ইউএনওর ওপর হামলা

জাহাঙ্গীর, আসাদুল ও মাসুদ রানা যুবলীগ থেকে বহিষ্কার

স্থানীয়দের দাবি বহু মামলা ও অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে এদের বিরুদ্ধে

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগে হত্যা চেষ্টা মামলায় গ্রেফতার উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম ও সদস্য আসাদুল ইসলামকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। সর্বশেষ জানা যায় আরও এক যুবলীগ নেতা সিংড়া ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মাসুদ রানাকেও বহিষ্কার করা হয়। যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক নিখিল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যুবলীগ একটি সুশৃঙ্খল সংগঠন। কোন সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজদের ঠাঁই নেই। যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের নির্দেশে ঘোড়াঘাট ইউএনওর ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম ও আসাদুল ইসলামকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’

জাহাঙ্গীর হোসেন ২০১৭ সাল থেকে ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আর আসাদুল ঘোড়াঘাট যুবলীগের সদস্য। জাহাঙ্গীরের সন্ত্রাসী কর্মকা-ের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য পর্যন্ত ক্ষুব্ধ। এর আগে গত ৭ জুন তাকে বহিষ্কারের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকের ডিওসহ জেলা যুবলীগের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে ঘোরাঘাট উপজেলায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, সন্ত্রাসী কমকা-ের অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে। ঘোরাঘাট উপজেলা ইউএনওকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ভোরে দু’জনকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর থেকেই এ দু’জনের নানা অপরাধের কর্মকা- বেরিয়ে আসে।

ঘোরাঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলীর ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর ও আসাদুল হক আগে থেকেই বেপরোয়া ছিলেন। দলীয় পরিচয়ে বিভিন্ন সময়ে এলাকার অসহায় মানুষের ওপর নির্যাতন, অত্যাচার ও হামলা করেছেন এই দু’জন। এদের অপকর্মের শেষ নেই বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয়রা বলেন, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ত্রাস করাসহ এমন কোন অপকর্ম নেই যে এরা করেনি। প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করাও এদের নেশা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও এদের হাত থেকে নিস্তার পায়নি। দিনাজপুর-৬ (হাকিমপুর, বিরামপুর, নবাবগঞ্জ ও ঘোড়াঘাট) আসনের এমপি শিবলী সাদিক সাংবাদিকদের জানান, ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত ‘আসাদুল, জাহাঙ্গীর ও ইউএনওর বাসার নৈশ প্রহরীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসাদুল ও জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় সন্ত্রাস ও মাদকের বিস্তারের একাধিক মামলা রয়েছে। এ কারণে তাদের দল থেকে বহিষ্কারসহ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমি আড়াই থেকে তিন মাস আগে যুবলীগকে জানাই। স্থানীয় নেতাদের ও দলের সেন্ট্রাল পর্যায়ে একাধিকবার জানাই। স্থানীয় পর্যায় থেকেও জেলা কমিটিকে চিঠি দিয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত চিঠির কোন রিপ্লাই আসেনি। এদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হলো না, দেশবাসীসহ সেটা আমারও প্রশ্ন, আমিও জানতে চাই।

সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক আরও বলেন ‘এরা মাদকাসক্ত। একাধিক মামলার আসামি। জাহাঙ্গীর, আসাদুল, নান্নু এরা একই গ্রুপে চলাচল করে। জমিজমা কেনা সংক্রান্ত, বিশেষ করে ওসমানপুর কেন্দ্রিক বিষয়ে এদের অনেক দৌরাত্ম্য। আমি এই সব কাজ পছন্দ করি না। সে কারণে আমার কোন কার্যক্রমে অংশ নিতে দেই না। এ কারণে এরা আমাকে নিয়ে অশালীন কথাবার্তাও লিখেছে। আমি একাধিকবার তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠি দিয়ে কোন জবাব পাইনি।’

পুলিশ জানায়, ইউএনও’র ওয়াহিদা খানমের মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাতের প্রধান অভিযুক্ত আসাদুল হক ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের সদস্য। আর জাহাঙ্গীর হোসেন ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক। সম্প্রতি ত্রাণ বিতরণ নিয়ে পৌর মেয়র আবদুস সাত্তার মিলনের ওপর হামলা চালায় তারা। হামলা, চাঁদাবাজি, মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। আসাদুল ও জাহাঙ্গীর দু’জনেই পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী। আসাদুলের বাবা একজন জুতার দোকানি। আসাদুল ওসমানপুরে সিএনজি অটোরিকশা থেকে চাঁদা আদায় করতো।

দিনাজপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি রাশেদ পারভেজ বলেন, ‘গত ৭ জুন স্থানীয় সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকের ডিওসহ অভিযুক্ত যুবলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত সে চিঠির উত্তর পাওয়া যায়নি। এই আহ্বায়ক কমিটি ২০১৭ সালে গঠিত হয়েছিল। সাধারণত তিন মাসের অধিক সময় হলে কমিটি বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু তিন বছর সেটি একইভাবে চলছে। এটা কোনভাবেই হতে পারে না। আমরা দায়িত্ব নেয়ার আগেই এই কমিটি হয়েছিল।’

গত বুধবার রাত আড়াইটার দিকে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনও’র সরকারি বাসভবনে ঢুকে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। গেটে দারোয়ানকে বেঁধে বাসার পেছনে গিয়ে মই দিয়ে উঠে ভেনটিলেটর ভেঙে বাসায় প্রবেশ করে হামলাকারীরা। ভেতরে ঢুকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ইউএনও ওয়াহিদাকে গুরুতর আহত করে তারা। এ সময় মেয়েকে বাঁচাতে এলে বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকেও (৭০) জখম করে দুর্বৃত্তরা। পরে তারা অচেতন হয়ে পড়লে মৃত ভেবে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। ভোরে স্থানীয়রা টের পেয়ে তাদের উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় ইউএনও’র ভাই বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করে। পুলিশ আসামিদের বর্ণনার কথা শুনে তাদের শনাক্ত করে। ভোরে যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর ও তার সহযোগী আসাদুলকে গ্রেফতার করে। তারা বর্তমানে রংপুর রেঞ্জে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।

শনিবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৫ মহররম ১৪৪২, ১৯ ভাদ্র ১৪২৭

ইউএনওর ওপর হামলা

জাহাঙ্গীর, আসাদুল ও মাসুদ রানা যুবলীগ থেকে বহিষ্কার

স্থানীয়দের দাবি বহু মামলা ও অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে এদের বিরুদ্ধে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগে হত্যা চেষ্টা মামলায় গ্রেফতার উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম ও সদস্য আসাদুল ইসলামকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। সর্বশেষ জানা যায় আরও এক যুবলীগ নেতা সিংড়া ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মাসুদ রানাকেও বহিষ্কার করা হয়। যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক নিখিল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যুবলীগ একটি সুশৃঙ্খল সংগঠন। কোন সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজদের ঠাঁই নেই। যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের নির্দেশে ঘোড়াঘাট ইউএনওর ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম ও আসাদুল ইসলামকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’

জাহাঙ্গীর হোসেন ২০১৭ সাল থেকে ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আর আসাদুল ঘোড়াঘাট যুবলীগের সদস্য। জাহাঙ্গীরের সন্ত্রাসী কর্মকা-ের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য পর্যন্ত ক্ষুব্ধ। এর আগে গত ৭ জুন তাকে বহিষ্কারের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকের ডিওসহ জেলা যুবলীগের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে ঘোরাঘাট উপজেলায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, সন্ত্রাসী কমকা-ের অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে। ঘোরাঘাট উপজেলা ইউএনওকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ভোরে দু’জনকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর থেকেই এ দু’জনের নানা অপরাধের কর্মকা- বেরিয়ে আসে।

ঘোরাঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলীর ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর ও আসাদুল হক আগে থেকেই বেপরোয়া ছিলেন। দলীয় পরিচয়ে বিভিন্ন সময়ে এলাকার অসহায় মানুষের ওপর নির্যাতন, অত্যাচার ও হামলা করেছেন এই দু’জন। এদের অপকর্মের শেষ নেই বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয়রা বলেন, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ত্রাস করাসহ এমন কোন অপকর্ম নেই যে এরা করেনি। প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করাও এদের নেশা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও এদের হাত থেকে নিস্তার পায়নি। দিনাজপুর-৬ (হাকিমপুর, বিরামপুর, নবাবগঞ্জ ও ঘোড়াঘাট) আসনের এমপি শিবলী সাদিক সাংবাদিকদের জানান, ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত ‘আসাদুল, জাহাঙ্গীর ও ইউএনওর বাসার নৈশ প্রহরীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসাদুল ও জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় সন্ত্রাস ও মাদকের বিস্তারের একাধিক মামলা রয়েছে। এ কারণে তাদের দল থেকে বহিষ্কারসহ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমি আড়াই থেকে তিন মাস আগে যুবলীগকে জানাই। স্থানীয় নেতাদের ও দলের সেন্ট্রাল পর্যায়ে একাধিকবার জানাই। স্থানীয় পর্যায় থেকেও জেলা কমিটিকে চিঠি দিয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত চিঠির কোন রিপ্লাই আসেনি। এদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হলো না, দেশবাসীসহ সেটা আমারও প্রশ্ন, আমিও জানতে চাই।

সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক আরও বলেন ‘এরা মাদকাসক্ত। একাধিক মামলার আসামি। জাহাঙ্গীর, আসাদুল, নান্নু এরা একই গ্রুপে চলাচল করে। জমিজমা কেনা সংক্রান্ত, বিশেষ করে ওসমানপুর কেন্দ্রিক বিষয়ে এদের অনেক দৌরাত্ম্য। আমি এই সব কাজ পছন্দ করি না। সে কারণে আমার কোন কার্যক্রমে অংশ নিতে দেই না। এ কারণে এরা আমাকে নিয়ে অশালীন কথাবার্তাও লিখেছে। আমি একাধিকবার তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠি দিয়ে কোন জবাব পাইনি।’

পুলিশ জানায়, ইউএনও’র ওয়াহিদা খানমের মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাতের প্রধান অভিযুক্ত আসাদুল হক ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের সদস্য। আর জাহাঙ্গীর হোসেন ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক। সম্প্রতি ত্রাণ বিতরণ নিয়ে পৌর মেয়র আবদুস সাত্তার মিলনের ওপর হামলা চালায় তারা। হামলা, চাঁদাবাজি, মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। আসাদুল ও জাহাঙ্গীর দু’জনেই পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী। আসাদুলের বাবা একজন জুতার দোকানি। আসাদুল ওসমানপুরে সিএনজি অটোরিকশা থেকে চাঁদা আদায় করতো।

দিনাজপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি রাশেদ পারভেজ বলেন, ‘গত ৭ জুন স্থানীয় সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকের ডিওসহ অভিযুক্ত যুবলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত সে চিঠির উত্তর পাওয়া যায়নি। এই আহ্বায়ক কমিটি ২০১৭ সালে গঠিত হয়েছিল। সাধারণত তিন মাসের অধিক সময় হলে কমিটি বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু তিন বছর সেটি একইভাবে চলছে। এটা কোনভাবেই হতে পারে না। আমরা দায়িত্ব নেয়ার আগেই এই কমিটি হয়েছিল।’

গত বুধবার রাত আড়াইটার দিকে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনও’র সরকারি বাসভবনে ঢুকে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। গেটে দারোয়ানকে বেঁধে বাসার পেছনে গিয়ে মই দিয়ে উঠে ভেনটিলেটর ভেঙে বাসায় প্রবেশ করে হামলাকারীরা। ভেতরে ঢুকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ইউএনও ওয়াহিদাকে গুরুতর আহত করে তারা। এ সময় মেয়েকে বাঁচাতে এলে বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকেও (৭০) জখম করে দুর্বৃত্তরা। পরে তারা অচেতন হয়ে পড়লে মৃত ভেবে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। ভোরে স্থানীয়রা টের পেয়ে তাদের উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় ইউএনও’র ভাই বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করে। পুলিশ আসামিদের বর্ণনার কথা শুনে তাদের শনাক্ত করে। ভোরে যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর ও তার সহযোগী আসাদুলকে গ্রেফতার করে। তারা বর্তমানে রংপুর রেঞ্জে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।