পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে চারদিন ধরে লাগাতার অব্যাহত যানজটে যাত্রী এবং যানবাহন শ্রমিকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দুই পারে ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে পণ্যবাহী ট্রাকসহ ৭ শতাধিক যানবাহন। ঘাট এলাকার অদূরে মহাসড়কের ওপর ৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পণ্যবাহী ট্রাক আটকে রাখা হয়েছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী যানবাহন পার করায় পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে ২/৩ দিন করে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ফেরি পারাপারের জন্য। ফলে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এসব যানবাহন শ্রমিকদের। নাব্যতা সংকট, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত এবং যানবাহনের চাপ বৃদ্ধির কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে এ অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা গেছে, নদীতে প্রবল ¯্রােত এবং নাব্যতা সংকটের কারণে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে দফায় দফায় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে যানবাহন পারাপার। ফলে ওই নৌরুটের যানবাহনগুলো এখন পারাপার হচ্ছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে। এতে এ নৌপথে যানবাহনের চাপ বাড়ছে। যানবাহনের চাপ বাড়লেও ফেরির সংখ্যা বাড়েনি। ফলে প্রতিদিন স্বাভাবিকের চেয়ে তিন/চারশ’ বেশি গাড়ি পারাপার করতে হিমশিম ক্ষেতে হচ্ছে ফেরি কর্তৃপক্ষকে। এদিকে নদীতে অস্বাভাবিক মাত্রায় পানি কমার কারণে নাব্যতা সংকট দেখা দেয়ায় পাটুরিয়া ঘাটের ব্যাচিন এলাকা এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটেও গত ২৮ আগস্ট থেকে চারটি ড্রেজার দিয়ে খনন কাজ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। এতে গত ৩০ আগস্ট থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের অ্যাপ্রোচ (পুরাতন বা মূল চ্যানেল) দিয়ে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েেেছ। পাটুরিয়া লঞ্চ ঘাটের অদূরে ওপরের অংশ এবং মধুমতির নীচের অংশ দিয়ে ওয়ান-ওয়ে পদ্ধতিতে শুরু চ্যানেল দিয়ে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ফেরি চলাচল করছে। এতে ৮ থেকে ১০মিনিট করে সময় বেশি লাগছে এবং ফেরি ট্রিপ সংখ্যা কম হচ্ছে। ফলে দুই পারে গাড়ি জমা হয়ে বিশেষ করে পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে ফেরি পার হতে ৩/৪ দিন করে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এছাড়া ঘাট এলাকা যানজটমুক্ত রাখতে পুলিশ পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে মানিকগঞ্জের শিবালয়ের পাটুরিয়া ঘাটের অদুরে উথলী মোড় থেকে আরিচা দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আটকিয়ে রাখছে। রাজবাড়ির দৌলতদিয়া প্রান্তে দৌলতদিয়া-খুলনা মহাসড়কের উপর আটকিয়ে রাখছে। এতে দুই পারেই গতকাল দুপুরে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত টার্মিনাল পরিপূর্ণ হয়ে মাহসড়কের চার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পণ্যবাহী ট্রাকের সারি রয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছে এসব ট্রাকের শ্রমিকরা।
ট্রাক শ্রমিক আবদুল হাই বলেন, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উথলী মোড়ে আসলে পুলিশ ওখানে ট্রাক আটকিয়ে আরিচা ঘাটের দিকে পাঠিয়ে দেন। রাতে আরিচা ঘাটের কাছে মহাসড়কের ওপর সারিবদ্ধভাবে থাকি। কখন ঘাটে পৌঁছাবো এবং ফেরি পার হতে পারবো তা বলতে পারছি না।
বিআইডব্লিউটিসি’র মেরিন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পদ্মায় অস্বাভাবিক মাত্রায় পানি কমছে। প্রতিদিন ১০/১২ সেন্টিমিটার করে পানি কমছে। এতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ার পুরাতন (মূল চ্যানেলে) নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে। এ চ্যানেলে ড্রেজিং কাজ চলায় ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ফেরিগুলো বিকল্প চ্যানেল দিয়ে ওয়ান-ওয়ে পদ্ধতিতে ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় চলাচল করছে এবং সময় বেশি লাগায় ফেরির ট্রিপ সংখ্যা কম হচ্ছে। বিআইডব্লিউটিসি’র আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডিপুটি জেনারেল ম্যানেজার জিল্লুর রহমান বলেন, মাওয়ায় ফেরি চলাচল ব্যাহত, যানবাহনের চাপ বৃদ্ধির কারণে এ অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মাওয়া রুটের গাড়িগুলো পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট ব্যবহার করছে। ফলে প্রতিদিন স্বাভাবিকের চেয়ে তিন/চারশ’ বেশি গাড়ি পারাপার করতে হচ্ছে। যাত্রীবাহী যানবাহন অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পারাপার করায় দুই পারেই পণ্যবাহী ট্রাক জমে যাচ্ছে। তবে মাওয়ায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হলে এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের ফেরি বহরে আরও একটি রো-রো ফেরি সংযোগ করলে হয়তো এ সমস্যা থাকবে না বলে তিনি জানান।
শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী রুট নাব্যতা সংকটে পরিদর্শনে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান
প্রতিনিধি, শিবচর (মাদারীপুর)
গতকাল শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী রুট নাব্যতা সংকট পরিস্থিতি পরিদর্শন করেছেন বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক। এ সময় তিনি লৌহজং টার্নিং চ্যানেল, পদ্মা সেতুর চায়না চ্যানেল পরিদর্শন করেন ও ড্রেজিং কার্যক্রম তদারকি করেন। এ সময় বিআইডব্লিউটিএর প্রধান প্রকৌশলী সাইদুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক বলেন, আমরা চেষ্টা করছি ৪/৫ দিনের মধ্যে লৌহজং টার্নিং চ্যানেলটি চালু করতে। তাহলে সব ধরনের ফেরি চালু হবে। পদ্মা সেতু যে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে ক্রস করার জন্য। সেজন্য আমরা রাতে ফেরি বন্ধ রাখছি ও দিনে ছোট ছোট কয়েকটি ফেরি চালাচ্ছি। ফেরি মাস্টার ও লঞ্চ মাস্টারদের সাবধানতার সঙ্গে নৌযান চালাতে হবে। আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে ¯্রােতের পরিমাণ বেশি তাই পলি অনেক বেশি আসে। আমরা বিআইডব্লিউটিসির মাধ্যমে চেষ্টা করছি ছোট ফেরির সংখ্যা বাড়াতে।
বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমি জনসাধারণকে অনুরোধ করব তারা যেন বিকল্প রুট হিসেবে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ব্যবহার করুন। কয়েকদিন কষ্ট করতে হবে। কয়েকদিনের মধ্যে সুন্দর ব্যবস্থা চালু করবো। আমরা চেষ্টা করছি নৌ পরিবহন যাতে একেবারেই বন্ধ না হয়ে যায়। ক্ষুদ্র পরিসরেও যেন চালু থাকে। বিআইডব্লিউটিএ সে লক্ষ্যে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৩ মহররম ১৪৪২, ১৭ ভাদ্র ১৪২৭
রফিকুল ইসলাম, শিবালয় (মানিকগঞ্জ)
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে চারদিন ধরে লাগাতার অব্যাহত যানজটে যাত্রী এবং যানবাহন শ্রমিকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দুই পারে ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে পণ্যবাহী ট্রাকসহ ৭ শতাধিক যানবাহন। ঘাট এলাকার অদূরে মহাসড়কের ওপর ৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পণ্যবাহী ট্রাক আটকে রাখা হয়েছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী যানবাহন পার করায় পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে ২/৩ দিন করে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ফেরি পারাপারের জন্য। ফলে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এসব যানবাহন শ্রমিকদের। নাব্যতা সংকট, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত এবং যানবাহনের চাপ বৃদ্ধির কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে এ অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা গেছে, নদীতে প্রবল ¯্রােত এবং নাব্যতা সংকটের কারণে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে দফায় দফায় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে যানবাহন পারাপার। ফলে ওই নৌরুটের যানবাহনগুলো এখন পারাপার হচ্ছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে। এতে এ নৌপথে যানবাহনের চাপ বাড়ছে। যানবাহনের চাপ বাড়লেও ফেরির সংখ্যা বাড়েনি। ফলে প্রতিদিন স্বাভাবিকের চেয়ে তিন/চারশ’ বেশি গাড়ি পারাপার করতে হিমশিম ক্ষেতে হচ্ছে ফেরি কর্তৃপক্ষকে। এদিকে নদীতে অস্বাভাবিক মাত্রায় পানি কমার কারণে নাব্যতা সংকট দেখা দেয়ায় পাটুরিয়া ঘাটের ব্যাচিন এলাকা এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটেও গত ২৮ আগস্ট থেকে চারটি ড্রেজার দিয়ে খনন কাজ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। এতে গত ৩০ আগস্ট থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের অ্যাপ্রোচ (পুরাতন বা মূল চ্যানেল) দিয়ে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েেেছ। পাটুরিয়া লঞ্চ ঘাটের অদূরে ওপরের অংশ এবং মধুমতির নীচের অংশ দিয়ে ওয়ান-ওয়ে পদ্ধতিতে শুরু চ্যানেল দিয়ে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ফেরি চলাচল করছে। এতে ৮ থেকে ১০মিনিট করে সময় বেশি লাগছে এবং ফেরি ট্রিপ সংখ্যা কম হচ্ছে। ফলে দুই পারে গাড়ি জমা হয়ে বিশেষ করে পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে ফেরি পার হতে ৩/৪ দিন করে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এছাড়া ঘাট এলাকা যানজটমুক্ত রাখতে পুলিশ পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে মানিকগঞ্জের শিবালয়ের পাটুরিয়া ঘাটের অদুরে উথলী মোড় থেকে আরিচা দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আটকিয়ে রাখছে। রাজবাড়ির দৌলতদিয়া প্রান্তে দৌলতদিয়া-খুলনা মহাসড়কের উপর আটকিয়ে রাখছে। এতে দুই পারেই গতকাল দুপুরে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত টার্মিনাল পরিপূর্ণ হয়ে মাহসড়কের চার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পণ্যবাহী ট্রাকের সারি রয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছে এসব ট্রাকের শ্রমিকরা।
ট্রাক শ্রমিক আবদুল হাই বলেন, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উথলী মোড়ে আসলে পুলিশ ওখানে ট্রাক আটকিয়ে আরিচা ঘাটের দিকে পাঠিয়ে দেন। রাতে আরিচা ঘাটের কাছে মহাসড়কের ওপর সারিবদ্ধভাবে থাকি। কখন ঘাটে পৌঁছাবো এবং ফেরি পার হতে পারবো তা বলতে পারছি না।
বিআইডব্লিউটিসি’র মেরিন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পদ্মায় অস্বাভাবিক মাত্রায় পানি কমছে। প্রতিদিন ১০/১২ সেন্টিমিটার করে পানি কমছে। এতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ার পুরাতন (মূল চ্যানেলে) নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে। এ চ্যানেলে ড্রেজিং কাজ চলায় ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ফেরিগুলো বিকল্প চ্যানেল দিয়ে ওয়ান-ওয়ে পদ্ধতিতে ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় চলাচল করছে এবং সময় বেশি লাগায় ফেরির ট্রিপ সংখ্যা কম হচ্ছে। বিআইডব্লিউটিসি’র আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডিপুটি জেনারেল ম্যানেজার জিল্লুর রহমান বলেন, মাওয়ায় ফেরি চলাচল ব্যাহত, যানবাহনের চাপ বৃদ্ধির কারণে এ অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মাওয়া রুটের গাড়িগুলো পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট ব্যবহার করছে। ফলে প্রতিদিন স্বাভাবিকের চেয়ে তিন/চারশ’ বেশি গাড়ি পারাপার করতে হচ্ছে। যাত্রীবাহী যানবাহন অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পারাপার করায় দুই পারেই পণ্যবাহী ট্রাক জমে যাচ্ছে। তবে মাওয়ায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হলে এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের ফেরি বহরে আরও একটি রো-রো ফেরি সংযোগ করলে হয়তো এ সমস্যা থাকবে না বলে তিনি জানান।
শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী রুট নাব্যতা সংকটে পরিদর্শনে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান
প্রতিনিধি, শিবচর (মাদারীপুর)
গতকাল শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী রুট নাব্যতা সংকট পরিস্থিতি পরিদর্শন করেছেন বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক। এ সময় তিনি লৌহজং টার্নিং চ্যানেল, পদ্মা সেতুর চায়না চ্যানেল পরিদর্শন করেন ও ড্রেজিং কার্যক্রম তদারকি করেন। এ সময় বিআইডব্লিউটিএর প্রধান প্রকৌশলী সাইদুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক বলেন, আমরা চেষ্টা করছি ৪/৫ দিনের মধ্যে লৌহজং টার্নিং চ্যানেলটি চালু করতে। তাহলে সব ধরনের ফেরি চালু হবে। পদ্মা সেতু যে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে ক্রস করার জন্য। সেজন্য আমরা রাতে ফেরি বন্ধ রাখছি ও দিনে ছোট ছোট কয়েকটি ফেরি চালাচ্ছি। ফেরি মাস্টার ও লঞ্চ মাস্টারদের সাবধানতার সঙ্গে নৌযান চালাতে হবে। আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে ¯্রােতের পরিমাণ বেশি তাই পলি অনেক বেশি আসে। আমরা বিআইডব্লিউটিসির মাধ্যমে চেষ্টা করছি ছোট ফেরির সংখ্যা বাড়াতে।
বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমি জনসাধারণকে অনুরোধ করব তারা যেন বিকল্প রুট হিসেবে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ব্যবহার করুন। কয়েকদিন কষ্ট করতে হবে। কয়েকদিনের মধ্যে সুন্দর ব্যবস্থা চালু করবো। আমরা চেষ্টা করছি নৌ পরিবহন যাতে একেবারেই বন্ধ না হয়ে যায়। ক্ষুদ্র পরিসরেও যেন চালু থাকে। বিআইডব্লিউটিএ সে লক্ষ্যে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে।