লোকসান কমাতে ট্রেনের ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব রেলওয়ের

মন্ত্রী বললেন : এখন নয়, যখন মানুষের সামর্থ্য বাড়বে

লোকসান কমাতে যাত্রী, পণ্য ও কনটেইনারবাহী সব ধরনের ট্রেনের ভাড়া বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে রেলওয়ে। ইতোমধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেনে ২৫-৮০ শতাংশ এবং পণ্য ও কনটেইনারবাহী ট্রেনের জন্য ভাড়া ২০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে রেলওয়ের ভাড়া নির্ধারণ কমিটি। করোনার পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এই বর্ধিত ভাড়া কার্যকর পরিকল্পনা রয়েছে বলে রেলওয়ে সূত্র জানায়। লোকসান কমাতে প্রতিবছর রেলওয়ে ভাড়া বাড়ানো সুপারিশ করে কমিটি। কিন্তু রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে তা নাকচ করা হয়। সর্বশেষ ২০১৬ সালে যাত্রী পরিবহনে ৭ দশমিক ২৩ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়। এছাড়া ২০১২ সালে যাত্রীসেবার মান বাড়ানোর কথা বলে ৫ থেকে ১১০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়। কিন্তু প্রতিবছর রেলওয়ে ভাড়া বৃদ্ধির জন্য এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)’র একটি পরামর্শ ছিল বলে রেলওয়ে সূত্র জানায়।

এ বিষয়ে রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন সাংবাদিকদের বলেন, ভবিষ্যতে যখন মানুষের সামর্থ্য বাড়বে, যে সার্ভিস দিচ্ছি সেই সার্ভিস যখন বৃদ্ধি করতে পারব, যখন একটা স্বাভাবিক অবস্থা আসবে, তখন ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তা করতে পারি। দেড় বছর আগে একটি কমিটি করে দায়িত্ব দিয়েছিলাম। সেই কমিটি সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছে। মহামারীকালে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে ট্রেন চলাচলের যে ব্যবস্থা হয়েছে, তা অব্যাহত থাকবে। সেজন্য ভাড়া বাড়ানোর কোন পরিকল্পনা নেই। সব ট্রেন আমরা পর্যায়ক্রমে চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। করোনাভাইরাস সংক্রমণ এখন উপরের দিকে যাবে না নিচের দিকে নামবে তা এখনও আমরা নিশ্চিত নই। বাস আসন পূর্ণ করে আগের ভাড়ায় চলাচলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, আমরা তেমন কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিনি। এখন পর্যন্ত আমরা রেলের ভাড়া বৃদ্ধির কোন সিদ্ধান্ত নিইনি, তবে এ বিষয়ে গবেষণা চলছে ভবিষ্যতের জন্য। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে ট্রেন চালাতে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, যাত্রীবাহী ট্রেনে নন-এসি সিটে গড়ে ২৫ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া এসি চেয়ার ও বার্থে (কেবিনে) রুটভেদে ৪৩ থেকে ৮০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। পণ্যবাহী ও কনটেইনারবাহী ট্রেনে গড়ে ২০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে কমিটি। এছাড়া কনটেইনারবাহী ট্রেনে প্রদত্ত রেয়াতি ২৫ শতাংশ সুবিধা কমানোর সুপারিশ করা হয়েছে। বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের আন্তঃনগর ট্রেনে নন-এসি (শোভন চেয়ারে) ভাড়া ৩৪৫ টাকা। এ রুটে নতুন ভাড়া ৪৩২ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ভাড়া বাড়ছে প্রায় ২৫ দশমিক ২২ শতাংশ। একই রুটে এসি চেয়ারের ভাড়া ৬৫৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৮০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ভাড়া বাড়ছে প্রায় ৬৫ শতাংশ। আর ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের এসি বার্থের ভাড়া ১ হাজার ১৭৯ টাকা। এ ভাড়া বাড়িয়ে এক হাজার ৯৮০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে ভাড়া বাড়ছে প্রায় ৬৮ শতাংশ।

একইভাবে ঢাকা-সিলেট রুটের আন্তঃনগর ট্রেনে নন-এসির ভাড়া ৩২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০০ টাকা ও এসি চেয়ারের ভাড়া ৬১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ৭০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। আর এসি বার্থের ভাড়া ১ হাজার ৯৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৯৭০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ রুটের এসি বার্থের ভাড়া বাড়ছে প্রায় ৭৯ দশমিক ২৫ শতাংশ। ঢাকা-রাজশাহী রুটের আন্তঃনগর ট্রেনে নন-এসির ভাড়া ৩৪০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪২৫ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। একই রুটে এসি চেয়ারের ভাড়া ৬৫৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ১০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। আর এসি বার্থের ভাড়া ১ হাজার ১৭৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৮৪০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

ঢাকা-দিনাজপুর রুটের আন্তঃনগর ট্রেনে নন-এসি ভাড়া ৪৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫৮২ টাকা ও এসি চেয়ারের ভাড়া ৮৯২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৩৩০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। আর এসি বার্থের ভাড়া ১ হাজার ৫৯৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার ৪৩০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। ঢাকা-পঞ্চগড় রুটের আন্তঃনগর ট্রেনে নন-এসির ভাড়া ৫৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬৮৮ টাকা ও এসি চেয়ারের ভাড়া ১ হাজার ৫৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৭০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। আর এসি বার্থের ভাড়া ১ হাজার ৮৯২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার ৬৯০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

এর বাইরে ঢাকা-রংপুর, ঢাকা-লালমনিরহাট ও ঢাকা-খুলনা রুটের আন্তঃনগর ট্রেনে নন-এসি ভাড়া ৫০৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬৩২ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। আর এসি চেয়ারের ভাড়া ৯৬৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ঢাকা-রংপুর ও ঢাকা-লালমনিরহাট রুটে ১ হাজার ৪৪০ টাকা এবং ঢাকা-খুলনা রুটে ১ হাজার ৩৯০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। আর ঢাকা-রংপুর ও ঢাকা-লালমনিরহাট রুটের এসি বার্থের ভাড়া ১ হাজার ৭৩৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার ৫৬০ টাকা এবং ঢাকা-খুলনা রুটে ১ হাজার ৭৩১ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার ৫৫০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

এদিকে বিভিন্ন ট্রেনের ন্যূনতম ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাবও করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, বর্তমানে ট্রেনে সুলভ শ্রেণীর ন্যূনতম ভাড়া ৩৫ টাকা, যা বাড়িয়ে ৪৫ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া শোভন শ্রেণীর ন্যূনতম ভাড়া ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫৫, শোভন চেয়ারে ৫০ থেকে বাড়িয়ে ৬৫, প্রথম শ্রেণী সিট (নন-এসি) ৯০ থেকে ১১০, স্নিগ্ধা (এসি চেয়ার) ১০০ থেকে বাড়িয়ে ১১০, এসি সিট ও প্রথম শ্রেণী বার্থ (নন-এসি) ১১০ থেকে বাড়িয়ে ১৩০ এবং এসি বার্থ ১৩০ থেকে বাড়িয়ে ১৬৫ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া দ্বিতীয় শ্রেণীর ন্যূনতম ভাড়া ৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ টাকা, দ্বিতীয় শ্রেণীর মেইলে ১৫ টাকার স্থলে ২০ টাকা ও কমিউটার ট্রেনের ন্যূনতম ভাড়া ২০ টাকার স্থলে ২৫ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।

আরও খবর
সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি বাজার ব্যবস্থা
টার্গেট সাড়ে ১৯ লাখ টন সংগ্রহ ৮ লাখ ৩৬ হাজার টন
রেডিও, টিভি পত্রিকার অনলাইন সংস্করণেও নিবন্ধন লাগবে
প্রণব মুখার্জির জীবনাবসান
প্রণব মুখার্জির মৃত্যু উপমহাদেশের রাজনীতিতে অপূরণীয় ক্ষতি : রাষ্ট্রপতি
প্রণব মুখার্জির অনন্য অবদান কখনও বিস্মৃত হওয়ার নয় : প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু ছিলেন
আরও ৩৩ জনের মৃত্যু
নন্দদুলালের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
আগের ভাড়ায় আজ থেকে চলবে গণপরিবহন
জীবিত স্কুলছাত্রী হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বরখাস্ত
ক্রসফায়ারে হত্যায় বরখাস্ত ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে মামলা
ঠিকাদার শাহাদাত জামিন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কারাগার থেকে মুক্ত!

মঙ্গলবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১১ মহররম ১৪৪২, ১৫ ভাদ্র ১৪২৭

লোকসান কমাতে ট্রেনের ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব রেলওয়ের

মন্ত্রী বললেন : এখন নয়, যখন মানুষের সামর্থ্য বাড়বে

ইবরাহীম মাহমুদ আকাশ

লোকসান কমাতে যাত্রী, পণ্য ও কনটেইনারবাহী সব ধরনের ট্রেনের ভাড়া বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে রেলওয়ে। ইতোমধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেনে ২৫-৮০ শতাংশ এবং পণ্য ও কনটেইনারবাহী ট্রেনের জন্য ভাড়া ২০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে রেলওয়ের ভাড়া নির্ধারণ কমিটি। করোনার পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এই বর্ধিত ভাড়া কার্যকর পরিকল্পনা রয়েছে বলে রেলওয়ে সূত্র জানায়। লোকসান কমাতে প্রতিবছর রেলওয়ে ভাড়া বাড়ানো সুপারিশ করে কমিটি। কিন্তু রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে তা নাকচ করা হয়। সর্বশেষ ২০১৬ সালে যাত্রী পরিবহনে ৭ দশমিক ২৩ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়। এছাড়া ২০১২ সালে যাত্রীসেবার মান বাড়ানোর কথা বলে ৫ থেকে ১১০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়। কিন্তু প্রতিবছর রেলওয়ে ভাড়া বৃদ্ধির জন্য এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)’র একটি পরামর্শ ছিল বলে রেলওয়ে সূত্র জানায়।

এ বিষয়ে রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন সাংবাদিকদের বলেন, ভবিষ্যতে যখন মানুষের সামর্থ্য বাড়বে, যে সার্ভিস দিচ্ছি সেই সার্ভিস যখন বৃদ্ধি করতে পারব, যখন একটা স্বাভাবিক অবস্থা আসবে, তখন ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তা করতে পারি। দেড় বছর আগে একটি কমিটি করে দায়িত্ব দিয়েছিলাম। সেই কমিটি সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছে। মহামারীকালে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে ট্রেন চলাচলের যে ব্যবস্থা হয়েছে, তা অব্যাহত থাকবে। সেজন্য ভাড়া বাড়ানোর কোন পরিকল্পনা নেই। সব ট্রেন আমরা পর্যায়ক্রমে চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। করোনাভাইরাস সংক্রমণ এখন উপরের দিকে যাবে না নিচের দিকে নামবে তা এখনও আমরা নিশ্চিত নই। বাস আসন পূর্ণ করে আগের ভাড়ায় চলাচলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, আমরা তেমন কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিনি। এখন পর্যন্ত আমরা রেলের ভাড়া বৃদ্ধির কোন সিদ্ধান্ত নিইনি, তবে এ বিষয়ে গবেষণা চলছে ভবিষ্যতের জন্য। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে ট্রেন চালাতে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, যাত্রীবাহী ট্রেনে নন-এসি সিটে গড়ে ২৫ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া এসি চেয়ার ও বার্থে (কেবিনে) রুটভেদে ৪৩ থেকে ৮০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। পণ্যবাহী ও কনটেইনারবাহী ট্রেনে গড়ে ২০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে কমিটি। এছাড়া কনটেইনারবাহী ট্রেনে প্রদত্ত রেয়াতি ২৫ শতাংশ সুবিধা কমানোর সুপারিশ করা হয়েছে। বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের আন্তঃনগর ট্রেনে নন-এসি (শোভন চেয়ারে) ভাড়া ৩৪৫ টাকা। এ রুটে নতুন ভাড়া ৪৩২ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ভাড়া বাড়ছে প্রায় ২৫ দশমিক ২২ শতাংশ। একই রুটে এসি চেয়ারের ভাড়া ৬৫৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৮০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ভাড়া বাড়ছে প্রায় ৬৫ শতাংশ। আর ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের এসি বার্থের ভাড়া ১ হাজার ১৭৯ টাকা। এ ভাড়া বাড়িয়ে এক হাজার ৯৮০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে ভাড়া বাড়ছে প্রায় ৬৮ শতাংশ।

একইভাবে ঢাকা-সিলেট রুটের আন্তঃনগর ট্রেনে নন-এসির ভাড়া ৩২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০০ টাকা ও এসি চেয়ারের ভাড়া ৬১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ৭০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। আর এসি বার্থের ভাড়া ১ হাজার ৯৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৯৭০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ রুটের এসি বার্থের ভাড়া বাড়ছে প্রায় ৭৯ দশমিক ২৫ শতাংশ। ঢাকা-রাজশাহী রুটের আন্তঃনগর ট্রেনে নন-এসির ভাড়া ৩৪০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪২৫ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। একই রুটে এসি চেয়ারের ভাড়া ৬৫৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ১০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। আর এসি বার্থের ভাড়া ১ হাজার ১৭৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৮৪০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

ঢাকা-দিনাজপুর রুটের আন্তঃনগর ট্রেনে নন-এসি ভাড়া ৪৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫৮২ টাকা ও এসি চেয়ারের ভাড়া ৮৯২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৩৩০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। আর এসি বার্থের ভাড়া ১ হাজার ৫৯৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার ৪৩০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। ঢাকা-পঞ্চগড় রুটের আন্তঃনগর ট্রেনে নন-এসির ভাড়া ৫৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬৮৮ টাকা ও এসি চেয়ারের ভাড়া ১ হাজার ৫৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৭০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। আর এসি বার্থের ভাড়া ১ হাজার ৮৯২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার ৬৯০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

এর বাইরে ঢাকা-রংপুর, ঢাকা-লালমনিরহাট ও ঢাকা-খুলনা রুটের আন্তঃনগর ট্রেনে নন-এসি ভাড়া ৫০৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬৩২ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। আর এসি চেয়ারের ভাড়া ৯৬৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ঢাকা-রংপুর ও ঢাকা-লালমনিরহাট রুটে ১ হাজার ৪৪০ টাকা এবং ঢাকা-খুলনা রুটে ১ হাজার ৩৯০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। আর ঢাকা-রংপুর ও ঢাকা-লালমনিরহাট রুটের এসি বার্থের ভাড়া ১ হাজার ৭৩৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার ৫৬০ টাকা এবং ঢাকা-খুলনা রুটে ১ হাজার ৭৩১ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার ৫৫০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

এদিকে বিভিন্ন ট্রেনের ন্যূনতম ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাবও করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, বর্তমানে ট্রেনে সুলভ শ্রেণীর ন্যূনতম ভাড়া ৩৫ টাকা, যা বাড়িয়ে ৪৫ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া শোভন শ্রেণীর ন্যূনতম ভাড়া ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫৫, শোভন চেয়ারে ৫০ থেকে বাড়িয়ে ৬৫, প্রথম শ্রেণী সিট (নন-এসি) ৯০ থেকে ১১০, স্নিগ্ধা (এসি চেয়ার) ১০০ থেকে বাড়িয়ে ১১০, এসি সিট ও প্রথম শ্রেণী বার্থ (নন-এসি) ১১০ থেকে বাড়িয়ে ১৩০ এবং এসি বার্থ ১৩০ থেকে বাড়িয়ে ১৬৫ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া দ্বিতীয় শ্রেণীর ন্যূনতম ভাড়া ৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ টাকা, দ্বিতীয় শ্রেণীর মেইলে ১৫ টাকার স্থলে ২০ টাকা ও কমিউটার ট্রেনের ন্যূনতম ভাড়া ২০ টাকার স্থলে ২৫ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।