গতকাল রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার কাওয়ালজানি এলাকার দুর্গম পদ্মার চরে কাদা মাটিতে অর্ধেক পুঁতে রাখা এক কিশোরের দুই হাত বিচ্ছিন্ন অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগে সকালে এলাকার লোকজন নদীরপাড় দিয়ে যাওয়ার সময় লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে পুলিশকে অবগত করেন।
পুলিশ বলছে উদ্ধার হওয়া লাশের এখন পর্যন্ত পরিচয় পাওয়া যায়নি। অজ্ঞাত হিসেবেই লাশের ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে স্থানীয় একটি পরিবারের দাবি, এটি পাঁচ দিন আগে নিখোঁজ তরুণ মো. মিরাজ খার (১৬) লাশ। সে গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের উত্তরচর পাচুরিয়া গ্রামের সিরাজ খার ছেলে এবং দৌলতদিয়া মডেল হাই স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র।
পুলিশ ও এলাকার কয়েকজন জানান, গতকাল বেলা দশটার দিকে উপজেলার দেবগ্রাম ইউপির কাওয়ালজানি এলাকার পদ্মা নদীর দুর্গম চর দিয়ে এলাকার কয়েকজন যাওয়ার সময় কাদাপানিতে অর্ধেক পুঁতে রাখা একটি লাশ দেখতে পায়। বিষয়টি তাৎক্ষণিক দেবগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলামকে অবগত করলে তিনি দ্রুত গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে দুপুরের দিকে পুলিশ কাদামাটি থেকে মিরাজের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। এ সময় মিরাজের বাম হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন ছিল। ডান হাতও শরীরের কাঁধ থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। দুটি হাত পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি। শরীরে ধারালো অস্ত্রের কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
সিরাজের ফুপাতো বোন জামাই দেবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আবদুস সালাম জানান, গত বুধবার রাত ৮টার দিকে বাড়িতে রাতের খাবার খাচ্ছিল মিরাজ। মুঠোফোনে অজ্ঞাত একটি জরুরি ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এ সময় বাড়িতে মিরাজের মা-বাবা কেউ ছিল না। অসুস্থতার কারণে মা ফরিদপুর হাসপাতালে ছিলেন। বাড়িতে থাকা ছোট বোনের কাছে জরুরি ফোনের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এরপর আর ফিরে আসেনি। পরদিন মিরাজের বাবা সিরাজ খাঁ গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি নিখোঁজ সংক্রান্ত সাধারণ ডায়েরি করেন।
দেবগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলামও উদ্ধার হওয়া লাশ মিরাজের বলে জানান। তিনি বলেন, তবে লাশে পচন ধরায় কিছুটা অস্পষ্ট থাকলেও প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে লাশটি নিখোঁজ মিরাজ খার হবে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল-তায়াবীর বলেন, দুই হাত বিচ্ছিন্ন তরুণের লাশের এখনও পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। লাশে পচন ধরায় পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে নিখোঁজ মিরাজের লাশের বিষয়ে পরিবারও নিশ্চিত করেনি । বিষয়টি আরও নিশ্চিত না হয়ে বলতে পারছি না। প্রাথমিকভাবে সুরতহাল শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১১ মহররম ১৪৪২, ১৫ ভাদ্র ১৪২৭
প্রতিনিধি, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)
গতকাল রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার কাওয়ালজানি এলাকার দুর্গম পদ্মার চরে কাদা মাটিতে অর্ধেক পুঁতে রাখা এক কিশোরের দুই হাত বিচ্ছিন্ন অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগে সকালে এলাকার লোকজন নদীরপাড় দিয়ে যাওয়ার সময় লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে পুলিশকে অবগত করেন।
পুলিশ বলছে উদ্ধার হওয়া লাশের এখন পর্যন্ত পরিচয় পাওয়া যায়নি। অজ্ঞাত হিসেবেই লাশের ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে স্থানীয় একটি পরিবারের দাবি, এটি পাঁচ দিন আগে নিখোঁজ তরুণ মো. মিরাজ খার (১৬) লাশ। সে গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের উত্তরচর পাচুরিয়া গ্রামের সিরাজ খার ছেলে এবং দৌলতদিয়া মডেল হাই স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র।
পুলিশ ও এলাকার কয়েকজন জানান, গতকাল বেলা দশটার দিকে উপজেলার দেবগ্রাম ইউপির কাওয়ালজানি এলাকার পদ্মা নদীর দুর্গম চর দিয়ে এলাকার কয়েকজন যাওয়ার সময় কাদাপানিতে অর্ধেক পুঁতে রাখা একটি লাশ দেখতে পায়। বিষয়টি তাৎক্ষণিক দেবগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলামকে অবগত করলে তিনি দ্রুত গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে দুপুরের দিকে পুলিশ কাদামাটি থেকে মিরাজের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। এ সময় মিরাজের বাম হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন ছিল। ডান হাতও শরীরের কাঁধ থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। দুটি হাত পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি। শরীরে ধারালো অস্ত্রের কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
সিরাজের ফুপাতো বোন জামাই দেবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আবদুস সালাম জানান, গত বুধবার রাত ৮টার দিকে বাড়িতে রাতের খাবার খাচ্ছিল মিরাজ। মুঠোফোনে অজ্ঞাত একটি জরুরি ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এ সময় বাড়িতে মিরাজের মা-বাবা কেউ ছিল না। অসুস্থতার কারণে মা ফরিদপুর হাসপাতালে ছিলেন। বাড়িতে থাকা ছোট বোনের কাছে জরুরি ফোনের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এরপর আর ফিরে আসেনি। পরদিন মিরাজের বাবা সিরাজ খাঁ গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি নিখোঁজ সংক্রান্ত সাধারণ ডায়েরি করেন।
দেবগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলামও উদ্ধার হওয়া লাশ মিরাজের বলে জানান। তিনি বলেন, তবে লাশে পচন ধরায় কিছুটা অস্পষ্ট থাকলেও প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে লাশটি নিখোঁজ মিরাজ খার হবে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল-তায়াবীর বলেন, দুই হাত বিচ্ছিন্ন তরুণের লাশের এখনও পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। লাশে পচন ধরায় পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে নিখোঁজ মিরাজের লাশের বিষয়ে পরিবারও নিশ্চিত করেনি । বিষয়টি আরও নিশ্চিত না হয়ে বলতে পারছি না। প্রাথমিকভাবে সুরতহাল শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।