শোকের মাতম ঘরে ঘরে

চারদিকে কেবল স্বজনহারা মানুষের আহাজারি। ঘরে ঘরে শোকের মাতম। স্বজনদের বেদনাবিধুর আহাজারিতে এলাকার বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। খোলা মাঠে পরপর সাজানো হয়েছে মরদেহ বহনকারী খাটিয়া। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে ততক্ষণে মৃতদেহ নিয়ে আসা হচ্ছে। বাতাসে লাশের গন্ধ। মাটিতে রক্তের দাগ। কবি রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর এই লাইন দুটি প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছিল নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার পশ্চিম তল্লা এলাকায়। গত শুক্রবার রাতে এই এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদের ভেতর ঘটে ভয়াবহ এক বিস্ফোরণ। মসজিদের ভেতরের ছয়টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ (এসি) যন্ত্র বিস্ফোরিত হয়। মুহূর্তেই মৃত্যুকূপে পরিণত হয় মসজিদটি। ঘটনাস্থলেই দগ্ধ হন ৪২ জন। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গুরুতর দগ্ধ ২০ জন নিহত হয়েছেন। দগ্ধ ও মৃতদের সবাই মসজিদের আশপাশের এলাকার বাসিন্দা। পুরো এলাকাজুড়ে চলছে শোকের মাতম। মর্মান্তিক এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল দুপুরে তার মরদেহ আনা হয় পশ্চিম তল্লা এলাকায়। বিস্ফোরণের ঘটনা শোনার পর থেকেই কাঁদছেন কুদ্দুস বেপারীর স্ত্রী শান্তা ইসলাম। তাকে থামাতে পারছেন না স্বজনরা। মাটিতে বসে কাঁদছিল তার চার মেয়ে।কুদ্দুস বেপারীর স্ত্রী শান্তা ইসলাম কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আছর আর মাগরিবের নামাজ আমার সঙ্গেই পড়ছিল। মাগরিবের পর নিজের হাতে মোটর ছাইড়া পানি উঠাইছে। পরে এশার পড়তে মসজিদে গেল। আর ফিরল লাশ হইয়া (কান্না)। দগ্ধ ছেলে আসিফুর রহমান রিফাত (১৮) মারা গেছে রাতেই। হার্টের রোগী মাকে তা জানাচ্ছে না কেউ। কলেজপড়–য়া ছেলের শোকে কাতর রিনা আক্তার মহান সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশে দুই হাত তুলে প্রার্থনা করছেন, ‘পোলাডার মাংস চাই না, শ্বাসটা যেন থাকে!’ পাশেই মাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন দুই বোন পলি ও ডলি।

একত্রে এশার নামাজ আদায় করতে মসজিদে গিয়েছিল তিন ভাই সাব্বির (২১), জুবায়েদ (১৮) ও ইয়াসিন (১০)। ভাগ্যক্রমে ইয়াসিন অক্ষত থাকলেও বিস্ফোরণে দগ্ধ বাকি দুই ভাইয়ের কেউই বেঁচে নেই। সকালে যখন কথা হয় ইয়াসিনের সঙ্গে তখন মা পারুল বেগম মৃত ছেলেদের পাশে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে।

পারুল বেগম যে বাড়িতে ভাড়া থাকেন ওই বাড়ির মালিক নূরজাহান বেগম জানান, সাব্বির নারায়ণগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজে বিএ এবং জুবায়েদ সরকারি তোলারাম কলেজে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছিল। বাবা নুরুদ্দীন তাদের ছেড়ে চলে যাওয়ার পর থেকে মা পারুল বেগম বাচ্চাদের আরবি ভাষা শিক্ষা দিয়ে উপার্জিত টাকায় সংসার চালাতেন।

ওই মসজিদে এশার নামাজ পড়ছিলেন স্থানীয় ফটোসাংবাদিক নাদিম আহমেদ (৪৫)। বিস্ফোরণে গুরুতর দগ্ধ নাদিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ছেলে জুনায়েদকে (১৪) নিয়ে মসজিদেই থাকতেন মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৫)। বিস্ফোরণে দগ্ধ বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। বিকেলে তাদের মরদেহ এলে সন্ধ্যায় তল্লা বড় মসজিদে তাদের জানাজা সম্পন্ন হয়। আরও চারজনের জানাজা হয়েছে স্থানীয় বোমাল বাড়ির মাঠে এবং চেয়ারম্যান বাড়ির মসজিদে। অন্যদের মরদেহ নিজ নিজ গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

‘পোলাডার মাংস চাই না, শ্বাসটা যেন থাকে’

দগ্ধ ছেলে মারা গেছেন? হার্টের রোগী মাকে তা জানাচ্ছেন না কেউ? ছেলের শোকে কাতর রিনা আক্তার এখনও জানেন তার ছেলে বেঁচে আছেন? মহান সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশে দুই হাত তুলে প্রার্থনা করছেন, ‘পোলাডার মাংস চাই না, শ্বাসটা যেন থাকে!’ বিস্ফোরণে নিহতদের ঘরে ঘরে চলছে শোকের মাতম।

গতকাল দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার একটি মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত মোহাম্মদ রিফাতের বাড়িতে এমন চিত্র দেখা যায়? গত শুক্রবার রাতে এশার নামাজের পরপর পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণে গুরুতর দগ্ধ হয়ে মারা যান কলেজ ছাত্র রিফাত?

রিফাত (১৮) বেঁচে আছে কিনা জানতে চাচ্ছিলেন মা রিনা আক্তার? অনবরত কাঁদছিলেন বড় দুই বোন ডলি আক্তার ও পলি আক্তার? ডলি আক্তার বলেন, ‘আমার ভাইয়েরা তো খারাপ কোন কাজ করতে যায় নাই? মসজিদে গেছিল নামাজ পড়তে? আল্লায় এতো পাষাণ কেমনে হইলো!’

ওই মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়েছিল দুই সহোদর সাব্বির (২১) ও জুবায়েদ (১৮)? বিস্ফোরণে দগ্ধ দু’জনের কেউই বেঁচে নেই? মা পারুল বেগম মৃত ছেলেদের পাশে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে? তাদের বাড়িওয়ালি নূরজাহান জানান, সাব্বির বিএ পড়ছিল এবং জুবায়েদ সরকারি তোলারাম কলেজে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছিল? বাবা ছেড়ে চলে যাওয়ার পর থেকে মা পারুল বেগম বাচ্চাদের আরবি ভাষা শিক্ষা দিয়ে সংসার চালাতেন?

বিস্ফোরণ হওয়া ওই মসজিদের পেছনে ভাড়াবাড়িতে থাকতেন ব্যবসায়ী কুদ্দুস বেপারী (৭২)? নিয়মিত ওই মসজিদে নামাজ পড়তেন তিনি? গত শুক্রবার এশার নামাজও সেখানেই পড়ছিলেন? বিস্ফোরণে তার শরীরের অধিকাংশ পুড়ে যায়? রাতেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি?

কুদ্দুস বেপারীর নাতি মাসুম বলেন, নিয়মিত ওই মসজিদে নামাজ পড়তেন তিনি? মুরুব্বি মানুষ তাই মসজিদ থেকে দেরিতেই বের হন? বিস্ফোরণের সময় তিনি মসজিদের ভেতরেই নামাজ পড়ছিলেন? গত শুক্রবার রাতে এশার নামাজ চলাকালীন অবস্থায় পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে? বিস্ফোরণে মসজিদের ভেতর থাকা অধিকাংশ ব্যক্তি দগ্ধ হন? ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ৩৭ জনকে ভর্তি করা হয়? সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১২ জন মারা গেছেন?

রবিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৬ মহররম ১৪৪২, ২০ ভাদ্র ১৪২৭

শোকের মাতম ঘরে ঘরে

সৌরভ হোসেন সিয়াম, নারায়ণগঞ্জ

image

নিহতদের ঘরে ঘরে শোকের মাতম -সংবাদ

চারদিকে কেবল স্বজনহারা মানুষের আহাজারি। ঘরে ঘরে শোকের মাতম। স্বজনদের বেদনাবিধুর আহাজারিতে এলাকার বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। খোলা মাঠে পরপর সাজানো হয়েছে মরদেহ বহনকারী খাটিয়া। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে ততক্ষণে মৃতদেহ নিয়ে আসা হচ্ছে। বাতাসে লাশের গন্ধ। মাটিতে রক্তের দাগ। কবি রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর এই লাইন দুটি প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছিল নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার পশ্চিম তল্লা এলাকায়। গত শুক্রবার রাতে এই এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদের ভেতর ঘটে ভয়াবহ এক বিস্ফোরণ। মসজিদের ভেতরের ছয়টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ (এসি) যন্ত্র বিস্ফোরিত হয়। মুহূর্তেই মৃত্যুকূপে পরিণত হয় মসজিদটি। ঘটনাস্থলেই দগ্ধ হন ৪২ জন। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গুরুতর দগ্ধ ২০ জন নিহত হয়েছেন। দগ্ধ ও মৃতদের সবাই মসজিদের আশপাশের এলাকার বাসিন্দা। পুরো এলাকাজুড়ে চলছে শোকের মাতম। মর্মান্তিক এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল দুপুরে তার মরদেহ আনা হয় পশ্চিম তল্লা এলাকায়। বিস্ফোরণের ঘটনা শোনার পর থেকেই কাঁদছেন কুদ্দুস বেপারীর স্ত্রী শান্তা ইসলাম। তাকে থামাতে পারছেন না স্বজনরা। মাটিতে বসে কাঁদছিল তার চার মেয়ে।কুদ্দুস বেপারীর স্ত্রী শান্তা ইসলাম কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আছর আর মাগরিবের নামাজ আমার সঙ্গেই পড়ছিল। মাগরিবের পর নিজের হাতে মোটর ছাইড়া পানি উঠাইছে। পরে এশার পড়তে মসজিদে গেল। আর ফিরল লাশ হইয়া (কান্না)। দগ্ধ ছেলে আসিফুর রহমান রিফাত (১৮) মারা গেছে রাতেই। হার্টের রোগী মাকে তা জানাচ্ছে না কেউ। কলেজপড়–য়া ছেলের শোকে কাতর রিনা আক্তার মহান সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশে দুই হাত তুলে প্রার্থনা করছেন, ‘পোলাডার মাংস চাই না, শ্বাসটা যেন থাকে!’ পাশেই মাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন দুই বোন পলি ও ডলি।

একত্রে এশার নামাজ আদায় করতে মসজিদে গিয়েছিল তিন ভাই সাব্বির (২১), জুবায়েদ (১৮) ও ইয়াসিন (১০)। ভাগ্যক্রমে ইয়াসিন অক্ষত থাকলেও বিস্ফোরণে দগ্ধ বাকি দুই ভাইয়ের কেউই বেঁচে নেই। সকালে যখন কথা হয় ইয়াসিনের সঙ্গে তখন মা পারুল বেগম মৃত ছেলেদের পাশে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে।

পারুল বেগম যে বাড়িতে ভাড়া থাকেন ওই বাড়ির মালিক নূরজাহান বেগম জানান, সাব্বির নারায়ণগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজে বিএ এবং জুবায়েদ সরকারি তোলারাম কলেজে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছিল। বাবা নুরুদ্দীন তাদের ছেড়ে চলে যাওয়ার পর থেকে মা পারুল বেগম বাচ্চাদের আরবি ভাষা শিক্ষা দিয়ে উপার্জিত টাকায় সংসার চালাতেন।

ওই মসজিদে এশার নামাজ পড়ছিলেন স্থানীয় ফটোসাংবাদিক নাদিম আহমেদ (৪৫)। বিস্ফোরণে গুরুতর দগ্ধ নাদিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ছেলে জুনায়েদকে (১৪) নিয়ে মসজিদেই থাকতেন মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৫)। বিস্ফোরণে দগ্ধ বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। বিকেলে তাদের মরদেহ এলে সন্ধ্যায় তল্লা বড় মসজিদে তাদের জানাজা সম্পন্ন হয়। আরও চারজনের জানাজা হয়েছে স্থানীয় বোমাল বাড়ির মাঠে এবং চেয়ারম্যান বাড়ির মসজিদে। অন্যদের মরদেহ নিজ নিজ গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

‘পোলাডার মাংস চাই না, শ্বাসটা যেন থাকে’

দগ্ধ ছেলে মারা গেছেন? হার্টের রোগী মাকে তা জানাচ্ছেন না কেউ? ছেলের শোকে কাতর রিনা আক্তার এখনও জানেন তার ছেলে বেঁচে আছেন? মহান সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশে দুই হাত তুলে প্রার্থনা করছেন, ‘পোলাডার মাংস চাই না, শ্বাসটা যেন থাকে!’ বিস্ফোরণে নিহতদের ঘরে ঘরে চলছে শোকের মাতম।

গতকাল দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার একটি মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত মোহাম্মদ রিফাতের বাড়িতে এমন চিত্র দেখা যায়? গত শুক্রবার রাতে এশার নামাজের পরপর পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণে গুরুতর দগ্ধ হয়ে মারা যান কলেজ ছাত্র রিফাত?

রিফাত (১৮) বেঁচে আছে কিনা জানতে চাচ্ছিলেন মা রিনা আক্তার? অনবরত কাঁদছিলেন বড় দুই বোন ডলি আক্তার ও পলি আক্তার? ডলি আক্তার বলেন, ‘আমার ভাইয়েরা তো খারাপ কোন কাজ করতে যায় নাই? মসজিদে গেছিল নামাজ পড়তে? আল্লায় এতো পাষাণ কেমনে হইলো!’

ওই মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়েছিল দুই সহোদর সাব্বির (২১) ও জুবায়েদ (১৮)? বিস্ফোরণে দগ্ধ দু’জনের কেউই বেঁচে নেই? মা পারুল বেগম মৃত ছেলেদের পাশে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে? তাদের বাড়িওয়ালি নূরজাহান জানান, সাব্বির বিএ পড়ছিল এবং জুবায়েদ সরকারি তোলারাম কলেজে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছিল? বাবা ছেড়ে চলে যাওয়ার পর থেকে মা পারুল বেগম বাচ্চাদের আরবি ভাষা শিক্ষা দিয়ে সংসার চালাতেন?

বিস্ফোরণ হওয়া ওই মসজিদের পেছনে ভাড়াবাড়িতে থাকতেন ব্যবসায়ী কুদ্দুস বেপারী (৭২)? নিয়মিত ওই মসজিদে নামাজ পড়তেন তিনি? গত শুক্রবার এশার নামাজও সেখানেই পড়ছিলেন? বিস্ফোরণে তার শরীরের অধিকাংশ পুড়ে যায়? রাতেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি?

কুদ্দুস বেপারীর নাতি মাসুম বলেন, নিয়মিত ওই মসজিদে নামাজ পড়তেন তিনি? মুরুব্বি মানুষ তাই মসজিদ থেকে দেরিতেই বের হন? বিস্ফোরণের সময় তিনি মসজিদের ভেতরেই নামাজ পড়ছিলেন? গত শুক্রবার রাতে এশার নামাজ চলাকালীন অবস্থায় পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে? বিস্ফোরণে মসজিদের ভেতর থাকা অধিকাংশ ব্যক্তি দগ্ধ হন? ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ৩৭ জনকে ভর্তি করা হয়? সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১২ জন মারা গেছেন?