দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নির্বাহী অফিসার ওয়াহিদা খানমকে তার সরকারি বাসভবনে ঢুকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুরে কমিউনিটি প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিসিইউতে আনা হয়েছে। তার অবস্থার অবনতি ঘটায় দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখানে আগারগাঁও জাতীয় নিউরো সাইন্স ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে নিজের কন্যাকে রক্ষা করতে বৃদ্ধ বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর শেখ (৭০) এগিয়ে গেলেও তাকেও আহত করে সন্ত্রাসীরা। বৃদ্ধ বাবাকে আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৯ নম্বর সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করার পর প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে হাসপাতালের পরিচালক ডা. ফরিদুল ইসলাম জানিয়েছেন।
ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহত হবার ঘটনার খবর পেয়ে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা হাসপাতালে ছুটে যান। তারা এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, উপজেলা পরিষদ চত্বর হলো সবচেয়ে সিকিউরড জায়গা। সেখানে পুলিশ থাকবে না তা কি করে হয়?। সন্ত্রাসীরা বাসায় ঢুকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে আবারও নিরাপদে চলে গেল কিভাবে? তাহলে আমরা যারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করি আমাদের নিরাপত্তা কোথায়? এ ঘটনার পর এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকেই গ্রেফতার করতে না পারা, ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করতে না পারা দুঃখজনক বলে জানান তারা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যেই তার মাথায় পরিকল্পিতভাবে কোপানো হয়েছে, মারা গেছে ভেবেই সন্ত্রাসীরা নিশ্চিত হয়ে চলে গেছে বলে মনে করেন প্রশাসনের কর্মকর্তরা।
পুলিশ ও স্বজনরা জানান, ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম তার বৃদ্ধ বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর শেখসহ উপজেলা পরিষদ চত্বরে সরকারি বাসভবনে অবস্থান করছিলেন। তাদের একটি ছোট সন্তান রয়েছে। রাত তিনটার দিকে একদল দুর্বৃত্ত ঘরের দরজা ভেঙে বাসায় ঢুকে এলোপাতাড়ি চাপাতি আর ছোড়া দিয়ে ইউএনওকে মাথায় কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন বাসায় এসে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর শেখকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। খবর পেয়ে পুলিশ ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন, তারা তাদের উদ্ধার করে রংপুর কমিউনিটি প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সিসিইউতে রাখা হয়।
এদিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রাজকুমারসহ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ ইউএনওকে পরীক্ষা করে সাংবাদিকদের জানান, তার মাথার আঘাত গুরুতর মাথার হাড় ডেবে গেছে। তার বাম দিকটি প্যারালাইজড হয়ে আছে। এখনই অস্ত্রোপচার করা জরুরি সেজন্য তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, যত তাড়াতাড়ি অপারেশন করা যাবে ততই তার জন্য মঙ্গল।
আহত ইউএনওর মা জানান, গত বুধবার সন্ধায় ফোনে তার মেয়ের সঙ্গে তার কথা হয়েছে তিনি নওগাঁয় থাকেন। তার বাবা মাঝে মাঝে মেয়ের বাড়িতে যান সেখানে অবস্থান করেন। কারা কেন তার বাসায় ঢুকে তাকে হত্যা করার জন্য কুপিয়েছে তা তিনি জানেন না। তবে দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
ইউএনও আহত হবার খবর পেয়ে রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার ওয়াদুদ ভুইয়া, জেলা প্রশাসক আসিব আহসান, র্যাব ১৩ রংপুর প্রধান কমান্ডার রেজা আহাম্মেদ ফেরদৌস, মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নুরন্নবী লাইজু, হাসপাতালের পরিচালক ডা. ফরিদুল ইসলাম জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন উপজেলার ইউএনওসহ ঊর্র্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আহত ইউএনও ওয়াহিদা খানমের স্বামী রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত।
এদিকে ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলাম জানান, কারা কিভাবে এ হামলা চালালো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, পুরো উপজেলা পরিষদ চত্বর সিসি ক্যামেরায় আওতায় সেটাও পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এদিকে, রংপুর র্যাব ১৩ প্রধান কমান্ডার রেজা আহাম্মেদ ফেরদৌস জানান, আমরা ঘটনা জানার পর পরই পুরো এলাকা কর্ডন করেছি। আশপাশের এলাকা থেকেও আমাদের একাধিক টিম যোগ দিয়ে কাজ শুরু করেছে। আশা করি আমরা দায়ীদের ধরতে পারব।
রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার ওয়াদুদ ভূঁইয়া বলেন, এটা একটা জঘন্য ঘটনা, এর সঙ্গে যারাই জড়িত থাক তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এদিকে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক, র্যাব, পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন। দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাড়িতে ডাকাতি এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উপর হামলা চালানোর বিষয়টির দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এখনও কাউকে গ্রেফতার বা আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে দ্রুতই ঘটনার কারণ উদ্ঘাটন করতে পারবো। পুলিশ ও র্যাব ঘটনার অনুসন্ধানে তৎপর রয়েছে।
এদিকে বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল ওহাব মিয়া ও রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য দুপুরে ঘোড়াঘাট এসে পৌঁছান। তারা উপস্থিত সংবাদকর্মীদের জানান, বিষয়টি পুলিশ অতি গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করেছে। দিনাজপুরের পুলিশ সুপার সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে আছেন। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে কিনা এখনই তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ঘটনাটি ফৌজদারি দণ্ডবিধিতে মামলা হবে। তবে বুধবার রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি বাসভবনে দুর্বৃত্তদের হামলা ও ইউএনওসহ দু’জনকে রক্তাক্ত জখম করার ঘটনায় এলাকার মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিত্রিুয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই ঘটনাকে শুধুমাত্র ডাকাতি বলে মানতে পারছেন না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে বলছেন, ঘোড়াঘাট ও নবাবগঞ্জ উপজেলা জেএমবিদের নিরাপদ ঘাঁটি। অনেক আগে থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সক্রিয় জেএমবি সদস্যরা দুই উপজেলাতে আত্মগোপন বা ছদ্মবেশে রয়েছে।
শুক্রবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৪ মহররম ১৪৪২, ১৮ ভাদ্র ১৪২৭
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, রংপুর ও দিনাজপুর
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নির্বাহী অফিসার ওয়াহিদা খানমকে তার সরকারি বাসভবনে ঢুকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুরে কমিউনিটি প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিসিইউতে আনা হয়েছে। তার অবস্থার অবনতি ঘটায় দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখানে আগারগাঁও জাতীয় নিউরো সাইন্স ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে নিজের কন্যাকে রক্ষা করতে বৃদ্ধ বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর শেখ (৭০) এগিয়ে গেলেও তাকেও আহত করে সন্ত্রাসীরা। বৃদ্ধ বাবাকে আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৯ নম্বর সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করার পর প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে হাসপাতালের পরিচালক ডা. ফরিদুল ইসলাম জানিয়েছেন।
ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহত হবার ঘটনার খবর পেয়ে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা হাসপাতালে ছুটে যান। তারা এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, উপজেলা পরিষদ চত্বর হলো সবচেয়ে সিকিউরড জায়গা। সেখানে পুলিশ থাকবে না তা কি করে হয়?। সন্ত্রাসীরা বাসায় ঢুকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে আবারও নিরাপদে চলে গেল কিভাবে? তাহলে আমরা যারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করি আমাদের নিরাপত্তা কোথায়? এ ঘটনার পর এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকেই গ্রেফতার করতে না পারা, ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করতে না পারা দুঃখজনক বলে জানান তারা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যেই তার মাথায় পরিকল্পিতভাবে কোপানো হয়েছে, মারা গেছে ভেবেই সন্ত্রাসীরা নিশ্চিত হয়ে চলে গেছে বলে মনে করেন প্রশাসনের কর্মকর্তরা।
পুলিশ ও স্বজনরা জানান, ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম তার বৃদ্ধ বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর শেখসহ উপজেলা পরিষদ চত্বরে সরকারি বাসভবনে অবস্থান করছিলেন। তাদের একটি ছোট সন্তান রয়েছে। রাত তিনটার দিকে একদল দুর্বৃত্ত ঘরের দরজা ভেঙে বাসায় ঢুকে এলোপাতাড়ি চাপাতি আর ছোড়া দিয়ে ইউএনওকে মাথায় কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন বাসায় এসে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর শেখকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। খবর পেয়ে পুলিশ ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন, তারা তাদের উদ্ধার করে রংপুর কমিউনিটি প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সিসিইউতে রাখা হয়।
এদিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রাজকুমারসহ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ ইউএনওকে পরীক্ষা করে সাংবাদিকদের জানান, তার মাথার আঘাত গুরুতর মাথার হাড় ডেবে গেছে। তার বাম দিকটি প্যারালাইজড হয়ে আছে। এখনই অস্ত্রোপচার করা জরুরি সেজন্য তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, যত তাড়াতাড়ি অপারেশন করা যাবে ততই তার জন্য মঙ্গল।
আহত ইউএনওর মা জানান, গত বুধবার সন্ধায় ফোনে তার মেয়ের সঙ্গে তার কথা হয়েছে তিনি নওগাঁয় থাকেন। তার বাবা মাঝে মাঝে মেয়ের বাড়িতে যান সেখানে অবস্থান করেন। কারা কেন তার বাসায় ঢুকে তাকে হত্যা করার জন্য কুপিয়েছে তা তিনি জানেন না। তবে দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
ইউএনও আহত হবার খবর পেয়ে রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার ওয়াদুদ ভুইয়া, জেলা প্রশাসক আসিব আহসান, র্যাব ১৩ রংপুর প্রধান কমান্ডার রেজা আহাম্মেদ ফেরদৌস, মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নুরন্নবী লাইজু, হাসপাতালের পরিচালক ডা. ফরিদুল ইসলাম জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন উপজেলার ইউএনওসহ ঊর্র্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আহত ইউএনও ওয়াহিদা খানমের স্বামী রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত।
এদিকে ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলাম জানান, কারা কিভাবে এ হামলা চালালো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, পুরো উপজেলা পরিষদ চত্বর সিসি ক্যামেরায় আওতায় সেটাও পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এদিকে, রংপুর র্যাব ১৩ প্রধান কমান্ডার রেজা আহাম্মেদ ফেরদৌস জানান, আমরা ঘটনা জানার পর পরই পুরো এলাকা কর্ডন করেছি। আশপাশের এলাকা থেকেও আমাদের একাধিক টিম যোগ দিয়ে কাজ শুরু করেছে। আশা করি আমরা দায়ীদের ধরতে পারব।
রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার ওয়াদুদ ভূঁইয়া বলেন, এটা একটা জঘন্য ঘটনা, এর সঙ্গে যারাই জড়িত থাক তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এদিকে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক, র্যাব, পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন। দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাড়িতে ডাকাতি এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উপর হামলা চালানোর বিষয়টির দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এখনও কাউকে গ্রেফতার বা আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে দ্রুতই ঘটনার কারণ উদ্ঘাটন করতে পারবো। পুলিশ ও র্যাব ঘটনার অনুসন্ধানে তৎপর রয়েছে।
এদিকে বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল ওহাব মিয়া ও রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য দুপুরে ঘোড়াঘাট এসে পৌঁছান। তারা উপস্থিত সংবাদকর্মীদের জানান, বিষয়টি পুলিশ অতি গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করেছে। দিনাজপুরের পুলিশ সুপার সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে আছেন। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে কিনা এখনই তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ঘটনাটি ফৌজদারি দণ্ডবিধিতে মামলা হবে। তবে বুধবার রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি বাসভবনে দুর্বৃত্তদের হামলা ও ইউএনওসহ দু’জনকে রক্তাক্ত জখম করার ঘটনায় এলাকার মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিত্রিুয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই ঘটনাকে শুধুমাত্র ডাকাতি বলে মানতে পারছেন না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে বলছেন, ঘোড়াঘাট ও নবাবগঞ্জ উপজেলা জেএমবিদের নিরাপদ ঘাঁটি। অনেক আগে থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সক্রিয় জেএমবি সদস্যরা দুই উপজেলাতে আত্মগোপন বা ছদ্মবেশে রয়েছে।