নিবন্ধনে দৈনিক পত্রিকার অনলাইন ভার্সন অগ্রাধিকার পাবে : তথ্যমন্ত্রী 

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের ক্ষেত্রে দৈনিক পত্রিকাগুলোর অনলাইন ভার্সন অগ্রাধিকার পাবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল দুপুরে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সম্পাদক পরিষদের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান। তথ্যসচিব কামরুন নাহার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, দৈনিক সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনীরুজ্জামান, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, দি ডেইলি সানের সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরী, বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি সভায় অংশ নেন।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বৈঠকে সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠকের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, আমরা সবসময়ই সংবাদপত্র ও সার্বিকভাবে গণমাধ্যমের বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করি। আজকেও তাই হয়েছে। করোনাকালে সংবাদপত্র তাদের কর্মযজ্ঞ অব্যাহত রাখায় আমি তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। সেই সঙ্গে সাংবাদিকদের জন্যও এই করোনাকালে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় প্রণোদনা দেয়া হয়েছে।

এ সময় দৈনিক পত্রিকাগুলোর অনলাইন ভার্সন নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দৈনিক পত্রিকার অনলাইন ভার্সনগুলোকে যাতে সহসাই রেজিস্ট্রেশন দেয়া হয়, আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। কারণ, পত্রিকার ডিক্লারেশনের সময় এগুলোর তদন্ত হয়েছে। আমরা অগ্রাধিকারভিত্তিতে পত্রিকাগুলোর অনলাইন ভার্সনগুলোর রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করব।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে পত্রপত্রিকার বকেয়া বিলের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন ‘কয়েকশ’ কোটি টাকার বিল বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দফতরে আটকে আছে। সেটি নিয়েও আলোচনা হয়েছে, যাতে বিলগুলো তাড়াতাড়ি বিভিন্ন দফতরগুলো ছাড় করে। আমি মনে করি, এই বিলগুলো সহসাই দিয়ে দেয়া প্রয়োজন। এখন করোনাকালে পত্র-পত্রিকায় নানা সংকট আছে। যেহেতু দিতেই হবে, সুতরাং এখন দিলে সেটি কাজে বেশি লাগবে। তিনি বলেন, ইতোপূর্বে সব মন্ত্রণালয় এবং দফতরে পত্র-পত্রিকার বিল ছাড় করার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে তাগিদপত্র দেয়া হয়েছিল এবং সেটির আলোকে তথ্য মন্ত্রণালয়ও একটি তাগিদপত্র দিয়েছিল, কিছু বিল ছাড়ও হয়েছিল। কিন্তু বকেয়ার তুলনায় ছাড়ের পরিমাণ নগণ্য হওয়ায় তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দফতরকে আবারও একটি তাগিদপত্র দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

বুধবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১২ মহররম ১৪৪২, ১৬ ভাদ্র ১৪২৭

নিবন্ধনে দৈনিক পত্রিকার অনলাইন ভার্সন অগ্রাধিকার পাবে : তথ্যমন্ত্রী 

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের ক্ষেত্রে দৈনিক পত্রিকাগুলোর অনলাইন ভার্সন অগ্রাধিকার পাবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল দুপুরে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সম্পাদক পরিষদের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান। তথ্যসচিব কামরুন নাহার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, দৈনিক সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনীরুজ্জামান, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, দি ডেইলি সানের সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরী, বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি সভায় অংশ নেন।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বৈঠকে সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠকের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, আমরা সবসময়ই সংবাদপত্র ও সার্বিকভাবে গণমাধ্যমের বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করি। আজকেও তাই হয়েছে। করোনাকালে সংবাদপত্র তাদের কর্মযজ্ঞ অব্যাহত রাখায় আমি তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। সেই সঙ্গে সাংবাদিকদের জন্যও এই করোনাকালে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় প্রণোদনা দেয়া হয়েছে।

এ সময় দৈনিক পত্রিকাগুলোর অনলাইন ভার্সন নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দৈনিক পত্রিকার অনলাইন ভার্সনগুলোকে যাতে সহসাই রেজিস্ট্রেশন দেয়া হয়, আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। কারণ, পত্রিকার ডিক্লারেশনের সময় এগুলোর তদন্ত হয়েছে। আমরা অগ্রাধিকারভিত্তিতে পত্রিকাগুলোর অনলাইন ভার্সনগুলোর রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করব।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে পত্রপত্রিকার বকেয়া বিলের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন ‘কয়েকশ’ কোটি টাকার বিল বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দফতরে আটকে আছে। সেটি নিয়েও আলোচনা হয়েছে, যাতে বিলগুলো তাড়াতাড়ি বিভিন্ন দফতরগুলো ছাড় করে। আমি মনে করি, এই বিলগুলো সহসাই দিয়ে দেয়া প্রয়োজন। এখন করোনাকালে পত্র-পত্রিকায় নানা সংকট আছে। যেহেতু দিতেই হবে, সুতরাং এখন দিলে সেটি কাজে বেশি লাগবে। তিনি বলেন, ইতোপূর্বে সব মন্ত্রণালয় এবং দফতরে পত্র-পত্রিকার বিল ছাড় করার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে তাগিদপত্র দেয়া হয়েছিল এবং সেটির আলোকে তথ্য মন্ত্রণালয়ও একটি তাগিদপত্র দিয়েছিল, কিছু বিল ছাড়ও হয়েছিল। কিন্তু বকেয়ার তুলনায় ছাড়ের পরিমাণ নগণ্য হওয়ায় তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দফতরকে আবারও একটি তাগিদপত্র দেয়া হবে বলে জানান তিনি।