সাক্ষরতার হার ৭৪.৭ শতাংশ

বর্তমানে দেশে সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৭ শতাংশ। এটি বৃদ্ধি করতে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-২০২০ উদযাপন উপলক্ষে গতকাল সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এ কথা বলেন।

৮ সেপ্টেম্বর (আগামীকাল) দেশে আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস পালন করা হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইউনেস্কোর উদ্যোগে ১৯৯১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস পালন করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে প্রথমবারের মতো এ দিবস উপযাপন করেন। এর ধারাবাহিকতায় সরকার প্রতি বছর আন্তর্জাতিক দিবস পালন করে আসছে। এবার স্বাক্ষরতা দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘কোভিড-১৯ সংকট : স্বাক্ষরতা শিক্ষায় পরিবর্তনশীল শিখন-শেখানো কৌশল এবং শিক্ষাবিদদের ভূমিকা’।

করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার স্বাক্ষরতা দিবসের সব আয়োজন স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরোয়াভাবে করা হবে উল্লেখ করে জাকির হোসেন বলেন, বেশ কয়েকটি প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষকে স্বাক্ষরতার আওতায় আনা হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে স্বাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০০৫ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময় এ সংখ্যা ছিল ৫৩ দশমিক ৫ শতাংশ। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর আওতায় নানা কর্মসূচির মাধ্যমে ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০১ পর্যন্ত প্রায় এক কোটি ৮০ লাখ মানুষকে স্বাক্ষরতার আওতায় আনা হয়েছে।

‘মৌলিক স্বাক্ষরতা প্রকল্প’ কর্মসূচির মাধ্যমে ৬৪ জেলায় নির্বাচিত ২৫০টি উপজেলার ১৫ থেকে ৪৫ লাখ নিরক্ষরকে স্বাক্ষরতার জ্ঞান প্রদান করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রথম পর্যায়ে ১৩৫টি উপজেলা শিক্ষাকেন্দ্রের মাধ্যমে ২৩ লাখ ৫৯ হাজার ৪৪১ জন নিরক্ষরকে স্বাক্ষরতা প্রদান করা হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, সরকার এসডিজি এবং জাতীয় অঙ্গীকারের ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০১৬-২০২০) প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে চলেছে। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের চতুর্থ লক্ষ্যে স্বাক্ষরতা বিস্তার, দক্ষতা উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ এবং জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ্য সৃষ্টির জন্য ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টিতে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।

ঝরে পড়া শিশুদের শিক্ষার আওতায় আনতে উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, দারিদ্র, অনগ্রসরতা, শিশুশ্রম, ভৌগলিক প্রতিবন্ধকতা ইত্যাদি কারণে এখনও অনেক শিশু বিদ্যালয়ে আসছে না। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে এসব শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার জনা পিইডিপি-৪ এর আওতায় ৮-১৪ বছর বয়সী ১০ লাখ শিশুকে উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান করা হবে। প্রাথমিকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কিশোরগঞ্জ, গাইবান্ধা, সুনামগঞ্জসহ ছয় জেলায় এক লাখ শিশুকে পাইলটিং শুরু করা হয়েছে।

উপানুষ্ঠানিক শিক্ষাবোর্ড প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে জানিয়ে জাকির হোসেন বলেন, এর মাধ্যমে দেশের সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান যা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার সঙ্গে জড়িত তাদের প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন শিক্ষকদের যোগ্যতা ও দক্ষতা নিরূপণ, শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, পরীক্ষা গ্রহণ ও সনদ প্রদান করা হবে।

সোমবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৭ মহররম ১৪৪২, ২১ ভাদ্র ১৪২৭

সাক্ষরতার হার ৭৪.৭ শতাংশ

বর্তমানে দেশে সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৭ শতাংশ। এটি বৃদ্ধি করতে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-২০২০ উদযাপন উপলক্ষে গতকাল সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এ কথা বলেন।

৮ সেপ্টেম্বর (আগামীকাল) দেশে আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস পালন করা হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইউনেস্কোর উদ্যোগে ১৯৯১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস পালন করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে প্রথমবারের মতো এ দিবস উপযাপন করেন। এর ধারাবাহিকতায় সরকার প্রতি বছর আন্তর্জাতিক দিবস পালন করে আসছে। এবার স্বাক্ষরতা দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘কোভিড-১৯ সংকট : স্বাক্ষরতা শিক্ষায় পরিবর্তনশীল শিখন-শেখানো কৌশল এবং শিক্ষাবিদদের ভূমিকা’।

করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার স্বাক্ষরতা দিবসের সব আয়োজন স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরোয়াভাবে করা হবে উল্লেখ করে জাকির হোসেন বলেন, বেশ কয়েকটি প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষকে স্বাক্ষরতার আওতায় আনা হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে স্বাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০০৫ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময় এ সংখ্যা ছিল ৫৩ দশমিক ৫ শতাংশ। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর আওতায় নানা কর্মসূচির মাধ্যমে ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০১ পর্যন্ত প্রায় এক কোটি ৮০ লাখ মানুষকে স্বাক্ষরতার আওতায় আনা হয়েছে।

‘মৌলিক স্বাক্ষরতা প্রকল্প’ কর্মসূচির মাধ্যমে ৬৪ জেলায় নির্বাচিত ২৫০টি উপজেলার ১৫ থেকে ৪৫ লাখ নিরক্ষরকে স্বাক্ষরতার জ্ঞান প্রদান করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রথম পর্যায়ে ১৩৫টি উপজেলা শিক্ষাকেন্দ্রের মাধ্যমে ২৩ লাখ ৫৯ হাজার ৪৪১ জন নিরক্ষরকে স্বাক্ষরতা প্রদান করা হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, সরকার এসডিজি এবং জাতীয় অঙ্গীকারের ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০১৬-২০২০) প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে চলেছে। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের চতুর্থ লক্ষ্যে স্বাক্ষরতা বিস্তার, দক্ষতা উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ এবং জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ্য সৃষ্টির জন্য ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টিতে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।

ঝরে পড়া শিশুদের শিক্ষার আওতায় আনতে উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, দারিদ্র, অনগ্রসরতা, শিশুশ্রম, ভৌগলিক প্রতিবন্ধকতা ইত্যাদি কারণে এখনও অনেক শিশু বিদ্যালয়ে আসছে না। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে এসব শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার জনা পিইডিপি-৪ এর আওতায় ৮-১৪ বছর বয়সী ১০ লাখ শিশুকে উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান করা হবে। প্রাথমিকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কিশোরগঞ্জ, গাইবান্ধা, সুনামগঞ্জসহ ছয় জেলায় এক লাখ শিশুকে পাইলটিং শুরু করা হয়েছে।

উপানুষ্ঠানিক শিক্ষাবোর্ড প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে জানিয়ে জাকির হোসেন বলেন, এর মাধ্যমে দেশের সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান যা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার সঙ্গে জড়িত তাদের প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন শিক্ষকদের যোগ্যতা ও দক্ষতা নিরূপণ, শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, পরীক্ষা গ্রহণ ও সনদ প্রদান করা হবে।