আরও ৪০ জন আসামি
৫০ লাখ টাকা না দেয়ায় ২ ভাই এবং এক ভাগিনাসহ তিনজনকে ক্রসফায়ারে হত্যার অভিযোগে কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৩১ আগস্ট কক্সবাজারের বিচারক হেলাল উদ্দীনের আমলি আদালতে এ মামলাটি দায়ের করা হয়। টেকনাফ উপজেলা রঙ্গীখালী গাজী পাড়ার সুলতানা রাজিয়া মুন্নি নামের এক নারী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী কাশেম আলী সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, গত ৬ মে রাত ২টার দিকে রঙ্গীখালী গাজী পাড়ার সৈয়দ আলম ও তার ভাই নুরুল আলম এবং তাদের ভাগিনা আনসার সদস্য সৈয়দ আবদুল মোনাফকে ওসি প্রদীপ কুমার দাশের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। পরে পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন ওসি প্রদীপ। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ওইদিন ভোরে বন্দুকযুদ্ধের নামে এক সঙ্গে তিনজনকেই হত্যা করা হয়। বাদী পক্ষের আইনজীবী কাশেম আলী বলেন, মামলাটি আমলে নিয়ে তার তদন্তের জন্য টেকনাফ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া গতকাল অন্য একটি মামলার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের আরও একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। র্যাবের করা রিমান্ড আবেদনের প্রেক্ষিতে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহ এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসপি খাইরুল ইসলাম। তিনি জানান, আমরা একদিনের রিমান্ড চেয়েছিলাম, আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। ৩য় দফায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে ৩১ আগস্ট দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে ওসি প্রদীপকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। এর আগে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। এদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন, প্রদীপের রিমান্ড মঞ্জুর আইনসম্মত হয়নি।
মঙ্গলবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১১ মহররম ১৪৪২, ১৫ ভাদ্র ১৪২৭
আরও ৪০ জন আসামি
প্রতিনিধি, কক্সবাজার
৫০ লাখ টাকা না দেয়ায় ২ ভাই এবং এক ভাগিনাসহ তিনজনকে ক্রসফায়ারে হত্যার অভিযোগে কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৩১ আগস্ট কক্সবাজারের বিচারক হেলাল উদ্দীনের আমলি আদালতে এ মামলাটি দায়ের করা হয়। টেকনাফ উপজেলা রঙ্গীখালী গাজী পাড়ার সুলতানা রাজিয়া মুন্নি নামের এক নারী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী কাশেম আলী সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, গত ৬ মে রাত ২টার দিকে রঙ্গীখালী গাজী পাড়ার সৈয়দ আলম ও তার ভাই নুরুল আলম এবং তাদের ভাগিনা আনসার সদস্য সৈয়দ আবদুল মোনাফকে ওসি প্রদীপ কুমার দাশের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। পরে পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন ওসি প্রদীপ। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ওইদিন ভোরে বন্দুকযুদ্ধের নামে এক সঙ্গে তিনজনকেই হত্যা করা হয়। বাদী পক্ষের আইনজীবী কাশেম আলী বলেন, মামলাটি আমলে নিয়ে তার তদন্তের জন্য টেকনাফ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া গতকাল অন্য একটি মামলার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের আরও একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। র্যাবের করা রিমান্ড আবেদনের প্রেক্ষিতে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহ এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসপি খাইরুল ইসলাম। তিনি জানান, আমরা একদিনের রিমান্ড চেয়েছিলাম, আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। ৩য় দফায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে ৩১ আগস্ট দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে ওসি প্রদীপকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। এর আগে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। এদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন, প্রদীপের রিমান্ড মঞ্জুর আইনসম্মত হয়নি।