হুয়াওয়ে হেডকোয়ার্টার থেকে আইসিটি প্রশিক্ষণ পাবে বাংলাদেশের ১০ শিক্ষার্থী

শীর্ষস্থানীয় আইসিটি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে সম্প্রতি দেশের পাঁচটি বিশ^বিদ্যালয় থেকে মোট ১০ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে আইসিটি ট্যালেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। গত ২ সেপ্টেম্বর ‘সিডস ফর দ্যা ফিউচার ২০২০’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল ইভেন্টে এ ঘোষণা দেয়া হয়। হুয়াওয়ের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট শেন মিংজে-র শুভেচ্ছা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির সূচনা করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনেস্কো বাংলাদেশ-এর প্রধান বিয়াট্রিস কালদুন। হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঝাং ঝেংজুন এবং হুয়াওয়ের অন্যান্য কর্মকর্তাগণও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। প্রাথমিক পর্যায়ে ৫০০ জন শিক্ষার্থী এই ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেন। সিজিপিএ, তাৎক্ষণিক পরীক্ষা এবং নতুন প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠানের ওপর শিক্ষাথীদের দেয়া প্রেজেন্টেশনের ওপর ভিত্তি করে ১০ জন বিজয়ী নির্বাচিত করা হয়। হুয়াওয়ে বিগত পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশে এই ইভেন্টটি আয়োজন করে আসছে। সাধারণত নির্বাচিত শিক্ষার্থীগণ চীনে একটি দুই সপ্তাহব্যাপী ট্রেনিংয়ে অংশ নিয়ে থাকেন, তবে এবছর কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সীমাবদ্ধতার কারণে প্রশিক্ষণ পর্বটি অনলাইনে সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পাঁচ দিনব্যাপী এই অনলাইন প্রোগ্রামে থাকছে ফাইভজি, ক্লাউড কম্পিউটিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই), ডিজিটাল ইকোনমি, ইন্ডাস্ট্রি ট্রেন্ড এবং হুয়াওয়ে-র এক্সপার্ট ও অতিথিদের সঙ্গে লাইভ-স্ট্রিমড সেশন। অন্যদিকে লিডারশিপ স্কিল প্রসঙ্গেও আলোকপাত করা হবে।

প্রধান অতিথি মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল অনুষ্ঠানে বলেন, ‘বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য পরিবর্তনশীল বৈশি^ক চিত্রের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া ক্রমশই জরুরি হয়ে উঠছে। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে এবং বৈশি^ক প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের সঙ্গে তাল মেলাতে আমাদের প্রয়োজন তরুণদের মধ্যে প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও দক্ষতার বিকাশ ঘটানো। আমাদের জন্য এটি সত্যিই আনন্দের বিষয় যে, শীর্ষস্থানীয় একটি আইসিটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের মেধাবীদের প্রযুক্তিগত বিকাশে সহায়তার দায়িত্ব নিয়েছে।’ বিয়াট্রিস কালদুন বলেন, কোভিড-১৯ মহামারীর বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আইসিটি প্রতিভা এবং উদ্ভাবনী আইসিটি সমাধানের প্রয়োজনীয়তা আগের চেয়ে এখন বেশি প্রয়োজন। সিডস ফর দ্যা ফিউচার প্রোগ্রামের মাধ্যমে হুয়াওয়ে বাংলাদেশের তরুণদের আইসিটি বিষয়ে দক্ষতা এবং জ্ঞান অর্জন করতে সাহায্য করছে, যা তাদের কর্মজীবনে সফল হতে এবং বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সাহায্য করবে। সিডস ফর দ্যা ফিউচার ২০২০ এর বিজয়ীরা হলেনÑ আফসারা বেনজির ও খন্দকার মুশফিকুর রহমান (বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ^বিদ্যালয়, সিএসই বিভাগ), তাসনিয়া সুলতানা ও আবদুল্লাহ আল মিরাজ (চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়, ইইই বিভাগ), রাবেয়া তুস সাদিয়া ও অমিত কর্মকার (রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়, সিএসই বিভাগ), আদিবা তাবাসসুম চৌধুরী ও আরিফুর রহমান (ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়, ইইই বিভাগ) এবং ফারিয়া রহমান এবং ফয়েজ-উল ইসলাম (খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়, ইইই বিভাগ)। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

সোমবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৭ মহররম ১৪৪২, ২১ ভাদ্র ১৪২৭

হুয়াওয়ে হেডকোয়ার্টার থেকে আইসিটি প্রশিক্ষণ পাবে বাংলাদেশের ১০ শিক্ষার্থী

image

শীর্ষস্থানীয় আইসিটি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে সম্প্রতি দেশের পাঁচটি বিশ^বিদ্যালয় থেকে মোট ১০ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে আইসিটি ট্যালেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। গত ২ সেপ্টেম্বর ‘সিডস ফর দ্যা ফিউচার ২০২০’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল ইভেন্টে এ ঘোষণা দেয়া হয়। হুয়াওয়ের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট শেন মিংজে-র শুভেচ্ছা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির সূচনা করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনেস্কো বাংলাদেশ-এর প্রধান বিয়াট্রিস কালদুন। হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঝাং ঝেংজুন এবং হুয়াওয়ের অন্যান্য কর্মকর্তাগণও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। প্রাথমিক পর্যায়ে ৫০০ জন শিক্ষার্থী এই ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেন। সিজিপিএ, তাৎক্ষণিক পরীক্ষা এবং নতুন প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠানের ওপর শিক্ষাথীদের দেয়া প্রেজেন্টেশনের ওপর ভিত্তি করে ১০ জন বিজয়ী নির্বাচিত করা হয়। হুয়াওয়ে বিগত পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশে এই ইভেন্টটি আয়োজন করে আসছে। সাধারণত নির্বাচিত শিক্ষার্থীগণ চীনে একটি দুই সপ্তাহব্যাপী ট্রেনিংয়ে অংশ নিয়ে থাকেন, তবে এবছর কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সীমাবদ্ধতার কারণে প্রশিক্ষণ পর্বটি অনলাইনে সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পাঁচ দিনব্যাপী এই অনলাইন প্রোগ্রামে থাকছে ফাইভজি, ক্লাউড কম্পিউটিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই), ডিজিটাল ইকোনমি, ইন্ডাস্ট্রি ট্রেন্ড এবং হুয়াওয়ে-র এক্সপার্ট ও অতিথিদের সঙ্গে লাইভ-স্ট্রিমড সেশন। অন্যদিকে লিডারশিপ স্কিল প্রসঙ্গেও আলোকপাত করা হবে।

প্রধান অতিথি মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল অনুষ্ঠানে বলেন, ‘বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য পরিবর্তনশীল বৈশি^ক চিত্রের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া ক্রমশই জরুরি হয়ে উঠছে। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে এবং বৈশি^ক প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের সঙ্গে তাল মেলাতে আমাদের প্রয়োজন তরুণদের মধ্যে প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও দক্ষতার বিকাশ ঘটানো। আমাদের জন্য এটি সত্যিই আনন্দের বিষয় যে, শীর্ষস্থানীয় একটি আইসিটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের মেধাবীদের প্রযুক্তিগত বিকাশে সহায়তার দায়িত্ব নিয়েছে।’ বিয়াট্রিস কালদুন বলেন, কোভিড-১৯ মহামারীর বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আইসিটি প্রতিভা এবং উদ্ভাবনী আইসিটি সমাধানের প্রয়োজনীয়তা আগের চেয়ে এখন বেশি প্রয়োজন। সিডস ফর দ্যা ফিউচার প্রোগ্রামের মাধ্যমে হুয়াওয়ে বাংলাদেশের তরুণদের আইসিটি বিষয়ে দক্ষতা এবং জ্ঞান অর্জন করতে সাহায্য করছে, যা তাদের কর্মজীবনে সফল হতে এবং বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সাহায্য করবে। সিডস ফর দ্যা ফিউচার ২০২০ এর বিজয়ীরা হলেনÑ আফসারা বেনজির ও খন্দকার মুশফিকুর রহমান (বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ^বিদ্যালয়, সিএসই বিভাগ), তাসনিয়া সুলতানা ও আবদুল্লাহ আল মিরাজ (চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়, ইইই বিভাগ), রাবেয়া তুস সাদিয়া ও অমিত কর্মকার (রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়, সিএসই বিভাগ), আদিবা তাবাসসুম চৌধুরী ও আরিফুর রহমান (ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়, ইইই বিভাগ) এবং ফারিয়া রহমান এবং ফয়েজ-উল ইসলাম (খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়, ইইই বিভাগ)। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।