আট কারখানা সিলগালা ১৮ জনের কারাদণ্ড, জরিমানা
রাজধানীতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোড়কে ভেজাল পণ্য উৎপাদন ও বিক্রি করার অপরাধে ৮টি কারখানা সিলগালা করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এ সব ফ্যাক্টরির ১৮ জনকে কারাদণ্ড ও ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে ফ্যাক্টরিগুলো থেকে প্রায় দুই কোটি টাকার পণ্য জব্দ করা হয়। পরে কিছু আলামত রেখে পণ্যগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানির নকল ক্যাবল উৎপাদন এবং নতুন মোড়কে হুবহু ব্র্যান্ডের লোগো ব্যবহার করে বাজারজাত হচ্ছে নকল ক্যাবল। এসব অভিযোগে বংশালের নবাবপুর এলাকায় নকল ও নিম্নমানের ইলেকট্রিক ক্যাবল তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়েছে র্যাব। এ সময় ৬টি ফ্যাক্টরির ৯ জনকে কারাদণ্ড, ৪০ লাখ টাকা জরিমানা এবং ফ্যাক্টরিগুলো সিলগালা করে দেয়া হয়। গত বুধবার রাতে র্যাব-১০-এর সহযোগিতায় অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম।
তিনি বলেন, নবাবপুরের জাকির হোসেন মার্কেটের এইচআরবি প্রোডাক্টস, টিআরবি প্রোডাক্টস, নিউ স্টার, সোয়ান এলইডি হাউজ ও এমএসএম প্রোডাক্টস ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালানো হয়। এসব ফ্যাক্টরিতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিদ্যুতের তার নকল উৎপাদন ও বিক্রি করা হচ্ছিল। পরে ফ্যাক্টরির ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড, ৪০ লাখ টাকা জরিমানা এবং প্রায় এক কোটি টাকা মূল্যের নকল বিদ্যুতের তার জব্দ করা হয়। অভিযানে দেখা গেছে, অনুমোদনহীন এসব ফ্যাক্টরিতে বিআরবি, বিজলী ক্যাবলস, প্যারাডাইজ ক্যাবলস, ইস্টার্ন ক্যাবলস, পলি ক্যাবলস, বিবিএস ক্যাবলস এর নামে নকল ও মানহীন বৈদ্যুতিক ক্যাবলস উৎপাদন করা হচ্ছিল। এ ধরনের নকল তার ব্যবহারে বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিটের কারণে আগুনের ঘটনা ঘটে। অভিযান শেষে ৬টি ফ্যাক্টরি সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।
এদিকে, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চাল, তেল ও ডিটারজেন্ট পাওডারসহ বিপুল পরিমাণ নকল ও অনুমোদনহীন পণ্য উৎপাদন করার অভিযোগে মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যানে অবস্থিত দুইটি ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালিয়েছে র্যাব। এ সময় ফ্যাক্টরির ৯ জনকে কারাদণ্ড, ১০ লাখ টাকা জরিমানা এবং প্রায় এক কোটি টাকা মূল্যের পণ্য জব্দ করা হয়। বুধবার রাতে র্যাব-২-এর সহযোগিতায় অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাব-২-এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু। তিনি বলেন, ঢাকা উদ্যানের সাফা রোজ ফুড ও কনজ্যুমার লিমিটেড এবং এমআর কনজ্যুমার ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালানো হয়। প্রতিষ্ঠান দুইটি নামি দামি ব্রান্ডের নামে তৈরি করা নকল পণ্য সরবরাহ করছিল। সাফা কনজ্যুমারে তেল, চিনি, চাল, লবণ, চা, মরিচের গুঁড়া, মশার কয়েল, চিপস, টয়লেট ক্লিনার, ডিটারজেন্টসহ ১৪টি পণ্য বিএসটিআইয়ের অনুমোদ ছাড়া উৎপাদন করছিল। এছাড়া এমআর কনজ্যুমারে হুইল, রিন, সার্ফ এক্স্রেলসহ বিভিন্ন ব্রান্ডের নকল ডিটারজেন্ট পাওডার উৎপাদন করছিল। ফ্যাক্টরি দুইটি মানহীন নকল পণ্যে লেবেল লাগিয়ে সরবরাহ করছিল। এসব অভিযোগে ফ্যাক্টরির ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড, ১০ লাখ টাকা জরিমানা এবং প্রায় এক কোটি টাকা মূল্যের নকল পণ্য জব্দ করা হয়। অভিযান শেষে ফ্যাক্টরি দুইটি সিলগালা করা হয়েছে।
শুক্রবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৪ মহররম ১৪৪২, ১৮ ভাদ্র ১৪২৭
আট কারখানা সিলগালা ১৮ জনের কারাদণ্ড, জরিমানা
রাজধানীতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোড়কে ভেজাল পণ্য উৎপাদন ও বিক্রি করার অপরাধে ৮টি কারখানা সিলগালা করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এ সব ফ্যাক্টরির ১৮ জনকে কারাদণ্ড ও ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে ফ্যাক্টরিগুলো থেকে প্রায় দুই কোটি টাকার পণ্য জব্দ করা হয়। পরে কিছু আলামত রেখে পণ্যগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানির নকল ক্যাবল উৎপাদন এবং নতুন মোড়কে হুবহু ব্র্যান্ডের লোগো ব্যবহার করে বাজারজাত হচ্ছে নকল ক্যাবল। এসব অভিযোগে বংশালের নবাবপুর এলাকায় নকল ও নিম্নমানের ইলেকট্রিক ক্যাবল তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়েছে র্যাব। এ সময় ৬টি ফ্যাক্টরির ৯ জনকে কারাদণ্ড, ৪০ লাখ টাকা জরিমানা এবং ফ্যাক্টরিগুলো সিলগালা করে দেয়া হয়। গত বুধবার রাতে র্যাব-১০-এর সহযোগিতায় অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম।
তিনি বলেন, নবাবপুরের জাকির হোসেন মার্কেটের এইচআরবি প্রোডাক্টস, টিআরবি প্রোডাক্টস, নিউ স্টার, সোয়ান এলইডি হাউজ ও এমএসএম প্রোডাক্টস ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালানো হয়। এসব ফ্যাক্টরিতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিদ্যুতের তার নকল উৎপাদন ও বিক্রি করা হচ্ছিল। পরে ফ্যাক্টরির ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড, ৪০ লাখ টাকা জরিমানা এবং প্রায় এক কোটি টাকা মূল্যের নকল বিদ্যুতের তার জব্দ করা হয়। অভিযানে দেখা গেছে, অনুমোদনহীন এসব ফ্যাক্টরিতে বিআরবি, বিজলী ক্যাবলস, প্যারাডাইজ ক্যাবলস, ইস্টার্ন ক্যাবলস, পলি ক্যাবলস, বিবিএস ক্যাবলস এর নামে নকল ও মানহীন বৈদ্যুতিক ক্যাবলস উৎপাদন করা হচ্ছিল। এ ধরনের নকল তার ব্যবহারে বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিটের কারণে আগুনের ঘটনা ঘটে। অভিযান শেষে ৬টি ফ্যাক্টরি সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।
এদিকে, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চাল, তেল ও ডিটারজেন্ট পাওডারসহ বিপুল পরিমাণ নকল ও অনুমোদনহীন পণ্য উৎপাদন করার অভিযোগে মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যানে অবস্থিত দুইটি ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালিয়েছে র্যাব। এ সময় ফ্যাক্টরির ৯ জনকে কারাদণ্ড, ১০ লাখ টাকা জরিমানা এবং প্রায় এক কোটি টাকা মূল্যের পণ্য জব্দ করা হয়। বুধবার রাতে র্যাব-২-এর সহযোগিতায় অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাব-২-এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু। তিনি বলেন, ঢাকা উদ্যানের সাফা রোজ ফুড ও কনজ্যুমার লিমিটেড এবং এমআর কনজ্যুমার ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালানো হয়। প্রতিষ্ঠান দুইটি নামি দামি ব্রান্ডের নামে তৈরি করা নকল পণ্য সরবরাহ করছিল। সাফা কনজ্যুমারে তেল, চিনি, চাল, লবণ, চা, মরিচের গুঁড়া, মশার কয়েল, চিপস, টয়লেট ক্লিনার, ডিটারজেন্টসহ ১৪টি পণ্য বিএসটিআইয়ের অনুমোদ ছাড়া উৎপাদন করছিল। এছাড়া এমআর কনজ্যুমারে হুইল, রিন, সার্ফ এক্স্রেলসহ বিভিন্ন ব্রান্ডের নকল ডিটারজেন্ট পাওডার উৎপাদন করছিল। ফ্যাক্টরি দুইটি মানহীন নকল পণ্যে লেবেল লাগিয়ে সরবরাহ করছিল। এসব অভিযোগে ফ্যাক্টরির ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড, ১০ লাখ টাকা জরিমানা এবং প্রায় এক কোটি টাকা মূল্যের নকল পণ্য জব্দ করা হয়। অভিযান শেষে ফ্যাক্টরি দুইটি সিলগালা করা হয়েছে।