সাবেক দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে বগুড়া বিয়াম মডেল স্কুল ও কলেজের দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত ও তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (শিক্ষা ও আইসিটি) প্রধান করে শুক্রবার রাতে ৩ সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সাময়িক বরাখাস্ত হওয়া দুই শিক্ষক হলেন- বাংলা বিভাগের শিক্ষক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ও ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক আবদুল মোতালেব। মোবাইল ফোন ও ম্যাসেঞ্জারে ওই দুই শিক্ষক তাদের সাবেক দুই ছাত্রীকে নানাভাবে যৌন হয়রানিসহ ইতোপূর্বে এক শিক্ষক তার এক সাবেক ছাত্রীকে হাত ধরে টানা-হেঁচাড়াও করেছিলেন বলে অভিযোগ। বগুড়া জেলা প্রশাসন পরিচালিত এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, সাবেক ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করার অভিযোগ ওঠায় দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওই দুই শিক্ষক তাদের সাবেক দুই ছাত্রীকে নানাভাবে যৌন হয়রানি করে আসছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। কয়েকদিন আগে এক ছাত্রী বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করলে তা ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর আরেক সাবেক ছাত্রী তাকে যৌন হয়রানি এমনকি হাত ধরে টানা-হেঁচড়া করার বিষয় একইভাবে প্রকাশ করে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করায় শুক্রবার রাতে প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তসহ ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মাসুম আলী বেগকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- বগুড়া সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজিজুর রহমান ও বিয়াম স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, কমিটি অভিযোগের বিষয়গুলো তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিবে। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ম্যাসেঞ্জার ও ফোনের মাধ্যমে যৌন হয়রানিসহ হাত ধরে টানার অভিযোগ উঠেছে। তদন্ত কমিটি এসব অভিযোগ তদন্ত করবে।
রবিবার, ৩০ আগস্ট ২০২০ , ১০ মহররম ১৪৪২, ১৪ ভাদ্র ১৪২৭
প্রতিনিধি, বগুড়া
সাবেক দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে বগুড়া বিয়াম মডেল স্কুল ও কলেজের দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত ও তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (শিক্ষা ও আইসিটি) প্রধান করে শুক্রবার রাতে ৩ সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সাময়িক বরাখাস্ত হওয়া দুই শিক্ষক হলেন- বাংলা বিভাগের শিক্ষক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ও ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক আবদুল মোতালেব। মোবাইল ফোন ও ম্যাসেঞ্জারে ওই দুই শিক্ষক তাদের সাবেক দুই ছাত্রীকে নানাভাবে যৌন হয়রানিসহ ইতোপূর্বে এক শিক্ষক তার এক সাবেক ছাত্রীকে হাত ধরে টানা-হেঁচাড়াও করেছিলেন বলে অভিযোগ। বগুড়া জেলা প্রশাসন পরিচালিত এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, সাবেক ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করার অভিযোগ ওঠায় দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওই দুই শিক্ষক তাদের সাবেক দুই ছাত্রীকে নানাভাবে যৌন হয়রানি করে আসছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। কয়েকদিন আগে এক ছাত্রী বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করলে তা ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর আরেক সাবেক ছাত্রী তাকে যৌন হয়রানি এমনকি হাত ধরে টানা-হেঁচড়া করার বিষয় একইভাবে প্রকাশ করে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করায় শুক্রবার রাতে প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তসহ ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মাসুম আলী বেগকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- বগুড়া সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজিজুর রহমান ও বিয়াম স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, কমিটি অভিযোগের বিষয়গুলো তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিবে। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ম্যাসেঞ্জার ও ফোনের মাধ্যমে যৌন হয়রানিসহ হাত ধরে টানার অভিযোগ উঠেছে। তদন্ত কমিটি এসব অভিযোগ তদন্ত করবে।