

image

ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের ইলিশা ফেরিঘাটের পন্টুনই ফেরির পাশপাশি লঞ্চঘাট হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। এতে সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গত শুক্রবার দুপুরে এমন পরিস্থিতিতে ওই ঘাটে উত্তেজানা দেখা দেয়। অপেক্ষমান ছিল দুটি ফেরি। অপরদিকে ঢাকা রুটের গ্রীনলাইন-২, কর্ণফুলী-১৪ ও লক্ষ্মীপুর রুটের এমভি ফারহান, এমভি দোয়েল পাখি, এমভি পারিজাত, সি-ট্রাক খিজির-৫ ঘাটে ভিড়তে গিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। একদিকে ফেরিতে বাস ট্রাক ওঠছে। অপরদিকে লঞ্চ থেকে যাত্রী নামা ও ফের ওঠা এমন পরিস্থিতিতে যাত্রীরা ক্ষোভ জানাতে থাকেন।

দেখা দেয় উত্তেজনাও। ৪ দিন আগে ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে লঞ্চঘাটের পন্টুন নিমজ্জিত হলে তা উদ্ধার করা হয়নি। নতুন করে পন্টুন স্থাপন করা হয়নি ওই ঘাট। দুর্ঘটনার পর বিআইডব্লিউটিএ একটি টিম ডুবে যাওয়া পন্টুন দেখে বরিশাল ফিরে যান। এমন পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই পাশের ফেরিঘাটেই ভিড়তে শুরু করে লঞ্চগুলো। ঘাট ইজারাদার ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সম্পাদক সোরায়াদ্দি মাস্টার জানান, প্রায় দেড় কোটি টাকার বিনিময়ে ঘাট ইজারা পেয়েছেন। পন্টুন ডুবে গেছে। এটি উত্তোলন করে তা সরিয়ে নিয়ে নতুন পন্টুন দেয়ার কোন ব্যবস্থা করছে না বিআরইডব্লিউটিএ কর্মকর্তারা। অনেকটা বাধ্য হয়েই পাশের ফেরিঘাটের পন্টুন ব্যবহার করে লঞ্চে যাত্রী যাতায়াত অব্যাহত রাখা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে উত্তেজনা দেখা দেয়া স্বাভাবিক। অপরদিকে ফেরিঘাটও জোয়ারের সময় তলিয়ে থাকে। নতুন হাইওয়াটার ঘাট নির্মাণ করা হলেও তা তেমন কোন কাজে লাগছে না। জোয়ারের সময় ৩ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এদিকে ফেরির দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার এমরান হোসেন জানান, একই ঘাটে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল করতে পারে না।

এতে ফেরিতে লোড ও আনলোড করতে সমস্যা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরের এ নিয়ে সংঘাত দেখা দিয়ে ছিল। সি-ট্রাক খিজির-৫ এর ইজারাদার মো. বশির জানান, তারা ঘাটে ভিরলে, ঘাট ইজারাদারকে ট্যাক্স দিতে হয়। অথচ পন্টুন না থাকায় বাধ্য হয়ে এখন ফেরিঘাটে ভিড়তে হচ্ছে। এতে যেমনি যাত্রীদের ভোগান্তি হচ্ছে তেমনি নৌ-যানেরও সমস্যা হচ্ছে। এরা ইলিশাঘাটে আধুনিক মানের র‌্যাম সিস্টেম টার্মিনাল পন্টুন দেয়ার দাবি জানান। বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যানকে ইলিশা ঘাটের বর্তমান পরিস্থিতি জানিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জানান সাবেক শিল্প বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এমপি। একই কথা জানান ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক।