দেশ টিভিতে নতুন ধারাবাহিক নাটক ‘ফ্যামিলি ফ্যান্টাসি’

দেশ টিভিতে গতকাল থেকে প্রচার শুরু হয়েছে নতুন ধারাবাহিক নাটক ‘ফ্যামিলি ফ্যান্টাসি’। আদিত্য জায়িদের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন অনন্য ইমন।

নাটকে অভিনয় করছেন জিয়াউল হাসান কিসলু, ডলি জহুর, শতাব্দি ওয়াদুদ, নাদিয়া, ইরফান সাজ্জাদ, নাদিয়া নদী, কাজী উজ্জ্বল, ইভানা, এস আই শহীদ, ঈশিকা, মৌসুমি বিশ্বাস। মঙ্গল থেকে বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ১৫ মিনিটে নাটকটি প্রচার শুরু হবে।

নাটক সম্পর্কে পরিচালক জানান, এই বিশ্বসংসারে যখন প্রতিদিনই কিছু না কিছু অদ্ভুত, অনাকাক্সিক্ষত, অমানবিক, হাস্যকর ঘটনা ঘটে চলেছে। আমরা সচেতন বা অবচেতন ভাবে সেসব ঘটনার সঙ্গে কোন না কোনভাবে জড়িয়ে যাই। ঠিক যেমনটি আবেদ সাহেবের পরিবারে দেখা যায়। আবেদ সাহেবের পরিবারের সদস্যসংখ্যা মোটে ৭ জন। কিন্তু কখনও কখনও এই সাতজনের নানামাত্রিক আচরণে সমস্ত পরিবারের ওপর সাত আসমান ভেঙে পড়ে। এমনিতে সবকিছু ঠিকঠাক। দুঃখ যা একটু তা শুধু বড় মেয়েটাকে নিয়ে। বিয়ের ছয়মাসের মাথায় সংসার করা সম্ভব নয় বলে স্বামীকে ছেড়ে চলে এসেছে। কেন? কী সমস্যা? সেসবের কোন উত্তর নেই। একেক সময় একেক রকম তথ্য সে দেয়। যার কোনটা সত্য, কোনোটা বানানো। বড় ছিচকাঁদুনে স্বভাবের। বড় ছেলে বিশ্ববিদ্যালয় পাস করে বেকার। সমাজবদলের যে চিন্তা তার মাথায় ঢুকেছিল ছাত্রাবস্থায় সেই স্বপ্নেই বুঁদ হয়ে একেক সময় একেকরকম কাজে যুক্ত হয়ে পড়ে। কিছুদিন পর ‘কিচ্ছু হবে না, সব ভ-’, এসব বলে সব ছেড়েছুড়ে ঘরবন্দি হয়, নতুন কোনো স্বপ্নে। এখনও অবিবাহিত। প্রেমিকা একজন ছিল বটে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে কিন্তু কোন এক অজানা কারণে সম্পর্কোচ্ছেদ হয়। ছোট ছেলেমেয়ে দুটো পিঠাপিঠি। সারাক্ষণ দুজনের মধ্যে ঝগড়া, অভিমান চলতে থাকে। তবে বেশিক্ষণ একা একা থাকতে পারে না। দুজনেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। নানা রকম অদ্ভুত আইডিয়া সবসময় তাদের মাথার মধ্যে ঘুরতে থাকে। ছেলেটা প্রেমে পড়েছে বোঝা যায়। কিন্তু মেয়েটা বেশ কনফিউসড এসব ব্যাপারে। বাসার কাজের লোকটা আবেদ সাহেবেরই গ্রামের। বহু বছর ধরে আছে। তিনকুলে তার কেউ নাই। এই সংসারই তার সংসার। তবে তার ভুলে যাবার রোগ আছে। আবেদ সাহেবের স্ত্রী চরিত্রটিকে সন্তানদের সব ব্যাপারেই সাহায্যকারীর ভূমিকায় দেখা যায়। সন্তানদের সব কিছুতেই তার সায়। অনেক চেষ্টা করেও কঠোর হতে পারে না। আর আবেদ সাহেব এসব দেখতে দেখতে সর্বংসহা। গল্পে আমরা একটা মামা চরিত্র দেখা যাবে, যে মাঝে মাঝে আবির্ভূত হবে। তার একমাত্র মাথাব্যথা বড় ভাগ্নের বিয়ে।

গল্পটি এই পরিবারকেই ঘিরে আবর্তিত হবে। তবে অনুসঙ্গ হয়ে ঢুকে যাবে নিত্যদিনের ঘটে চলা ঘটনা ও তার অভিঘাত। যার একটা প্রভাব দেখা যাবে সেই সংসারে। গল্পের ভেতরে সমাজের নানান অসঙ্গতি ভিন্ন কৌশলে দর্শকদের সামনে উপস্থাপিত করা হবে এখানে।

বুধবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১২ মহররম ১৪৪২, ১৬ ভাদ্র ১৪২৭

দেশ টিভিতে নতুন ধারাবাহিক নাটক ‘ফ্যামিলি ফ্যান্টাসি’

বিনোদন প্রতিবেদক |

image

দেশ টিভিতে গতকাল থেকে প্রচার শুরু হয়েছে নতুন ধারাবাহিক নাটক ‘ফ্যামিলি ফ্যান্টাসি’। আদিত্য জায়িদের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন অনন্য ইমন।

নাটকে অভিনয় করছেন জিয়াউল হাসান কিসলু, ডলি জহুর, শতাব্দি ওয়াদুদ, নাদিয়া, ইরফান সাজ্জাদ, নাদিয়া নদী, কাজী উজ্জ্বল, ইভানা, এস আই শহীদ, ঈশিকা, মৌসুমি বিশ্বাস। মঙ্গল থেকে বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ১৫ মিনিটে নাটকটি প্রচার শুরু হবে।

নাটক সম্পর্কে পরিচালক জানান, এই বিশ্বসংসারে যখন প্রতিদিনই কিছু না কিছু অদ্ভুত, অনাকাক্সিক্ষত, অমানবিক, হাস্যকর ঘটনা ঘটে চলেছে। আমরা সচেতন বা অবচেতন ভাবে সেসব ঘটনার সঙ্গে কোন না কোনভাবে জড়িয়ে যাই। ঠিক যেমনটি আবেদ সাহেবের পরিবারে দেখা যায়। আবেদ সাহেবের পরিবারের সদস্যসংখ্যা মোটে ৭ জন। কিন্তু কখনও কখনও এই সাতজনের নানামাত্রিক আচরণে সমস্ত পরিবারের ওপর সাত আসমান ভেঙে পড়ে। এমনিতে সবকিছু ঠিকঠাক। দুঃখ যা একটু তা শুধু বড় মেয়েটাকে নিয়ে। বিয়ের ছয়মাসের মাথায় সংসার করা সম্ভব নয় বলে স্বামীকে ছেড়ে চলে এসেছে। কেন? কী সমস্যা? সেসবের কোন উত্তর নেই। একেক সময় একেক রকম তথ্য সে দেয়। যার কোনটা সত্য, কোনোটা বানানো। বড় ছিচকাঁদুনে স্বভাবের। বড় ছেলে বিশ্ববিদ্যালয় পাস করে বেকার। সমাজবদলের যে চিন্তা তার মাথায় ঢুকেছিল ছাত্রাবস্থায় সেই স্বপ্নেই বুঁদ হয়ে একেক সময় একেকরকম কাজে যুক্ত হয়ে পড়ে। কিছুদিন পর ‘কিচ্ছু হবে না, সব ভ-’, এসব বলে সব ছেড়েছুড়ে ঘরবন্দি হয়, নতুন কোনো স্বপ্নে। এখনও অবিবাহিত। প্রেমিকা একজন ছিল বটে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে কিন্তু কোন এক অজানা কারণে সম্পর্কোচ্ছেদ হয়। ছোট ছেলেমেয়ে দুটো পিঠাপিঠি। সারাক্ষণ দুজনের মধ্যে ঝগড়া, অভিমান চলতে থাকে। তবে বেশিক্ষণ একা একা থাকতে পারে না। দুজনেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। নানা রকম অদ্ভুত আইডিয়া সবসময় তাদের মাথার মধ্যে ঘুরতে থাকে। ছেলেটা প্রেমে পড়েছে বোঝা যায়। কিন্তু মেয়েটা বেশ কনফিউসড এসব ব্যাপারে। বাসার কাজের লোকটা আবেদ সাহেবেরই গ্রামের। বহু বছর ধরে আছে। তিনকুলে তার কেউ নাই। এই সংসারই তার সংসার। তবে তার ভুলে যাবার রোগ আছে। আবেদ সাহেবের স্ত্রী চরিত্রটিকে সন্তানদের সব ব্যাপারেই সাহায্যকারীর ভূমিকায় দেখা যায়। সন্তানদের সব কিছুতেই তার সায়। অনেক চেষ্টা করেও কঠোর হতে পারে না। আর আবেদ সাহেব এসব দেখতে দেখতে সর্বংসহা। গল্পে আমরা একটা মামা চরিত্র দেখা যাবে, যে মাঝে মাঝে আবির্ভূত হবে। তার একমাত্র মাথাব্যথা বড় ভাগ্নের বিয়ে।

গল্পটি এই পরিবারকেই ঘিরে আবর্তিত হবে। তবে অনুসঙ্গ হয়ে ঢুকে যাবে নিত্যদিনের ঘটে চলা ঘটনা ও তার অভিঘাত। যার একটা প্রভাব দেখা যাবে সেই সংসারে। গল্পের ভেতরে সমাজের নানান অসঙ্গতি ভিন্ন কৌশলে দর্শকদের সামনে উপস্থাপিত করা হবে এখানে।