উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করে সপরিবারে এলাকাছাড়া

ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক মনিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়েরকারী তরুণী সপরিবারে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। তাকে এসিড ছুঁড়ে ঝলসে দেয়াসহ লাশ গুম ও বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেবার হুমকি দেয়া হচ্ছে। মামলা দায়েরকারি তরুণী রোববার বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেছেন। তিনি গত ২৫ আগস্ট বরিশাল বিভাগীয় নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে কাঁঠালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। তার বাড়ি কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া গ্রামে। আদালতের নির্দেশে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ তরুণীর অভিযোগ সম্পর্কে তদন্ত করছে।

সংবাদ সম্মেলনে ওই তরুণী বলেন, ২০১৭ সালে চাকরি চাইতে কাঁঠালিয়ার তৎকালীন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান (বর্তমানে চেয়ারম্যান) এমদাদুল হক মনিরের কাছে গিয়েছিলেন তিনি। তখন তরুণী সদ্য এসএসসি পাস করেছেন। চাকরি দেবার কথা বলে ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল তাকে বরিশাল নগরীর আগরপুর রোডে বন্ধু মিঠু সিকদারের বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করে মনির। ওইদিনই তথাকথিত এক কাজী ডেকে বিয়ে করার কথা বলে বিভিন্ন কাগজপত্রে তার স্বাক্ষর নেয়া হয়। এরপর থেকে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে মনির তার বাড়ি, আমুয়া বাজারে তার ৫ তলা ভবনে, বরিশাল নগরীতে বন্ধু মিঠু সিকদারের বাসা এবং ঢাকার লঞ্চের কেবিনে একসঙ্গে থেকেছেন। এক পর্যায়ে বিয়ের কাগজপত্র চাইলে মনির টালবাহানা শুরু করে এবং বিয়ে হয়নি বলে জানায়। এর প্রতিকার চেয়ে গত ২৫ আগস্ট মনিরের বিরুদ্ধে বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ওই তরুণী।

তরুণীর অভিযোগ, মামলা দায়েরের পর মনিরের সহযোগীরা তার (নির্যাতিতা) বাড়ি গিয়ে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে স্বাক্ষীদের স্বাক্ষী না দেবার জন্য নানা রকমের হুমকি দিচ্ছে। পরে তার এবং তার মায়ের মুঠোফোনে কল দিয়ে এসিড ছুঁড়ে ঝসলে দেয়াসহ অপহরণ করে হত্যা এবং গুমের হুমকি দেয়া হচ্ছে। তরুণীর প্রবাসী বাবাকেও ফোনে নানান হুমকি দেবার অভিযোগ করা হয়। নিরাপত্তাহীনতার কারনে বর্তমানে তরুণী ও তার মা এলাকা ছেড়ে ফরিদপুরে এক নিকটাত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরের স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা আমির হোসেন আমুর সহায়তা কামনা করেন ওই তরুণী।

আরও খবর
জিয়া-খালেদা-তারেক সবার হাতেই রক্তের দাগ : প্রধানমন্ত্রী
১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট বাংলাদেশে কারবালার বিয়োগান্তক ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটে প্রধানমন্ত্রী
প্রবীণ সাংবাদিক ফেরদৌস কোরেশীর জীবনাবসান
স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অক্সিজেনের অভাবে রোগীর মৃত্যু
সম্রাট ও খালেদের সহযোগীরা ফের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টায়
পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ ৭ পদে রদবদল
টেকনাফে স্থানীয়-রোহিঙ্গাদের জন্য দুশ’ শয্যাবিশিষ্ট আইসোলেশন সেন্টার উদ্বোধন
দেশে পৌঁছেছে সিআর দত্তের মরদেহ
আজ খুলছে সাজেক ভ্যালি
কাদামাটিতে অর্ধেক পুঁতে রাখা শিশুর লাশ উদ্ধার
জঞ্জাল সরিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সাজানোর উদ্যোগ কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত
রংপুর উপজেলা যুবদল কমিটি নিয়ে বাণিজ্য
ক্যাভার্ডভ্যান চাপায় ২ সহোদরসহ ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

মঙ্গলবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১১ মহররম ১৪৪২, ১৫ ভাদ্র ১৪২৭

উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করে সপরিবারে এলাকাছাড়া

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরিশাল

ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক মনিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়েরকারী তরুণী সপরিবারে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। তাকে এসিড ছুঁড়ে ঝলসে দেয়াসহ লাশ গুম ও বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেবার হুমকি দেয়া হচ্ছে। মামলা দায়েরকারি তরুণী রোববার বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেছেন। তিনি গত ২৫ আগস্ট বরিশাল বিভাগীয় নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে কাঁঠালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। তার বাড়ি কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া গ্রামে। আদালতের নির্দেশে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ তরুণীর অভিযোগ সম্পর্কে তদন্ত করছে।

সংবাদ সম্মেলনে ওই তরুণী বলেন, ২০১৭ সালে চাকরি চাইতে কাঁঠালিয়ার তৎকালীন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান (বর্তমানে চেয়ারম্যান) এমদাদুল হক মনিরের কাছে গিয়েছিলেন তিনি। তখন তরুণী সদ্য এসএসসি পাস করেছেন। চাকরি দেবার কথা বলে ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল তাকে বরিশাল নগরীর আগরপুর রোডে বন্ধু মিঠু সিকদারের বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করে মনির। ওইদিনই তথাকথিত এক কাজী ডেকে বিয়ে করার কথা বলে বিভিন্ন কাগজপত্রে তার স্বাক্ষর নেয়া হয়। এরপর থেকে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে মনির তার বাড়ি, আমুয়া বাজারে তার ৫ তলা ভবনে, বরিশাল নগরীতে বন্ধু মিঠু সিকদারের বাসা এবং ঢাকার লঞ্চের কেবিনে একসঙ্গে থেকেছেন। এক পর্যায়ে বিয়ের কাগজপত্র চাইলে মনির টালবাহানা শুরু করে এবং বিয়ে হয়নি বলে জানায়। এর প্রতিকার চেয়ে গত ২৫ আগস্ট মনিরের বিরুদ্ধে বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ওই তরুণী।

তরুণীর অভিযোগ, মামলা দায়েরের পর মনিরের সহযোগীরা তার (নির্যাতিতা) বাড়ি গিয়ে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে স্বাক্ষীদের স্বাক্ষী না দেবার জন্য নানা রকমের হুমকি দিচ্ছে। পরে তার এবং তার মায়ের মুঠোফোনে কল দিয়ে এসিড ছুঁড়ে ঝসলে দেয়াসহ অপহরণ করে হত্যা এবং গুমের হুমকি দেয়া হচ্ছে। তরুণীর প্রবাসী বাবাকেও ফোনে নানান হুমকি দেবার অভিযোগ করা হয়। নিরাপত্তাহীনতার কারনে বর্তমানে তরুণী ও তার মা এলাকা ছেড়ে ফরিদপুরে এক নিকটাত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরের স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা আমির হোসেন আমুর সহায়তা কামনা করেন ওই তরুণী।