মিতু হত্যার আসামি রিমান্ডে

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলায় এক আসামিকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম শফি উদ্দিনের আদালত শুনানি শেষে মো. শাহজাহান নামের ওই আসামিকে ২ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দেন। একই সঙ্গে মো. আনোয়ার হোসেন ও মোতালেব মিয়া নামের আরও ২ আসামিকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেয়া হয়েছে।

এর আগে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ৩ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিন করে আদালতের কাছে রিমান্ড আবেদন করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) এনএম নাছির উদ্দীন বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ৩ আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে ৫ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে শাহজাহান নামের আসামির ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বাকি দু’জন আনোয়ার হোসেন ও মোতালেব মিয়ার রিমান্ড আবেদন নাকচ করে তাদের জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।

জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় খুন হন চট্টগ্রামে বিভিন্ন জঙ্গিবিরোধী অভিযানের নেতৃত্ব দেয়া পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু। পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদর দফতরে যোগ দিয়ে ওই সময় ঢাকায় ছিলেন বাবুল। তার আগে তিনি চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের পর নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন বাবুল আক্তার নিজেই। এরপর ওই বছরের ২৪ জুন ঢাকার বনশ্রীর শ্বশুরের বাসা থেকে ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর বাবুলকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শুরু থেকে গোয়েন্দা পুলিশ মামলাটির তদন্ত করছিল। তারা প্রায় তিন বছর তদন্ত করেও কোন অভিযোগপত্র দিতে পারেনি। এরপর গত জানুয়ারিতে আদালত মামলাটি তদন্তভার পিবিআইকে দেন।

সোমবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৭ মহররম ১৪৪২, ২১ ভাদ্র ১৪২৭

চট্টগ্রামে

মিতু হত্যার আসামি রিমান্ডে

চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলায় এক আসামিকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম শফি উদ্দিনের আদালত শুনানি শেষে মো. শাহজাহান নামের ওই আসামিকে ২ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দেন। একই সঙ্গে মো. আনোয়ার হোসেন ও মোতালেব মিয়া নামের আরও ২ আসামিকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেয়া হয়েছে।

এর আগে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ৩ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিন করে আদালতের কাছে রিমান্ড আবেদন করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) এনএম নাছির উদ্দীন বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ৩ আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে ৫ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে শাহজাহান নামের আসামির ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বাকি দু’জন আনোয়ার হোসেন ও মোতালেব মিয়ার রিমান্ড আবেদন নাকচ করে তাদের জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।

জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় খুন হন চট্টগ্রামে বিভিন্ন জঙ্গিবিরোধী অভিযানের নেতৃত্ব দেয়া পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু। পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদর দফতরে যোগ দিয়ে ওই সময় ঢাকায় ছিলেন বাবুল। তার আগে তিনি চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের পর নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন বাবুল আক্তার নিজেই। এরপর ওই বছরের ২৪ জুন ঢাকার বনশ্রীর শ্বশুরের বাসা থেকে ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর বাবুলকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শুরু থেকে গোয়েন্দা পুলিশ মামলাটির তদন্ত করছিল। তারা প্রায় তিন বছর তদন্ত করেও কোন অভিযোগপত্র দিতে পারেনি। এরপর গত জানুয়ারিতে আদালত মামলাটি তদন্তভার পিবিআইকে দেন।