আহত ইউএনও ওয়াহিদার অবস্থার কিছুটা উন্নতি

দুর্বৃত্তদের হামলায় মাথায় জখম পাওয়া ঘোরাঘাট উপজেলা ইউএনও ওয়াহিদা খানের অস্ত্রোপচারের পর পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির দিকে। বেলা ১১টায় জ্ঞান ফেরার পর তিনি হালকাভাবে কথা বলতে শুরু করেছেন। চিনেছেন স্বামীকেও। চিকিৎসকরা এ পরিবর্তনকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তবে তাকে এখনও পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত বলছেন না চিকিৎসরা।

চিকিৎসকরা জানান, গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় আনার পর নিউরো সায়েন্সেস ইনস্টিটিউটের গঠিত চিকিৎসক দল ৯টায় তার প্রথম অস্ত্রোপচার শুরু করে। টানা ২ ঘণ্টা পর রাত ১১টায় অস্ত্রোপচার শেষ হলে ৭২ ঘণ্টার জন্য পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। গতকাল বেলা ১১ টায় ইউএনও ওয়াহিদা খানমের জ্ঞান ফিরে। জ্ঞান ফেরার পর তিনি হালকাভাবে কথা বলেন। এ সময় তার পাশে ছিল তার স্বামী। তিনি তার স্বামীকেও চিনতে পেরেছেন চিকিৎসা বিদ্যায় এটি ভালো লক্ষণ হিসেবে দেখা হয়।

গতকাল দুপুরে জাতীয় নিউরোসায়েন্সেস ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক ডা. বদরুল আলম সাংবাদিকদের জানান, অস্ত্রোপচারের পর জ্ঞান ফিরেছে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানমের। তিনি তার স্বামীকে চিনতে পেরেছেন। অল্প কথাও বলেছেন। ওয়াহিদার অস্ত্রোপচারের পর যে অবস্থা হয়েছিল, সেটি এখনও স্থিতিশীল। তবে তিনি পুরোপুরি আশঙ্কামুক্ত নন। ৭২ ঘণ্টা না গেলে চিকিৎসার বিষয়ে সুনিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না।

অধ্যাপক ডা. বদরুল আলম আরও বলেন, ‘তার চেতনা ফেরার পর তার স্বামী এলে তাকে চিনতে পেরেছেন। এটা একটা ভালো লক্ষণ হিসেবে দেখছি আমরা। তবে এখনও তাকে আশঙ্কামুক্ত বলার সময় আসেনি। ‘তার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড ছাড়া কেউ তাকে দেখবে না। আজ মেডিকেল বোর্ড দেখবে। পরে তারা তার পরবর্তী অবস্থা সম্পর্কে জানাবে এবং পদক্ষেপ নেবে।

বুধবার রাত আড়াইটার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনও’র সরকারি বাসভবনে ঢুকে হামলা করে দুর্বৃত্তরা। গেটে দারোয়ানকে বেঁধে দুর্বৃত্তরা বাসার পেছনে গিয়ে মই দিয়ে উঠে ভেনটিলেটর ভেঙে বাসায় প্রবেশ করে হামলাকারীরা। ভেতরে ঢুকে ভারি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং আঘাত করে ইউএনও ওয়াহিদাকে গুরুতর আহত করে তারা। এ সময় মেয়েকে বাঁচাতে এলে বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে (৭০) জখম করে দুর্বৃত্তরা। পরে তারা অচেতন হয়ে পড়লে মৃত ভেবে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। ভোরে স্থানীয়রা টের পেয়ে তাদের উদ্ধার করেন। ওয়াহিদাকে প্রথমে রংপুরে ও পরে রংপুর থেকে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে তাকে ঢাকায় আনা হয়। সেখান থেকে তাকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসাইন্স হাসপাতালে নেয়া হয়। রাতেই ওই হাসপাতালে তার সফল অস্ত্রোপচার হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

শনিবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৫ মহররম ১৪৪২, ১৯ ভাদ্র ১৪২৭

আহত ইউএনও ওয়াহিদার অবস্থার কিছুটা উন্নতি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

দুর্বৃত্তদের হামলায় মাথায় জখম পাওয়া ঘোরাঘাট উপজেলা ইউএনও ওয়াহিদা খানের অস্ত্রোপচারের পর পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির দিকে। বেলা ১১টায় জ্ঞান ফেরার পর তিনি হালকাভাবে কথা বলতে শুরু করেছেন। চিনেছেন স্বামীকেও। চিকিৎসকরা এ পরিবর্তনকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তবে তাকে এখনও পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত বলছেন না চিকিৎসরা।

চিকিৎসকরা জানান, গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় আনার পর নিউরো সায়েন্সেস ইনস্টিটিউটের গঠিত চিকিৎসক দল ৯টায় তার প্রথম অস্ত্রোপচার শুরু করে। টানা ২ ঘণ্টা পর রাত ১১টায় অস্ত্রোপচার শেষ হলে ৭২ ঘণ্টার জন্য পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। গতকাল বেলা ১১ টায় ইউএনও ওয়াহিদা খানমের জ্ঞান ফিরে। জ্ঞান ফেরার পর তিনি হালকাভাবে কথা বলেন। এ সময় তার পাশে ছিল তার স্বামী। তিনি তার স্বামীকেও চিনতে পেরেছেন চিকিৎসা বিদ্যায় এটি ভালো লক্ষণ হিসেবে দেখা হয়।

গতকাল দুপুরে জাতীয় নিউরোসায়েন্সেস ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক ডা. বদরুল আলম সাংবাদিকদের জানান, অস্ত্রোপচারের পর জ্ঞান ফিরেছে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানমের। তিনি তার স্বামীকে চিনতে পেরেছেন। অল্প কথাও বলেছেন। ওয়াহিদার অস্ত্রোপচারের পর যে অবস্থা হয়েছিল, সেটি এখনও স্থিতিশীল। তবে তিনি পুরোপুরি আশঙ্কামুক্ত নন। ৭২ ঘণ্টা না গেলে চিকিৎসার বিষয়ে সুনিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না।

অধ্যাপক ডা. বদরুল আলম আরও বলেন, ‘তার চেতনা ফেরার পর তার স্বামী এলে তাকে চিনতে পেরেছেন। এটা একটা ভালো লক্ষণ হিসেবে দেখছি আমরা। তবে এখনও তাকে আশঙ্কামুক্ত বলার সময় আসেনি। ‘তার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড ছাড়া কেউ তাকে দেখবে না। আজ মেডিকেল বোর্ড দেখবে। পরে তারা তার পরবর্তী অবস্থা সম্পর্কে জানাবে এবং পদক্ষেপ নেবে।

বুধবার রাত আড়াইটার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনও’র সরকারি বাসভবনে ঢুকে হামলা করে দুর্বৃত্তরা। গেটে দারোয়ানকে বেঁধে দুর্বৃত্তরা বাসার পেছনে গিয়ে মই দিয়ে উঠে ভেনটিলেটর ভেঙে বাসায় প্রবেশ করে হামলাকারীরা। ভেতরে ঢুকে ভারি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং আঘাত করে ইউএনও ওয়াহিদাকে গুরুতর আহত করে তারা। এ সময় মেয়েকে বাঁচাতে এলে বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে (৭০) জখম করে দুর্বৃত্তরা। পরে তারা অচেতন হয়ে পড়লে মৃত ভেবে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। ভোরে স্থানীয়রা টের পেয়ে তাদের উদ্ধার করেন। ওয়াহিদাকে প্রথমে রংপুরে ও পরে রংপুর থেকে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে তাকে ঢাকায় আনা হয়। সেখান থেকে তাকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসাইন্স হাসপাতালে নেয়া হয়। রাতেই ওই হাসপাতালে তার সফল অস্ত্রোপচার হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।