করোনায় দেশে

মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে একদিনে ২৯ জন

নতুন শনাক্ত ১৯২৯

করোনা মহামারীতে দেশে গত চব্বিশ ঘণ্টায় ২৯ জনের মারা গেছে। যা গত প্রায় এক মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। মৃতদের মধ্যে পুরুষ ২২ জন এবং নারী ৭ জন। এরমধ্যে ২৭ জন হাসপাতালে এবং ২ জন বাড়িতে মারা গেছেন। মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৪ হাজার ৪১২ জনে। আর গত চব্বিশ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৯২৯ জনের। মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩ লাখ ২১ হাজার ৬১৫ জনে। সারাদেশে করোনায় মোট মৃতদের ৯০ শতাংশ মানুষ চল্লিশোর্ধ্ব। চল্লিশের নিচে ১০ শতাংশ মানুষের মৃত্যু। আর সর্বোচ্চ মৃতের প্রায় অর্ধেকের (৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ) বয়স ষাটোর্ধ্ব।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এসব তথ্য জানায়। এর আগে ৭ আগস্ট এ ভাইরাসে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর প্রতিদিনই মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩০ জনের বেশি।

আইইডিসিআরের হিসেবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ২ হাজার ২১১ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত চব্বিশ ঘণ্টায়। এতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা দাঁড়াল ২ লাখ ১৬ হাজার ১৯১ জনে। গত চব্বিশ ঘণ্টায় সারাদেশে ৯৩টি ল্যাবে ১৩ হাজার ৭৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১৬ লাখ ৫ হাজার ১১১টি নমুনা। নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ২০ দশমিক ০৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৬৭ দশমিক ২২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চব্বিশ ঘণ্টায় ২৯ জনের মধ্যে ১৫ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ৭ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৩ জন করে মোট ৬ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ এবং ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ছিল। ১৪ জন ঢাকা বিভাগের, ৪ জন রাজশাহী বিভাগের, ৩ জন বরিশাল বিভাগের এবং ২ জন করে মোট ৮ জন চট্টগ্রাম, খুলনা, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৪ হাজার ৪১২ জনের মধ্যে ৩ হাজার ৪৫৪ জনই পুরুষ এবং ৯৫৮ জন নারী। তাদের মধ্যে ২ হাজার ১৯১ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ১ হাজার ২০৮ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৫৮৫ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ২৬৭ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১০৫ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৩৭ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ১৯ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।

এরমধ্যে ২ হাজার ১৩৪ জন ঢাকা বিভাগের, ৯৫২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ২৯৫ জন রাজশাহী বিভাগের, ৩৬৫ জন খুলনা বিভাগের, ১৭২ জন বরিশাল বিভাগের, ১৯৭ জন সিলেট বিভাগের, ২০২ জন রংপুর বিভাগের এবং ৯৫ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ৮ মার্চ, ২৬ অগাস্ট তা তিন লাখ পেরিয়ে যায়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ২৫ আগস্ট সেই সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়ে যায়। এরমধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ২ কোটি ৬৩ লাখ ২৪ হাজার ২১৯ জন পেরিয়েছে। মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৮ লাখ ৬৯ হাজার ৭৬ জন। করোনা থেকে সুস্থ্য হয়ে উঠেছেন ১ কোটি ৭৫ লাখ ৩৬ হাজার ৮৭৫ জনের বেশি। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৫তম স্থানে। তার মৃতের সংখ্যায় বাংলাদেশ রয়েছে ২৯তম অবস্থানে।

বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অনেকে মনে করেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখতে ‘মরটালিটি অডিট’ (মৃত্যুহার নিরীক্ষা) করা হলেও আমাদের দেশে সে ব্যবস্থা নেই। ফলে একাধিক রোগে আক্রান্ত থাকায় করোনা আক্রান্তদের মৃত্যুর একমাত্র কারণ, তা নিশ্চিতভাবে বলা কতটুকু যুক্তিসঙ্গত এ নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে।

সম্প্রতি জনস্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ কমিটির সঙ্গে বৈঠককালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, গত ২৮ আগস্ট সারাদেশে করোনা মোট ৪৭ জন মারা যায়। তার মধ্যে মৃতের মধ্যে ৩১ থেকে ৪০ বছরের মাত্র একজন এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী ২৬ জন রয়েছেন।

জানা গেছে, বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিসটেমের (এমআইএস) পরিচালকের সঙ্গে আলোচনা করে মরটালিটি অডিট সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী সরকারি তথ্য সংরক্ষণ ও বিতরণের নিয়মাবলী মেনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে এ বিষয়ে অবহিত করা হবে। জনস্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটি থেকে কি ধরনের তথ্য-উপাত্ত প্রয়োজন সে ব্যাপারে অধিদফতরের মহাপরিচালক ও এমআইএস পরিচালককে চিঠি দিয়ে প্রশাসনিক অনুমোদনের বিষয়টি ত্বরান্বিত করা হবে।

সভায় বলা হয়, ‘কেস রেকর্ড রিভিউ অব হসপিটাল এডমিটেড কোভিড-১৯ পজিটিভ কেসেস ইনক্লুডিং গ্যাদারিং অ্যান্ড অব দি লাইফ কেয়ার এক্সিপেরিয়েন্স’ সংক্রান্ত একটি গবেষণাপত্র ইতোমধ্যে বাংলাদেশে মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলে ইথিক্যাল রিভিউয়ের জন্য জমা দেয়া হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে অনুমোদন পেলে মরটালিটি অডিটে অগ্রগতি হবে বলে জানানো হয়।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, আপাতদৃষ্টিতে ইপিডেমিওলজিক্যাল ও ক্লিনিক্যাল বিবেচনায় বয়স্কদের মৃত্যুর কারণ কো-মরবিডিটি মনে করা হচ্ছে। প্রকৃত মৃত্যুর কারণ খুঁজে বের করতে ল্যাবরেটরিতে তথ্য-উপাত্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণা করতে হবে বলে জানান তিনি।

শনিবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৫ মহররম ১৪৪২, ১৯ ভাদ্র ১৪২৭

করোনায় দেশে

মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে একদিনে ২৯ জন

নতুন শনাক্ত ১৯২৯

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

করোনা মহামারীতে দেশে গত চব্বিশ ঘণ্টায় ২৯ জনের মারা গেছে। যা গত প্রায় এক মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। মৃতদের মধ্যে পুরুষ ২২ জন এবং নারী ৭ জন। এরমধ্যে ২৭ জন হাসপাতালে এবং ২ জন বাড়িতে মারা গেছেন। মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৪ হাজার ৪১২ জনে। আর গত চব্বিশ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৯২৯ জনের। মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩ লাখ ২১ হাজার ৬১৫ জনে। সারাদেশে করোনায় মোট মৃতদের ৯০ শতাংশ মানুষ চল্লিশোর্ধ্ব। চল্লিশের নিচে ১০ শতাংশ মানুষের মৃত্যু। আর সর্বোচ্চ মৃতের প্রায় অর্ধেকের (৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ) বয়স ষাটোর্ধ্ব।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এসব তথ্য জানায়। এর আগে ৭ আগস্ট এ ভাইরাসে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর প্রতিদিনই মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩০ জনের বেশি।

আইইডিসিআরের হিসেবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ২ হাজার ২১১ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত চব্বিশ ঘণ্টায়। এতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা দাঁড়াল ২ লাখ ১৬ হাজার ১৯১ জনে। গত চব্বিশ ঘণ্টায় সারাদেশে ৯৩টি ল্যাবে ১৩ হাজার ৭৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১৬ লাখ ৫ হাজার ১১১টি নমুনা। নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ২০ দশমিক ০৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৬৭ দশমিক ২২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চব্বিশ ঘণ্টায় ২৯ জনের মধ্যে ১৫ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ৭ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৩ জন করে মোট ৬ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ এবং ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ছিল। ১৪ জন ঢাকা বিভাগের, ৪ জন রাজশাহী বিভাগের, ৩ জন বরিশাল বিভাগের এবং ২ জন করে মোট ৮ জন চট্টগ্রাম, খুলনা, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৪ হাজার ৪১২ জনের মধ্যে ৩ হাজার ৪৫৪ জনই পুরুষ এবং ৯৫৮ জন নারী। তাদের মধ্যে ২ হাজার ১৯১ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ১ হাজার ২০৮ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৫৮৫ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ২৬৭ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১০৫ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৩৭ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ১৯ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।

এরমধ্যে ২ হাজার ১৩৪ জন ঢাকা বিভাগের, ৯৫২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ২৯৫ জন রাজশাহী বিভাগের, ৩৬৫ জন খুলনা বিভাগের, ১৭২ জন বরিশাল বিভাগের, ১৯৭ জন সিলেট বিভাগের, ২০২ জন রংপুর বিভাগের এবং ৯৫ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ৮ মার্চ, ২৬ অগাস্ট তা তিন লাখ পেরিয়ে যায়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ২৫ আগস্ট সেই সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়ে যায়। এরমধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ২ কোটি ৬৩ লাখ ২৪ হাজার ২১৯ জন পেরিয়েছে। মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৮ লাখ ৬৯ হাজার ৭৬ জন। করোনা থেকে সুস্থ্য হয়ে উঠেছেন ১ কোটি ৭৫ লাখ ৩৬ হাজার ৮৭৫ জনের বেশি। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৫তম স্থানে। তার মৃতের সংখ্যায় বাংলাদেশ রয়েছে ২৯তম অবস্থানে।

বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অনেকে মনে করেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখতে ‘মরটালিটি অডিট’ (মৃত্যুহার নিরীক্ষা) করা হলেও আমাদের দেশে সে ব্যবস্থা নেই। ফলে একাধিক রোগে আক্রান্ত থাকায় করোনা আক্রান্তদের মৃত্যুর একমাত্র কারণ, তা নিশ্চিতভাবে বলা কতটুকু যুক্তিসঙ্গত এ নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে।

সম্প্রতি জনস্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ কমিটির সঙ্গে বৈঠককালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, গত ২৮ আগস্ট সারাদেশে করোনা মোট ৪৭ জন মারা যায়। তার মধ্যে মৃতের মধ্যে ৩১ থেকে ৪০ বছরের মাত্র একজন এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী ২৬ জন রয়েছেন।

জানা গেছে, বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিসটেমের (এমআইএস) পরিচালকের সঙ্গে আলোচনা করে মরটালিটি অডিট সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী সরকারি তথ্য সংরক্ষণ ও বিতরণের নিয়মাবলী মেনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে এ বিষয়ে অবহিত করা হবে। জনস্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটি থেকে কি ধরনের তথ্য-উপাত্ত প্রয়োজন সে ব্যাপারে অধিদফতরের মহাপরিচালক ও এমআইএস পরিচালককে চিঠি দিয়ে প্রশাসনিক অনুমোদনের বিষয়টি ত্বরান্বিত করা হবে।

সভায় বলা হয়, ‘কেস রেকর্ড রিভিউ অব হসপিটাল এডমিটেড কোভিড-১৯ পজিটিভ কেসেস ইনক্লুডিং গ্যাদারিং অ্যান্ড অব দি লাইফ কেয়ার এক্সিপেরিয়েন্স’ সংক্রান্ত একটি গবেষণাপত্র ইতোমধ্যে বাংলাদেশে মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলে ইথিক্যাল রিভিউয়ের জন্য জমা দেয়া হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে অনুমোদন পেলে মরটালিটি অডিটে অগ্রগতি হবে বলে জানানো হয়।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, আপাতদৃষ্টিতে ইপিডেমিওলজিক্যাল ও ক্লিনিক্যাল বিবেচনায় বয়স্কদের মৃত্যুর কারণ কো-মরবিডিটি মনে করা হচ্ছে। প্রকৃত মৃত্যুর কারণ খুঁজে বের করতে ল্যাবরেটরিতে তথ্য-উপাত্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণা করতে হবে বলে জানান তিনি।