সাতক্ষীরার সাবেক সিভিল সার্জন ডা. তৌহিদসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনাকাটায় দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে প্রায় ১৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাতক্ষীরা হাসপাতালের সাবেক সিভিল সার্জন ডা. তৌহিদুর রহমানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম এ চার্জশিট দাখিল করেন। এর আগে চার্জশিট দাখিলের বিষয়টি অনুমোদন দেয় কমিশন।

দুদকের পরিচালক (গণসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টচার্য জানান, সাতক্ষীরা হাসপাতালের চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনাকাটার নামে পরস্পর যোগসাজগে ষোল কোটি একাত্তর লাখ বত্রিশ হাজার দুইশত বাইশ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় আদালতে চার্জশিট দিয়েছে দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম। কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট আদালতে তিনি এ চার্জশিট দাখিল করেছেন। চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হচ্ছেন- সাবেক সিভিল সার্জন ডা. তৌহিদুর রহমান, হিসাবরক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন, একেএম ফজলুল হক, মালামাল সরবরাহকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স বেঙ্গল সায়েন্টিফিকের মালিক মো. জাহের উদ্দিন সরকার, মেসার্স মাকেন্টাইল ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মালিক মো. আবদুর ছাত্তার সরকার, মো. আহসান হাবিব, ম্যানেজার আবু বকর সিদ্দিকি ইউনিভার্সেল ট্রেড করপোরেশনের মালিক মো. আশাদুর রহমান এবং মহাখালী নিমিউ অ্যান্ড টিসির সাবেক সহকারী প্রকৌশলী এএইচএম আবদুল কুদ্দুস।

তদন্তে অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা অসৎ উদ্দেশে পরস্পর যোগসাজশে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির আশ্রয়ে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক চিকিৎসা সংক্রান্ত মালামাল ক্রয় ও সরবরাহের নামে ৩টি বিলের বিপরীতে মোট (৭,৮১,৭১,৮৭৮ + ৪,৪৯,৯৫,৫৪৪ + ৪,৩৯,৬৪,৮০০) = ১৬ কোটি ৭১ লাখ, ৩২ হাজার ২২২ টাকার গ্রহণপূর্বক উত্তোলন করে সরকারের আর্থিক ক্ষতি সাধনের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে দ-বিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪০৯/ ১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে (দুদক, সজেকা, খুলনার (সাতক্ষীরা) চার্জশিট নং-০৩, তারিখ-৩১/০৮/২০২০ খ্রি.। এর আগে দুদকের তৎকালীন উপ-সহকারী পরিচালক বর্তমানে সহকারী পরিচালক মো. জালাল উদ্দিন ২০১৯ সালের ৯ জুলাই আসামিদের বিরেুদ্ধ দুর্নীতি দমন কমিশন খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক।

সোমবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৭ মহররম ১৪৪২, ২১ ভাদ্র ১৪২৭

অর্থ আত্মসাৎ

সাতক্ষীরার সাবেক সিভিল সার্জন ডা. তৌহিদসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনাকাটায় দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে প্রায় ১৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাতক্ষীরা হাসপাতালের সাবেক সিভিল সার্জন ডা. তৌহিদুর রহমানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম এ চার্জশিট দাখিল করেন। এর আগে চার্জশিট দাখিলের বিষয়টি অনুমোদন দেয় কমিশন।

দুদকের পরিচালক (গণসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টচার্য জানান, সাতক্ষীরা হাসপাতালের চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনাকাটার নামে পরস্পর যোগসাজগে ষোল কোটি একাত্তর লাখ বত্রিশ হাজার দুইশত বাইশ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় আদালতে চার্জশিট দিয়েছে দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম। কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট আদালতে তিনি এ চার্জশিট দাখিল করেছেন। চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হচ্ছেন- সাবেক সিভিল সার্জন ডা. তৌহিদুর রহমান, হিসাবরক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন, একেএম ফজলুল হক, মালামাল সরবরাহকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স বেঙ্গল সায়েন্টিফিকের মালিক মো. জাহের উদ্দিন সরকার, মেসার্স মাকেন্টাইল ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মালিক মো. আবদুর ছাত্তার সরকার, মো. আহসান হাবিব, ম্যানেজার আবু বকর সিদ্দিকি ইউনিভার্সেল ট্রেড করপোরেশনের মালিক মো. আশাদুর রহমান এবং মহাখালী নিমিউ অ্যান্ড টিসির সাবেক সহকারী প্রকৌশলী এএইচএম আবদুল কুদ্দুস।

তদন্তে অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা অসৎ উদ্দেশে পরস্পর যোগসাজশে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির আশ্রয়ে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক চিকিৎসা সংক্রান্ত মালামাল ক্রয় ও সরবরাহের নামে ৩টি বিলের বিপরীতে মোট (৭,৮১,৭১,৮৭৮ + ৪,৪৯,৯৫,৫৪৪ + ৪,৩৯,৬৪,৮০০) = ১৬ কোটি ৭১ লাখ, ৩২ হাজার ২২২ টাকার গ্রহণপূর্বক উত্তোলন করে সরকারের আর্থিক ক্ষতি সাধনের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে দ-বিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪০৯/ ১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে (দুদক, সজেকা, খুলনার (সাতক্ষীরা) চার্জশিট নং-০৩, তারিখ-৩১/০৮/২০২০ খ্রি.। এর আগে দুদকের তৎকালীন উপ-সহকারী পরিচালক বর্তমানে সহকারী পরিচালক মো. জালাল উদ্দিন ২০১৯ সালের ৯ জুলাই আসামিদের বিরেুদ্ধ দুর্নীতি দমন কমিশন খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক।