ফোন করলেই হাজির
ফোন করলেই অ্যাম্বুল্যান্স হাজির হবে। পৌঁছে দিবে হাসপাতালে। আর এজন্য কোন টাকাও দিতে হবে না! দেশে প্রথমবারের মতো থানার মাধ্যমে বিনামূল্যে অ্যাম্বুল্যান্স সেবা নিয়ে এসেছে সিএমপি’র কোতোয়ালি থানা। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে ‘হ্যালো অ্যাম্বুল্যান্স নামের এই সেবা উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মাহাবুবুর রহমান। একই সময় কোতোয়ালি থানার নবনির্মিত গেইটেরও উদ্বোধন করা হয়। কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) আমেনা বেগম, অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) এসএম মোস্তাক আহমেদ খান, অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথ এবং সিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘জন্ম থেকে বড় হয়ে উঠার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ সম্পর্কে নেতিবাচক যে ধারণা তৈরি হয়েই আছে, এই ধারণা থেকে যদি কিছুমাত্র কমানো যায়- এই চিন্তা থেকে করোনাকালে আমাদের মানবিক কার্যক্রম। আমরা করোনাকালকে বেছে নিয়েছিলাম, এই দূরত্ব কমানোর একটা সুযোগ হিসেবে। কাজ করতে গিয়ে সিএমপিসহ সারাদেশে অনেক পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, আমিও আক্রান্ত হয়েছিলাম। আল্লাহর রহমতে আমরা বেশিরভাগ সদস্যই সুস্থ হয়েছি। নগরবাসীও অনেকেই আক্রান্ত হয়েছেন। প্রথমদিকে যে অব্যবস্থাপনা ছিল সার্বিকভাবে সরকারের নজরে আসার পর একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ইতোমধ্যে সমস্যাগুলো অনেকাংশে লাঘব হয়েছে। আমাদের ভালো কাজের মাধ্যমে পুলিশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা যদি দূর হয়ে যায় সেটিই একজন অফিসার হিসেবে আমার প্রাপ্য, আমার কাম্য।’
‘হ্যালো অ্যাম্বুল্যান্স’ সেবা সম্পর্কে কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘হ্যালো অ্যাম্বুল্যান্স’ বিনামূল্যে অ্যাম্বুল্যান্স সেবা। ০১৭৬৯৬৯৫৬৬৫, ০৩১৬১৯৯২২ নাম্বারে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্সই বাসায় পৌঁছে যাবে। হাসপাতালে পৌঁছে দিবে বিনামূল্যে।আপাতত কোতোয়ালি থানা এলাকাতেই পাওয়া যাবে এই সেবা। করোনাজয়ী এক মা কোতোয়ালি থানা এলাকার মানুষের জন্য এই উপহার দিয়েছেন।’ ‘হ্যালো অ্যাম্বুল্যান্স’ ও গেইট উদ্বোধনের পাশাপাশি পুলিশ কমিশনারের করোনা জয় এবং বিদায় উপলক্ষে সংবর্ধনা প্রদান করে কোতোয়ালি থানা। এছাড়া পুলিশের কার্যক্রমকে সহযোগিতার জন্য অনিতা চৌধুরী এবং প্রণত মিত্রকেও সংবর্ধিত করা হয়। অনুষ্ঠানে পুলিশ কমিশনারের করোনা জয় নিয়ে বিশেষ ডকুমেন্টারি দেখানো হয়।
রবিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৬ মহররম ১৪৪২, ২০ ভাদ্র ১৪২৭
ফোন করলেই হাজির
চট্টগ্রাম ব্যুরো
ফোন করলেই অ্যাম্বুল্যান্স হাজির হবে। পৌঁছে দিবে হাসপাতালে। আর এজন্য কোন টাকাও দিতে হবে না! দেশে প্রথমবারের মতো থানার মাধ্যমে বিনামূল্যে অ্যাম্বুল্যান্স সেবা নিয়ে এসেছে সিএমপি’র কোতোয়ালি থানা। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে ‘হ্যালো অ্যাম্বুল্যান্স নামের এই সেবা উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মাহাবুবুর রহমান। একই সময় কোতোয়ালি থানার নবনির্মিত গেইটেরও উদ্বোধন করা হয়। কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) আমেনা বেগম, অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) এসএম মোস্তাক আহমেদ খান, অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথ এবং সিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘জন্ম থেকে বড় হয়ে উঠার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ সম্পর্কে নেতিবাচক যে ধারণা তৈরি হয়েই আছে, এই ধারণা থেকে যদি কিছুমাত্র কমানো যায়- এই চিন্তা থেকে করোনাকালে আমাদের মানবিক কার্যক্রম। আমরা করোনাকালকে বেছে নিয়েছিলাম, এই দূরত্ব কমানোর একটা সুযোগ হিসেবে। কাজ করতে গিয়ে সিএমপিসহ সারাদেশে অনেক পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, আমিও আক্রান্ত হয়েছিলাম। আল্লাহর রহমতে আমরা বেশিরভাগ সদস্যই সুস্থ হয়েছি। নগরবাসীও অনেকেই আক্রান্ত হয়েছেন। প্রথমদিকে যে অব্যবস্থাপনা ছিল সার্বিকভাবে সরকারের নজরে আসার পর একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ইতোমধ্যে সমস্যাগুলো অনেকাংশে লাঘব হয়েছে। আমাদের ভালো কাজের মাধ্যমে পুলিশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা যদি দূর হয়ে যায় সেটিই একজন অফিসার হিসেবে আমার প্রাপ্য, আমার কাম্য।’
‘হ্যালো অ্যাম্বুল্যান্স’ সেবা সম্পর্কে কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘হ্যালো অ্যাম্বুল্যান্স’ বিনামূল্যে অ্যাম্বুল্যান্স সেবা। ০১৭৬৯৬৯৫৬৬৫, ০৩১৬১৯৯২২ নাম্বারে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্সই বাসায় পৌঁছে যাবে। হাসপাতালে পৌঁছে দিবে বিনামূল্যে।আপাতত কোতোয়ালি থানা এলাকাতেই পাওয়া যাবে এই সেবা। করোনাজয়ী এক মা কোতোয়ালি থানা এলাকার মানুষের জন্য এই উপহার দিয়েছেন।’ ‘হ্যালো অ্যাম্বুল্যান্স’ ও গেইট উদ্বোধনের পাশাপাশি পুলিশ কমিশনারের করোনা জয় এবং বিদায় উপলক্ষে সংবর্ধনা প্রদান করে কোতোয়ালি থানা। এছাড়া পুলিশের কার্যক্রমকে সহযোগিতার জন্য অনিতা চৌধুরী এবং প্রণত মিত্রকেও সংবর্ধিত করা হয়। অনুষ্ঠানে পুলিশ কমিশনারের করোনা জয় নিয়ে বিশেষ ডকুমেন্টারি দেখানো হয়।