সাবরিনা দু’দিনের রিমান্ডে

দ্বৈত পরিচয়পত্র নেয়ার মামলায় জেকেজির চেয়ারম্যান সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে দুই দিন রিমান্ডে নেয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম মো. তোফাজ্জল হোসেন রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক মমিনুল ইসলাম আসামি সাবরিনাকে আদালতে পাঁচ দিন রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন। এ সময় আসামির আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ডের আদেশ দেন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, মামলার ঘটনার সঙ্গে ডা. সাবরিনার জড়িত থাকার তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদে মামলার ঘটনার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ঘাটন করা আবশ্যক।

মামলা সূত্রে জানাগেছে, গত ৩১ আগস্ট বাড্ডা থানায় সাবরিনার বিরুদ্ধে মামলা করে গুলশান থানার নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মমিন মিয়া। মামলার এজাহারে দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র রাখা ও দ্বৈত ভোটার হওয়ায় সাবরিনার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। সাবরিনা ২০০৯ ও ২০১৬ সালে দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র করেন। ২০০৯ সালে তিনি সাবরিনা শারমিন হোসেন নামে পরিচয়পত্র করান। জন্মতারিখ ও সাল দেন ২ ডিসেম্বর ১৯৭৮। আর ২০১৬ সালে সাবরিনা শারমিন হুসেন নামে পরিচয়পত্র করেন। জন্মতারিখ ও সাল দেন ২ ডিসেম্বর ১৯৮৩। ২০০৯ সালের পরিচয়পত্রে সাবরিনা তার স্বামীর নাম আর এইচ হক ও ২০১৬ সালে আরিফুল চৌধুরী উল্লেখ করেন। ২০০৯-এ ঠিকানা হিসেবে মোহাম্মদপুর ও ২০১৬ সালে গুলশান উল্লেখ করেন সাবরিনা। দুই পরিচয়পত্রে মাতা ও পিতার নামও আলাদা আলাদা উল্লেখ করা হয়।

জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইনের ১৪ এবং ১৫ ধারায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। এ অনুযায়ী কেউ যদি দুই জায়গায় ভোটার হন, তাহলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদ- অথবা ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা যায়। করোনার রিপোর্ট জালিয়াতির মামলায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান চিকিৎসক সাবরিনা আরিফ চৌধুরী, তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীসহ আট আসামির বিরুদ্ধে বিচার চলছে।

শুক্রবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৪ মহররম ১৪৪২, ১৮ ভাদ্র ১৪২৭

দ্বৈত পরিচয়পত্র

সাবরিনা দু’দিনের রিমান্ডে

দ্বৈত পরিচয়পত্র নেয়ার মামলায় জেকেজির চেয়ারম্যান সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে দুই দিন রিমান্ডে নেয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম মো. তোফাজ্জল হোসেন রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক মমিনুল ইসলাম আসামি সাবরিনাকে আদালতে পাঁচ দিন রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন। এ সময় আসামির আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ডের আদেশ দেন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, মামলার ঘটনার সঙ্গে ডা. সাবরিনার জড়িত থাকার তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদে মামলার ঘটনার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ঘাটন করা আবশ্যক।

মামলা সূত্রে জানাগেছে, গত ৩১ আগস্ট বাড্ডা থানায় সাবরিনার বিরুদ্ধে মামলা করে গুলশান থানার নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মমিন মিয়া। মামলার এজাহারে দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র রাখা ও দ্বৈত ভোটার হওয়ায় সাবরিনার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। সাবরিনা ২০০৯ ও ২০১৬ সালে দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র করেন। ২০০৯ সালে তিনি সাবরিনা শারমিন হোসেন নামে পরিচয়পত্র করান। জন্মতারিখ ও সাল দেন ২ ডিসেম্বর ১৯৭৮। আর ২০১৬ সালে সাবরিনা শারমিন হুসেন নামে পরিচয়পত্র করেন। জন্মতারিখ ও সাল দেন ২ ডিসেম্বর ১৯৮৩। ২০০৯ সালের পরিচয়পত্রে সাবরিনা তার স্বামীর নাম আর এইচ হক ও ২০১৬ সালে আরিফুল চৌধুরী উল্লেখ করেন। ২০০৯-এ ঠিকানা হিসেবে মোহাম্মদপুর ও ২০১৬ সালে গুলশান উল্লেখ করেন সাবরিনা। দুই পরিচয়পত্রে মাতা ও পিতার নামও আলাদা আলাদা উল্লেখ করা হয়।

জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইনের ১৪ এবং ১৫ ধারায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। এ অনুযায়ী কেউ যদি দুই জায়গায় ভোটার হন, তাহলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদ- অথবা ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা যায়। করোনার রিপোর্ট জালিয়াতির মামলায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান চিকিৎসক সাবরিনা আরিফ চৌধুরী, তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীসহ আট আসামির বিরুদ্ধে বিচার চলছে।