অনলাইন ক্লাসনামক প্রহসন

বৈশ্বিক মহামারী করোনার প্রভাবে সমগ্র বিশ্বই পর্যুদস্ত। বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশের অগ্রগতি অনেক টা স্থবির হয়ে পড়েছে করোনার প্রভাবে। ১৮ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হয়তো অনলাইন ক্লাস নিচ্ছে। অনেক সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস হচ্ছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল কলেজ এ তো পুরোদমে ক্লাস হচ্ছে।

সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর অধিকাংশ শিক্ষার্থী নিম্নবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসা। অনেকেরই স্মার্টফোন নেই। ডাটা প্যাকের দাম ও অনেক। করোনার কারনে সকল শিক্ষার্থী নিজ বাড়িতে আছে। গ্রামে ঘরের ভিতর ফোনে কথা বলার মতো নেটওয়ার্ক ই থাকে না। ক্লাস করতে বাইরে যাওয়া লাগে। এখন বর্ষাকাল, গ্রামের অধিকাংশ শিক্ষার্থী এই রোদ বৃষ্টির মধ্যে বাইরে ছাতা মাথায় ক্লাস করে।

আর যাদের স্মার্ট ফোন নাই তারা তো ক্লাস করতে পারবে না। এই বৈশ্বিক মহামারিতে যখন দুবেলা দুমুঠো খেয়ে বেঁচে থাকা টা অনেক বড় ব্যাপার সেখানে অনলাইনে ক্লাস এর ব্যাপারটা অনেক টা প্রহসনের মতো। মৌলিক চাহিদাগুলোর মধ্যে শিক্ষা সর্বশেষ। তাই অনলাইন ক্লাস নিয়ে এতো মাতামাতি না করে এর আগের চারটি মৌলিক চাহিদা পূরণ নিশ্চিত করতে হবে।

বিশ্বের কোন দেশে কি হচ্ছে তা না ভেবে নিজ দেশের প্রেক্ষাপট টা বিবেচনা করা উচিত। যদি ১০০% শিক্ষার্থীকেই অনলাইন ক্লাসের আওতায় আনা সম্ভব হয় তাহলেই এই ব্যাপারে ভাবা উচিত। ইউজিসির নতুন নীতিমালা অনুযায়ী অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের স্মার্ট ফোন কেনার জন্য সরকারি সহযোগিতা করা হবে।

করোনার কারনে এমনিতেই অর্থনীতি স্থবির তার উপর অনেক জেলা বন্যাকবলিত। এই অবস্থায় দেশের মানুষের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা বেশি প্রয়োজন। যেখানে বেঁচে থাকাটা বড় ব্যাপার সেখানে অনলাইন ক্লাস নামের প্রহসনটা বন্ধ করা হোক।

সুকান্ত দাস

পরিসংখ্যান বিভাগ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া

বৃহস্পতিবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৩ মহররম ১৪৪২, ১৭ ভাদ্র ১৪২৭

অনলাইন ক্লাসনামক প্রহসন

বৈশ্বিক মহামারী করোনার প্রভাবে সমগ্র বিশ্বই পর্যুদস্ত। বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশের অগ্রগতি অনেক টা স্থবির হয়ে পড়েছে করোনার প্রভাবে। ১৮ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হয়তো অনলাইন ক্লাস নিচ্ছে। অনেক সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস হচ্ছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল কলেজ এ তো পুরোদমে ক্লাস হচ্ছে।

সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর অধিকাংশ শিক্ষার্থী নিম্নবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসা। অনেকেরই স্মার্টফোন নেই। ডাটা প্যাকের দাম ও অনেক। করোনার কারনে সকল শিক্ষার্থী নিজ বাড়িতে আছে। গ্রামে ঘরের ভিতর ফোনে কথা বলার মতো নেটওয়ার্ক ই থাকে না। ক্লাস করতে বাইরে যাওয়া লাগে। এখন বর্ষাকাল, গ্রামের অধিকাংশ শিক্ষার্থী এই রোদ বৃষ্টির মধ্যে বাইরে ছাতা মাথায় ক্লাস করে।

আর যাদের স্মার্ট ফোন নাই তারা তো ক্লাস করতে পারবে না। এই বৈশ্বিক মহামারিতে যখন দুবেলা দুমুঠো খেয়ে বেঁচে থাকা টা অনেক বড় ব্যাপার সেখানে অনলাইনে ক্লাস এর ব্যাপারটা অনেক টা প্রহসনের মতো। মৌলিক চাহিদাগুলোর মধ্যে শিক্ষা সর্বশেষ। তাই অনলাইন ক্লাস নিয়ে এতো মাতামাতি না করে এর আগের চারটি মৌলিক চাহিদা পূরণ নিশ্চিত করতে হবে।

বিশ্বের কোন দেশে কি হচ্ছে তা না ভেবে নিজ দেশের প্রেক্ষাপট টা বিবেচনা করা উচিত। যদি ১০০% শিক্ষার্থীকেই অনলাইন ক্লাসের আওতায় আনা সম্ভব হয় তাহলেই এই ব্যাপারে ভাবা উচিত। ইউজিসির নতুন নীতিমালা অনুযায়ী অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের স্মার্ট ফোন কেনার জন্য সরকারি সহযোগিতা করা হবে।

করোনার কারনে এমনিতেই অর্থনীতি স্থবির তার উপর অনেক জেলা বন্যাকবলিত। এই অবস্থায় দেশের মানুষের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা বেশি প্রয়োজন। যেখানে বেঁচে থাকাটা বড় ব্যাপার সেখানে অনলাইন ক্লাস নামের প্রহসনটা বন্ধ করা হোক।

সুকান্ত দাস

পরিসংখ্যান বিভাগ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া