খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা তাইন্দংয়ে পর্যটনের নতুন সম্ভাবনা ভগবান টিলা

পাহাড়ের আরেক সাজেক

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলা তাইন্দং ইউনিয়ন ভারতের সীমান্তের সামনে চোখজুড়ানো দিগন্তজোড়া প্রকৃতির অপরূপ সুন্দর সবুজ পাহাড়। পাহাড়ের চূড়া থেকে নেমে আসা ছল ছল পানির ঝরনাধারা। পাহাড়ের কোল ঘেঁষে বহমান বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বিভাজন রেখা তৈরি করা ফেনী নদী। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১ হাজার ৬শ’ ফুট উপরে অবস্থিত ভগবান টিলা।

এ টিলা হয়ে উঠতে পারে ‘পাহাড়ের আরেক সাজেক’। এলাকার জনশ্রুতি আছে, ভগবান টিলা থেকে ডাক দিলে স্বয়ং ভগবান তা শুনতে পান। পাহাড়ের পর পাহাড়ে সাজানো সবুজ অরণ্য দেশের যেকোন অঞ্চল থেকে এ জনপদকে করেছে আলাদা। ভূ-প্রাকৃতিক গঠনের ফলে স্বতন্ত্র এলাকা হিসেবে আলাদা মর্যাদা দিয়েছে। দেশের এ পাহাড়ি অঞ্চল পর্যটকদের কাছে বরাবরই দারুণ আকর্ষণীয়। এ জনপদ পর্যটকদের কাছে যেমন আকর্ষণীয় তেমনি স্থানীয়দের কাছে ‘ভূস্বর্গ’।

স্থানীয়দের কাছে বি-টিলা নামেই অধিক পরিচিত এটি। মাটিরাঙ্গা উপজেলা সদরের শেষ প্রন্তে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য সীমান্তঘেঁষা তাইন্দংয়ে অবস্থিত ‘ভগবান টিলা’। টিলাটিকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুললে পাহাড়ের সৌন্দর্য ছড়িয়ে পড়বে সারাবিশ্বে-এমনটিই মনে করছেন স্থানীয়রা। পর্যটকদের যাতায়াত অবকাঠামো উন্নয়নের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। আগত পর্যটকদের গাইড সুবিধাও দেবেন তারা। খাগড়াছড়িতে দিন দিন যখন বাড়ছে পর্যটকদের সংখ্যা; মাটিরাঙ্গা আলুটিলা সুরংগ গুহা, রিছাং ঝরনা, তৈদুছড়া ঝরনা ও বাদুড় গুহার পরে দীঘিনালার সীমানা পাড়ায় সন্ধান মিলেছে প্রায় শত ফুট উঁচু ‘তুয়ারি মাইরাং ঝরনা’। যা ইতোমধ্যে পাহাড়ের পর্যটকদের কাছে সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে। অ্যাডভেঞ্চারের স্বাদ নিতে নতুন সন্ধান পাওয়া শত ফুট উঁচু এ টিলা ও ঝরনা দেখতে স্থানীয় পর্যটনপিপাসু ছাড়াও বাইরে থেকে অনেকেই আসছেন। এসব পর্যটকদের নিরাপত্তা ও গাইড সুবিধা দিচ্ছে স্থানীয়রা।

ভগবান টিলা ও ঝরনায় যাতায়াতে অবকাঠামো উন্নয়নের কথা সরকার ভাবছে, তবে দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে পর্যটকদের যাতায়াতে অসুবিধা হয়। আরেক সাজেক ভগবান টিলা পর্যটকদের কাছে নতুন আর্কষণ হতে পারে। ট্রেকিং প্রিয় পর্যটকরা এটি ঘুরে আসতে পারেন।

ভগবান টিলা যাওয়ার সুবিধা দুই দিকে যোগাযোগ ব্যবস্থা

খাগড়াছড়ি জেলা হতে যোগাযোগ ব্যবস্থা সুবিধা দুই দিকে সড়ক পথে মাটিরাঙ্গা উপজেলা থেকে সোজা উত্তরে এবং পানছড়ি উপজেলা হয়ে পশ্চিমে আন্ত: সড়কে গেলেই বালাদেশ-ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে সীমান্তবর্তী ‘ভগবান টিলা’। খাগড়াছড়ি জেলা সদর থেকে উত্তর-পশ্চিমে এর কৌণিক দূরত্ব আনুমানিক ৮৫কিলোমিটার। সবুজের বুকে আঁকাবাঁকা আর উঁচু-নিচু পথ শেষে অবস্থিত এ টিলা। টিলায় রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। সবুজে ঘেরা বাঁশের ঝোঁপ, নাম না জানা নানা ধরনের পার্থিব ডাক আর পাহাড়ের নিচ দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝরনার কলকল শব্দ মিলিয়ে হারিয়ে যাওয়ার এক অনন্য স্থান।

স্থানীয়দের পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তোলার দাবি

নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে ভগবান টিলাকে পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তোলার দাবি উঠেছে স্থানীয়দের মধ্যে। তাদের মতে, ভগবান টিলাকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হলে ভিড় করবে দেশ-বিদেশের হাজারও ভ্রমণপিপাসু পর্যটকরা। বদলে যাবে তাইন্দংয়ের আর্থ-সামাজিক অবস্থা। ব্যাপক উন্নয়নের দিকে ধাবিত হবে এলাকার সাধারন মানুষ।

বান্দরশিং এলাকার অধিবাসী নিহার বিন্দু চাকমা জানান, ভগবান টিলা ছাড়াও এখানে রয়েছে একাধিক ঝরনাধারা। যা ইতোমধ্যে স্থানীয়দের ভ্রমণের উৎস হয়ে উঠেছে। স্থানীয় স্কুল শিক্ষক মো: ইউনুছ মিয়ার মতে, ভগবান টিলাকে ঘিরে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এখানে বেড়াতে আসা অনেকেই উপভোগ করছেন এর সৌন্দর্য।

স্থানীয় মাটিরাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান হিরন্জয় ত্রিপুরা জানান, এটি পাহাড়ের নতুন ভগবানের আশীর্বাদই ভগবানটিলা আরেক সাজেক। স্থানীয়রা বেড়াতে আসলেও বাইরের পর্যটকদের কাছে খুব একটা পরিচিত নয়। এখানে যাতায়াত অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ। সরকারের পক্ষ থেকে রাস্তা উন্নয়নসহ অবকাঠামো নির্মাণ করা হলে পর্যটকদের কাছে ভ্রমণের অন্যতম স্পট হিসেবে জায়গা করে নিতে পারবে। তৈরি হবে মানুষের নতুন সম্ভাবনাময় কর্মসংস্থান।

তাইন্দং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘সাজেকে বসে মেঘের খেলা দেখতে দলে দলে পর্যটকরা সাজেক ছুটছেন। এখানেও দলবেঁধে মানুষ সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসবেন। এখানকার মানুষের নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে অবস্থিত ‘ভগবান টিলা’ এ জনপদে অর্থনীতির দুয়ার খুলে দিতে পারে।’

মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৃলা দেব বলেন, ‘পাহাড় আমাদের সম্পদ। ভগবান টিলা এক সম্ভাবনাময় পাহাড়। পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তোলার সম্ভাব্যতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়োজনীয় সম্ভাব্যতা যাচাই করে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

image

খাগড়াছড়ির ভগবান টিলা -সংবাদ

আরও খবর
দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলায় বিদ্যুৎ বিপর্যয়
আ’লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা আজ
করোনায় একদিনে মৃত্যু ৪ আক্রান্ত ৬৭
সারাদেশে লুটপাট-দুর্নীতি বন্ধে ঐক্যের ডাক
সাংবাদিক-সাহিত্যিক রাহাত খানের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা
হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়া আসামি কয়েক ঘণ্টায় আটক
শিক্ষার মানোন্নয়নে সুলতান মোল্লা স্কুলে কাজ করবে গুড নেইবারস
রাতে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌ-রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে : নৌমন্ত্রী
সিলেটে ক্রিসেন্ট ব্লাড ব্যাংকের আড়ালে অবৈধ রক্ত ব্যবসা
ছাত্রী যৌন হয়রানির অভিযোগ : বিয়াম স্কুলের ২ শিক্ষক বরখাস্ত তদন্ত কমিটি গঠন
দুর্নীতির দায়ে প্রধান শিক্ষকের বেতন বন্ধ সভাপতি পলাতক আসামি
শামুক ভাঙায় লাভবান চিংড়ি খামারি, ঠকছেন নারীরা

রবিবার, ৩০ আগস্ট ২০২০ , ১০ মহররম ১৪৪২, ১৪ ভাদ্র ১৪২৭

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা তাইন্দংয়ে পর্যটনের নতুন সম্ভাবনা ভগবান টিলা

পাহাড়ের আরেক সাজেক

প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি

image

খাগড়াছড়ির ভগবান টিলা -সংবাদ

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলা তাইন্দং ইউনিয়ন ভারতের সীমান্তের সামনে চোখজুড়ানো দিগন্তজোড়া প্রকৃতির অপরূপ সুন্দর সবুজ পাহাড়। পাহাড়ের চূড়া থেকে নেমে আসা ছল ছল পানির ঝরনাধারা। পাহাড়ের কোল ঘেঁষে বহমান বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বিভাজন রেখা তৈরি করা ফেনী নদী। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১ হাজার ৬শ’ ফুট উপরে অবস্থিত ভগবান টিলা।

এ টিলা হয়ে উঠতে পারে ‘পাহাড়ের আরেক সাজেক’। এলাকার জনশ্রুতি আছে, ভগবান টিলা থেকে ডাক দিলে স্বয়ং ভগবান তা শুনতে পান। পাহাড়ের পর পাহাড়ে সাজানো সবুজ অরণ্য দেশের যেকোন অঞ্চল থেকে এ জনপদকে করেছে আলাদা। ভূ-প্রাকৃতিক গঠনের ফলে স্বতন্ত্র এলাকা হিসেবে আলাদা মর্যাদা দিয়েছে। দেশের এ পাহাড়ি অঞ্চল পর্যটকদের কাছে বরাবরই দারুণ আকর্ষণীয়। এ জনপদ পর্যটকদের কাছে যেমন আকর্ষণীয় তেমনি স্থানীয়দের কাছে ‘ভূস্বর্গ’।

স্থানীয়দের কাছে বি-টিলা নামেই অধিক পরিচিত এটি। মাটিরাঙ্গা উপজেলা সদরের শেষ প্রন্তে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য সীমান্তঘেঁষা তাইন্দংয়ে অবস্থিত ‘ভগবান টিলা’। টিলাটিকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুললে পাহাড়ের সৌন্দর্য ছড়িয়ে পড়বে সারাবিশ্বে-এমনটিই মনে করছেন স্থানীয়রা। পর্যটকদের যাতায়াত অবকাঠামো উন্নয়নের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। আগত পর্যটকদের গাইড সুবিধাও দেবেন তারা। খাগড়াছড়িতে দিন দিন যখন বাড়ছে পর্যটকদের সংখ্যা; মাটিরাঙ্গা আলুটিলা সুরংগ গুহা, রিছাং ঝরনা, তৈদুছড়া ঝরনা ও বাদুড় গুহার পরে দীঘিনালার সীমানা পাড়ায় সন্ধান মিলেছে প্রায় শত ফুট উঁচু ‘তুয়ারি মাইরাং ঝরনা’। যা ইতোমধ্যে পাহাড়ের পর্যটকদের কাছে সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে। অ্যাডভেঞ্চারের স্বাদ নিতে নতুন সন্ধান পাওয়া শত ফুট উঁচু এ টিলা ও ঝরনা দেখতে স্থানীয় পর্যটনপিপাসু ছাড়াও বাইরে থেকে অনেকেই আসছেন। এসব পর্যটকদের নিরাপত্তা ও গাইড সুবিধা দিচ্ছে স্থানীয়রা।

ভগবান টিলা ও ঝরনায় যাতায়াতে অবকাঠামো উন্নয়নের কথা সরকার ভাবছে, তবে দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে পর্যটকদের যাতায়াতে অসুবিধা হয়। আরেক সাজেক ভগবান টিলা পর্যটকদের কাছে নতুন আর্কষণ হতে পারে। ট্রেকিং প্রিয় পর্যটকরা এটি ঘুরে আসতে পারেন।

ভগবান টিলা যাওয়ার সুবিধা দুই দিকে যোগাযোগ ব্যবস্থা

খাগড়াছড়ি জেলা হতে যোগাযোগ ব্যবস্থা সুবিধা দুই দিকে সড়ক পথে মাটিরাঙ্গা উপজেলা থেকে সোজা উত্তরে এবং পানছড়ি উপজেলা হয়ে পশ্চিমে আন্ত: সড়কে গেলেই বালাদেশ-ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে সীমান্তবর্তী ‘ভগবান টিলা’। খাগড়াছড়ি জেলা সদর থেকে উত্তর-পশ্চিমে এর কৌণিক দূরত্ব আনুমানিক ৮৫কিলোমিটার। সবুজের বুকে আঁকাবাঁকা আর উঁচু-নিচু পথ শেষে অবস্থিত এ টিলা। টিলায় রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। সবুজে ঘেরা বাঁশের ঝোঁপ, নাম না জানা নানা ধরনের পার্থিব ডাক আর পাহাড়ের নিচ দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝরনার কলকল শব্দ মিলিয়ে হারিয়ে যাওয়ার এক অনন্য স্থান।

স্থানীয়দের পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তোলার দাবি

নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে ভগবান টিলাকে পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তোলার দাবি উঠেছে স্থানীয়দের মধ্যে। তাদের মতে, ভগবান টিলাকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হলে ভিড় করবে দেশ-বিদেশের হাজারও ভ্রমণপিপাসু পর্যটকরা। বদলে যাবে তাইন্দংয়ের আর্থ-সামাজিক অবস্থা। ব্যাপক উন্নয়নের দিকে ধাবিত হবে এলাকার সাধারন মানুষ।

বান্দরশিং এলাকার অধিবাসী নিহার বিন্দু চাকমা জানান, ভগবান টিলা ছাড়াও এখানে রয়েছে একাধিক ঝরনাধারা। যা ইতোমধ্যে স্থানীয়দের ভ্রমণের উৎস হয়ে উঠেছে। স্থানীয় স্কুল শিক্ষক মো: ইউনুছ মিয়ার মতে, ভগবান টিলাকে ঘিরে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এখানে বেড়াতে আসা অনেকেই উপভোগ করছেন এর সৌন্দর্য।

স্থানীয় মাটিরাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান হিরন্জয় ত্রিপুরা জানান, এটি পাহাড়ের নতুন ভগবানের আশীর্বাদই ভগবানটিলা আরেক সাজেক। স্থানীয়রা বেড়াতে আসলেও বাইরের পর্যটকদের কাছে খুব একটা পরিচিত নয়। এখানে যাতায়াত অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ। সরকারের পক্ষ থেকে রাস্তা উন্নয়নসহ অবকাঠামো নির্মাণ করা হলে পর্যটকদের কাছে ভ্রমণের অন্যতম স্পট হিসেবে জায়গা করে নিতে পারবে। তৈরি হবে মানুষের নতুন সম্ভাবনাময় কর্মসংস্থান।

তাইন্দং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘সাজেকে বসে মেঘের খেলা দেখতে দলে দলে পর্যটকরা সাজেক ছুটছেন। এখানেও দলবেঁধে মানুষ সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসবেন। এখানকার মানুষের নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে অবস্থিত ‘ভগবান টিলা’ এ জনপদে অর্থনীতির দুয়ার খুলে দিতে পারে।’

মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৃলা দেব বলেন, ‘পাহাড় আমাদের সম্পদ। ভগবান টিলা এক সম্ভাবনাময় পাহাড়। পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তোলার সম্ভাব্যতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়োজনীয় সম্ভাব্যতা যাচাই করে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’