‘গাঙচিল’ দিয়েই ফিরবেন ফেরদৌস-পূর্ণিমা

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত দুই নায়ক নায়িকা ফেরদৌস ও পূর্ণিমা করোনার কারণে বিরতি শেষে একসঙ্গেই আবারো ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন বলে জানিয়েছেন। নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল পরিচালিত ‘গাঙচিল’ সিনেমার শুটিং-এর মধ্যদিয়েই তারা দু’জন শুটিং-এ ফিরবেন। ওবায়দুল কাদেরের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে এই চলচ্চিত্রটি। অবশ্য শুটিং শেষ না হলেও এরইমধ্যে সিনেমাটির পোস্টার ফেসবুকে প্রকাশিত হয়েছে। ছবিতে এতে সাংবাদিকের চরিত্রে ফেরদৌস ও এনজিও কর্মীর চরিত্রে অভিনয় করছেন পূর্ণিমা। বিশেষ চরিত্রে রয়েছেন কলকাতার অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তা। ছবিটি প্রযোজনা করছে ইচ্ছেমত ও নুজহাত ফিল্মস। সিনেমার চিত্রনাট্য লিখেছেন মারুফ রেহমান ও প্রিয় চট্টোপাধ্যায়। সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, আনিসুর রহমান মিলন, আহসানুল হক মিনু প্রমুখ। ছবিটির কাজ প্রায় শেষের দিকে। একটা দৃশ্য ও দুটি গানের কাজ শুধু বাকি আছে, যা করোনার কারণে পিছিয়ে যায়। নির্মাতা জানান, করোনার সংক্রমণ কমলেই বাকি থাকা শুটিং শেষ করে মুক্তির তারিখ চুড়ান্ত করা হবে। তবে লকডাউনের দিনগুলোতে বাসাতেই নিরাপদে থাকার পর ফেরদৌস কিংবা পূর্ণিমা দু’জনেরই কেউই এখনও বাসা থেকে বের হননি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে যদি সিনেমার শুটিং শুরু হয় তবে দু’জনই শুটিং করবেন বলে জানা যায়। ‘গাঙচিল’ সিনেমার শুটিং কবে নাগাদ শুরু হয় তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর থেকে বিভিন্ন সিনেমার শুটিং শুরু হতে যাচ্ছে। জানা যায়, সেসব সিনেমার শুটিং-এর সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ‘গাঙচিল’ টিম সিদ্ধান্ত নিবে কবে নাগাদ শুটিং শুরু করা যেতে পারে। ফেরদৌস বলেন, ‘ করোনার এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আসলে কোনভাবেই শুটিং করা সম্ভব নয়। তারপরও নানান পরিচালক সিনেমায় কাজ করার জন্য যোগাযোগ করছেন। আমার পরিবারের কথা ভাবনায় রেখেই আসলে শূটিং করতে পারছিনা। অনেকেই বলছেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুটিং-এ যাবেন তারা। কিন্তু আদৌ কী স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুটিং করা যায়। নাটকের শুটিং স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেউ কেউ করছেন। আবার করোনায় আক্রান্ত হবারও খবর পাচ্ছি। মূলকথা আমি মনেকরি পরিবার আমার কাছে সবার আগে। পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাটা জরুরি। কারণ আমার স্ত্রী, আমার দুই মেয়ের কথা ভাবতেই হবে। বাইরে গিয়ে শুটিং করে আমাকে বাসাতেই ফিরতে হবে। তবে যদি শুটিং-এ ফিরি তাহলে গাঙচিল দিয়েই ফিরবো। কারণ এই সিনেমার কাজটি দ্রুত শেষ করে দর্শকের সামনে নিয়ে আসা উচিত বলে আমি মনেকরি।’

পূর্ণিমা বলেন,‘ লকডাউনের দিনগুলোতে আমি যেমন ঘর থেকে একদমই বের হইনি। এরপরও অনেকের কাছে স্বাভাবিক মনে হলেও আসলে করোনা পরিস্থিতির সার্বিক অবস্থা ভালো নয়। যে কারণে আমি এখনও কাজে ফেরার সিদ্ধান্ত নেইনি। কারণ আমার কাছেও অন্য সবারই মতো পরিবারের নিরাপত্তা আগে। আমার মেয়ে আরশিয়া’র জন্যই সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তা। তার নিরাপত্তাটাই বেশি জরুরি। যে কারণে ঠিকঠাকমতো যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুটিং করা হয় তাহলে ভেবে দেখা যেতে পারে। সেটা সময় হলেই আসলে ভাবনার বিষয়। তবে যেহেতু গাঙচিল’র কাজটা শেষ করা জরুরী যদি কাজ করি তাহলে গাঙচিল দিয়েই শুরু করবো।’

শুক্রবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৪ মহররম ১৪৪২, ১৮ ভাদ্র ১৪২৭

‘গাঙচিল’ দিয়েই ফিরবেন ফেরদৌস-পূর্ণিমা

বিনোদন প্রতিবেদক |

image

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত দুই নায়ক নায়িকা ফেরদৌস ও পূর্ণিমা করোনার কারণে বিরতি শেষে একসঙ্গেই আবারো ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন বলে জানিয়েছেন। নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল পরিচালিত ‘গাঙচিল’ সিনেমার শুটিং-এর মধ্যদিয়েই তারা দু’জন শুটিং-এ ফিরবেন। ওবায়দুল কাদেরের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে এই চলচ্চিত্রটি। অবশ্য শুটিং শেষ না হলেও এরইমধ্যে সিনেমাটির পোস্টার ফেসবুকে প্রকাশিত হয়েছে। ছবিতে এতে সাংবাদিকের চরিত্রে ফেরদৌস ও এনজিও কর্মীর চরিত্রে অভিনয় করছেন পূর্ণিমা। বিশেষ চরিত্রে রয়েছেন কলকাতার অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তা। ছবিটি প্রযোজনা করছে ইচ্ছেমত ও নুজহাত ফিল্মস। সিনেমার চিত্রনাট্য লিখেছেন মারুফ রেহমান ও প্রিয় চট্টোপাধ্যায়। সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, আনিসুর রহমান মিলন, আহসানুল হক মিনু প্রমুখ। ছবিটির কাজ প্রায় শেষের দিকে। একটা দৃশ্য ও দুটি গানের কাজ শুধু বাকি আছে, যা করোনার কারণে পিছিয়ে যায়। নির্মাতা জানান, করোনার সংক্রমণ কমলেই বাকি থাকা শুটিং শেষ করে মুক্তির তারিখ চুড়ান্ত করা হবে। তবে লকডাউনের দিনগুলোতে বাসাতেই নিরাপদে থাকার পর ফেরদৌস কিংবা পূর্ণিমা দু’জনেরই কেউই এখনও বাসা থেকে বের হননি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে যদি সিনেমার শুটিং শুরু হয় তবে দু’জনই শুটিং করবেন বলে জানা যায়। ‘গাঙচিল’ সিনেমার শুটিং কবে নাগাদ শুরু হয় তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর থেকে বিভিন্ন সিনেমার শুটিং শুরু হতে যাচ্ছে। জানা যায়, সেসব সিনেমার শুটিং-এর সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ‘গাঙচিল’ টিম সিদ্ধান্ত নিবে কবে নাগাদ শুটিং শুরু করা যেতে পারে। ফেরদৌস বলেন, ‘ করোনার এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আসলে কোনভাবেই শুটিং করা সম্ভব নয়। তারপরও নানান পরিচালক সিনেমায় কাজ করার জন্য যোগাযোগ করছেন। আমার পরিবারের কথা ভাবনায় রেখেই আসলে শূটিং করতে পারছিনা। অনেকেই বলছেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুটিং-এ যাবেন তারা। কিন্তু আদৌ কী স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুটিং করা যায়। নাটকের শুটিং স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেউ কেউ করছেন। আবার করোনায় আক্রান্ত হবারও খবর পাচ্ছি। মূলকথা আমি মনেকরি পরিবার আমার কাছে সবার আগে। পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাটা জরুরি। কারণ আমার স্ত্রী, আমার দুই মেয়ের কথা ভাবতেই হবে। বাইরে গিয়ে শুটিং করে আমাকে বাসাতেই ফিরতে হবে। তবে যদি শুটিং-এ ফিরি তাহলে গাঙচিল দিয়েই ফিরবো। কারণ এই সিনেমার কাজটি দ্রুত শেষ করে দর্শকের সামনে নিয়ে আসা উচিত বলে আমি মনেকরি।’

পূর্ণিমা বলেন,‘ লকডাউনের দিনগুলোতে আমি যেমন ঘর থেকে একদমই বের হইনি। এরপরও অনেকের কাছে স্বাভাবিক মনে হলেও আসলে করোনা পরিস্থিতির সার্বিক অবস্থা ভালো নয়। যে কারণে আমি এখনও কাজে ফেরার সিদ্ধান্ত নেইনি। কারণ আমার কাছেও অন্য সবারই মতো পরিবারের নিরাপত্তা আগে। আমার মেয়ে আরশিয়া’র জন্যই সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তা। তার নিরাপত্তাটাই বেশি জরুরি। যে কারণে ঠিকঠাকমতো যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুটিং করা হয় তাহলে ভেবে দেখা যেতে পারে। সেটা সময় হলেই আসলে ভাবনার বিষয়। তবে যেহেতু গাঙচিল’র কাজটা শেষ করা জরুরী যদি কাজ করি তাহলে গাঙচিল দিয়েই শুরু করবো।’