সরকারের বিনিয়োগবান্ধব পদক্ষেপের ফলে বিডার নিবন্ধনে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ২ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তুলনায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক বিনিয়োগ বাস্তবায়িত হয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চার বছরপূর্তি উপলক্ষে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনায় বিশ্বব্যাংকের ব্যবসা সহজীকরণ সূচকে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দুই অঙ্কে নিয়ে আসার লক্ষ্যে সূচকভিত্তিক একটি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। এই সূচকে এ বছর বাংলাদেশের অবস্থান ১৭৬ থেকে ৮ ধাপ এগিয়ে ১৬৮তে উন্নীত হয়েছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সব ধরনের সেবা অনলাইনে প্রদানের লক্ষ্যে বিডা কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সহযোগিতায় দেশের প্রথম ইন্টার অপারেবল ওয়ান স্টপ সার্ভিস (ওএসএস) পোর্টাল প্রস্তুত করেছে।
৩৫টি সংস্থা থেকে ১৫৪টি সেবাকে ওএসএস কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বিডা ২১টি সেবা ওএসএসের মাধ্যমে প্রদান করছে এবং শীঘ্রই আরও ১৬টি সেবা এ তালিকায় যুক্ত হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি আজ এক দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক ইচ্ছায় বিনিয়োগ বোর্ড ও প্রাইভেটাইজেন কমিশনকে একীভূত করে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৬ এর ৪ ধারা অনুযায়ী ওই বছরেরই ১ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠা লাভ করে বিডা। বিডার ভিশন হলো ‘অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জনে বিশ্বমানের বিনিয়োগ বিকাশ প্রতিষ্ঠানে প্ররিণত হয়’ বলেও জানান বিডার এ নির্বাহী পরিচালক।
তিনি আরও জানান, দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে উদ্যোক্তা তৈরির জন্য উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও দক্ষতা উন্নয়ন (ইএসডিপি) শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বিডা। এর আওতায় চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন ৪৬ হাজার তরুণ। তার মধ্যে ১৪ হাজার ৫০ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে, এদের মধ্যে আবার ২ হাজার ৯২৬ জন ব্যবসার উদ্যোগও নিয়েছেন। জেলা, উপজেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে ‘বিনিয়োগ ও ব্যবসা উন্নয়ন সহায়তা কমিটি’ বিনিয়োগ বিকাশে দায়িত্ব পালন করছে। এর মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে বিনিয়োগ বিকাশ ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিডা তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। মন্ত্রী, অর্থ মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে ইওডিবি স্টিয়ারিং কমিটি এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে এনসিএমআইডি কমিটি বিনিয়োগ বিকাশে বিভিন্ন সরকারি কার্যক্রম, সংস্কার বিষয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
বুধবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১২ মহররম ১৪৪২, ১৬ ভাদ্র ১৪২৭
অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |
সরকারের বিনিয়োগবান্ধব পদক্ষেপের ফলে বিডার নিবন্ধনে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ২ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তুলনায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক বিনিয়োগ বাস্তবায়িত হয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চার বছরপূর্তি উপলক্ষে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনায় বিশ্বব্যাংকের ব্যবসা সহজীকরণ সূচকে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দুই অঙ্কে নিয়ে আসার লক্ষ্যে সূচকভিত্তিক একটি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। এই সূচকে এ বছর বাংলাদেশের অবস্থান ১৭৬ থেকে ৮ ধাপ এগিয়ে ১৬৮তে উন্নীত হয়েছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সব ধরনের সেবা অনলাইনে প্রদানের লক্ষ্যে বিডা কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সহযোগিতায় দেশের প্রথম ইন্টার অপারেবল ওয়ান স্টপ সার্ভিস (ওএসএস) পোর্টাল প্রস্তুত করেছে।
৩৫টি সংস্থা থেকে ১৫৪টি সেবাকে ওএসএস কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বিডা ২১টি সেবা ওএসএসের মাধ্যমে প্রদান করছে এবং শীঘ্রই আরও ১৬টি সেবা এ তালিকায় যুক্ত হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি আজ এক দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক ইচ্ছায় বিনিয়োগ বোর্ড ও প্রাইভেটাইজেন কমিশনকে একীভূত করে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৬ এর ৪ ধারা অনুযায়ী ওই বছরেরই ১ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠা লাভ করে বিডা। বিডার ভিশন হলো ‘অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জনে বিশ্বমানের বিনিয়োগ বিকাশ প্রতিষ্ঠানে প্ররিণত হয়’ বলেও জানান বিডার এ নির্বাহী পরিচালক।
তিনি আরও জানান, দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে উদ্যোক্তা তৈরির জন্য উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও দক্ষতা উন্নয়ন (ইএসডিপি) শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বিডা। এর আওতায় চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন ৪৬ হাজার তরুণ। তার মধ্যে ১৪ হাজার ৫০ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে, এদের মধ্যে আবার ২ হাজার ৯২৬ জন ব্যবসার উদ্যোগও নিয়েছেন। জেলা, উপজেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে ‘বিনিয়োগ ও ব্যবসা উন্নয়ন সহায়তা কমিটি’ বিনিয়োগ বিকাশে দায়িত্ব পালন করছে। এর মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে বিনিয়োগ বিকাশ ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিডা তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। মন্ত্রী, অর্থ মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে ইওডিবি স্টিয়ারিং কমিটি এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে এনসিএমআইডি কমিটি বিনিয়োগ বিকাশে বিভিন্ন সরকারি কার্যক্রম, সংস্কার বিষয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।