মানিকগঞ্জে বন্যায় মৎস্যখাতে ক্ষতি ৪৩ কোটি টাকা

মানিকগঞ্জের ৭টি উপজেলাতে এবারের বন্যায় মৎস্যখাতে প্রায় ৪২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। মাছ ও মাছের পোনা বন্যার পানিতে ভেসে যাওয়া এবং পুকুরের পাড় ভেঙ্গে যাওয়ায় ৩,৫১১ জন মৎস্য খামারির এই ক্ষতি হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। জেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ সদর, ঘিওর, দৌলতপুর, শিবালয় হরিরামপুর , সিংগাইর,সাটুরিয়া এ ৭টি উপজেলাতে ৩৫১১ জন খামারির ৪,৩৩১টি মৎস্য খামার বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। এতে প্রায় ৩৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা মূল্যের ২,১৭৩ মে. টন মাছ এবং ৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকা মূল্যের ৩৮ মেট্রিক টন মাছের পোনা ভেসে গেছে। এ ছাড়া যে সব পুকুরের পাড় ভেঙ্গে গেছে তা ঠিক করতে লাগবে কমপক্ষে আরও ৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে এই মৎস্যখাতে এবারের বন্যায় প্রায় ৪৩ কোটি টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। মৎস্য চাষের সাথে জড়িত অনেক শিক্ষিত বেকার যুবকরা এবং মৎস্য চাষিরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পরেছে। অনেকে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে মৎস্য চাষ শুরু করে। বন্যায় সমস্ত মাছ পানিতে ভেসে যাবার ফলে অর্থনৈতিকভাবে তারা মারাত্মক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। অনেক মৎস্য চাষিরা সব কিছু হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া গ্রামের সেরা মৎস্য চাষি শামীম জানান, এবারের বন্যায় তার ১৫ লাখ টাকা রুই, কাতল, মৃগেল সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বন্যার পানিতে ভেসে যায়। তিনি এ ব্যাপারে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছেন। মানিকগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. মনিরুজ্জামান জানান, চলতি বছরে দীর্ঘমেয়াদী বন্যা হবার কারণে মৎস্য ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হয়েছে। তবে মৎস্য চাষিদের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবসা গ্রহণের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

শনিবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৫ মহররম ১৪৪২, ১৯ ভাদ্র ১৪২৭

মানিকগঞ্জে বন্যায় মৎস্যখাতে ক্ষতি ৪৩ কোটি টাকা

প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ

মানিকগঞ্জের ৭টি উপজেলাতে এবারের বন্যায় মৎস্যখাতে প্রায় ৪২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। মাছ ও মাছের পোনা বন্যার পানিতে ভেসে যাওয়া এবং পুকুরের পাড় ভেঙ্গে যাওয়ায় ৩,৫১১ জন মৎস্য খামারির এই ক্ষতি হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। জেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ সদর, ঘিওর, দৌলতপুর, শিবালয় হরিরামপুর , সিংগাইর,সাটুরিয়া এ ৭টি উপজেলাতে ৩৫১১ জন খামারির ৪,৩৩১টি মৎস্য খামার বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। এতে প্রায় ৩৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা মূল্যের ২,১৭৩ মে. টন মাছ এবং ৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকা মূল্যের ৩৮ মেট্রিক টন মাছের পোনা ভেসে গেছে। এ ছাড়া যে সব পুকুরের পাড় ভেঙ্গে গেছে তা ঠিক করতে লাগবে কমপক্ষে আরও ৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে এই মৎস্যখাতে এবারের বন্যায় প্রায় ৪৩ কোটি টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। মৎস্য চাষের সাথে জড়িত অনেক শিক্ষিত বেকার যুবকরা এবং মৎস্য চাষিরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পরেছে। অনেকে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে মৎস্য চাষ শুরু করে। বন্যায় সমস্ত মাছ পানিতে ভেসে যাবার ফলে অর্থনৈতিকভাবে তারা মারাত্মক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। অনেক মৎস্য চাষিরা সব কিছু হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া গ্রামের সেরা মৎস্য চাষি শামীম জানান, এবারের বন্যায় তার ১৫ লাখ টাকা রুই, কাতল, মৃগেল সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বন্যার পানিতে ভেসে যায়। তিনি এ ব্যাপারে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছেন। মানিকগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. মনিরুজ্জামান জানান, চলতি বছরে দীর্ঘমেয়াদী বন্যা হবার কারণে মৎস্য ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হয়েছে। তবে মৎস্য চাষিদের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবসা গ্রহণের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।