দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় চেইন মাল্টিপ্লেক্স স্টার সিনেপ্লেক্সের ছয়টি হল একেবারেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির মিডিয়া-বিপণন বিভাগের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি জানান, বসুন্ধরা শপিং সেন্টারে তাদের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত। তবে এর কারণ, মহামারি বা দর্শক সংকট নয়।
তিনি বলেন, ‘মার্কেট মালিকের পক্ষ থেকে ফ্লোর ছাড়ার নোটিস পেয়েছি আমরা। অক্টোবর ২০২০ সাল পর্যন্ত চুক্তি ছিল আমাদের। এবার সেটি আর নবায়ন হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে ফ্লোর মালিক যদি আমাদের ভাড়া না দেন, তাহলে তো আর কিছু করার থাকে না। আমরা ছাড়তে বাধ্য।’
২০০৪ সাল থেকে স্টার সিনেপ্লেক্সের কার্যক্রম শুরু হয় বসুন্ধরা সিটি থেকে। এমনকি পরবর্তী সময়ে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে এই প্রতিষ্ঠানের আরও ৯টি হল স্থাপিত হলেও বসুন্ধরা সিটির মাল্টিপ্লেক্সটি সবচেয়ে জনপ্রিয় সিনেমাপ্রেমীদের কাছে।
মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ বললেন, ‘দেখুন এটা ঠিক বসুন্ধরা সিটি আমাদের অনেক আবেগের জায়গা। এখান থেকেই আমরা তিল তিল করে শুরু করেছি। এরপর আমরা আরও অনেক মাল্টিপ্লেক্স করেছি এই শহরে। তবে এটাই ছিল আমাদের সবার প্রাণকেন্দ্র। কিন্তু দিন শেষে আমরা তো ভাড়াটিয়া। মালিকপক্ষ যখন আমাদের নোটিস দেয় ছাড়ার, তো সেটা তো মানতেই হবে। তবে আমরা বসুন্ধরা থেকে দর্শকদের যে ভালোবাসা পেয়েছি সেটা নিশ্চয়ই ধরে রাখবো অন্য হলগুলোর মাধ্যমে।’
স্টার সিনেপ্লেক্সের অন্য মাল্টিপ্লেক্সগুলোর মধ্যে রয়েছে ঝিগাতলার সীমান্ত স্কয়ার ও মহাখালীর এসকে টাওয়ারে। আরেকটি মাল্টিপ্লেক্স তৈরি হচ্ছে মিরপুর সনি সিনেমা হলকে ঘিরে। প্রসঙ্গত, করোনা মহামারির কারণে গত ছয়মাস এমনিতেই বন্ধ ছিল স্টার সিনেপ্লেক্সের সব আউটলেট।
বৃহস্পতিবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৩ মহররম ১৪৪২, ১৭ ভাদ্র ১৪২৭
বিনোদন প্রতিবেদক |
দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় চেইন মাল্টিপ্লেক্স স্টার সিনেপ্লেক্সের ছয়টি হল একেবারেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির মিডিয়া-বিপণন বিভাগের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি জানান, বসুন্ধরা শপিং সেন্টারে তাদের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত। তবে এর কারণ, মহামারি বা দর্শক সংকট নয়।
তিনি বলেন, ‘মার্কেট মালিকের পক্ষ থেকে ফ্লোর ছাড়ার নোটিস পেয়েছি আমরা। অক্টোবর ২০২০ সাল পর্যন্ত চুক্তি ছিল আমাদের। এবার সেটি আর নবায়ন হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে ফ্লোর মালিক যদি আমাদের ভাড়া না দেন, তাহলে তো আর কিছু করার থাকে না। আমরা ছাড়তে বাধ্য।’
২০০৪ সাল থেকে স্টার সিনেপ্লেক্সের কার্যক্রম শুরু হয় বসুন্ধরা সিটি থেকে। এমনকি পরবর্তী সময়ে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে এই প্রতিষ্ঠানের আরও ৯টি হল স্থাপিত হলেও বসুন্ধরা সিটির মাল্টিপ্লেক্সটি সবচেয়ে জনপ্রিয় সিনেমাপ্রেমীদের কাছে।
মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ বললেন, ‘দেখুন এটা ঠিক বসুন্ধরা সিটি আমাদের অনেক আবেগের জায়গা। এখান থেকেই আমরা তিল তিল করে শুরু করেছি। এরপর আমরা আরও অনেক মাল্টিপ্লেক্স করেছি এই শহরে। তবে এটাই ছিল আমাদের সবার প্রাণকেন্দ্র। কিন্তু দিন শেষে আমরা তো ভাড়াটিয়া। মালিকপক্ষ যখন আমাদের নোটিস দেয় ছাড়ার, তো সেটা তো মানতেই হবে। তবে আমরা বসুন্ধরা থেকে দর্শকদের যে ভালোবাসা পেয়েছি সেটা নিশ্চয়ই ধরে রাখবো অন্য হলগুলোর মাধ্যমে।’
স্টার সিনেপ্লেক্সের অন্য মাল্টিপ্লেক্সগুলোর মধ্যে রয়েছে ঝিগাতলার সীমান্ত স্কয়ার ও মহাখালীর এসকে টাওয়ারে। আরেকটি মাল্টিপ্লেক্স তৈরি হচ্ছে মিরপুর সনি সিনেমা হলকে ঘিরে। প্রসঙ্গত, করোনা মহামারির কারণে গত ছয়মাস এমনিতেই বন্ধ ছিল স্টার সিনেপ্লেক্সের সব আউটলেট।