এনজিও কর্মীকে গলা কেটে হত্যা

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে সাজেদুল ইসলাম (৪৫) নামের এক এনজিও কর্মীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে বারদী মিস্ত্রীপাড়া গ্রামের সামসুদ্দিনের বাড়িতে হত্যার এই ঘটনা ঘটে। তবে কে বা কারা কি কারণে এই হত্যাকা- ঘটিয়েছে তার কোন কারণ জানা যায়নি। এই ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ রফিকুল ইসলাম জানান, গতকাল বেসরকারি ক্ষুদ্রঋণ দাতা ‘বাংলাদেশ ব্যুরো’ নামের একটি এনজিওর কর্মী সাজেদুল ইসলাম তার আঞ্চলিক অফিস (বারদী নেছারিয়া আলিয়া মাদ্রাসার পাশের রফিকের বাড়ি) থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে পার্শ্ববর্তী সামসুদ্দিনের বাড়িতে (এনজিও’র গ্রাহকদের বসার স্থান) গিয়ে তাদের গ্রাহকদের ক্ষুদ্রঋণ দিয়ে অফিসে চলে যায়। পরে দুপুর ১২টার দিকে তিনি আবার গ্রাহকদের কাছ থেকে আগের কিস্তির টাকা আনতে সামসুদ্দিনের বাড়িতে যান। পরে কে বা কারা তাকে গলাকেটে হত্যা করে লাশটি ঘরের চৌকিতে রেখে পালিয়ে যায়। এদিকে ক্ষুদ্রঋণ গ্রহীতারা ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে এনজিওকর্মী সাজেদুল ইসলামের লাশ চৌকির ওপর দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত সাজেদুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এই ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খোরশেদ আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এনজিও কর্মীর গলা কেটে হত্যা করা হলেও তার সঙ্গে থাকা নগদ ৭ হাজার টাকা নেয়নি ঘাতকরা। ধারণা করা হচ্ছে একাধিক ব্যাক্তি এই হত্যায় জড়িত। তবে কি কারণে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে কোন ধারণা করতে পারেনি পুলিশ। ঘাতকদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। নিহত সাজেদুল ইসলাম টাঙ্গাইল জেলার মুগদা ইউনিয়নের মীরপুর গ্রামের মৃত আ. সাত্তার মিয়ার ছেলে। এই ঘটনায় নিহতের পরিবার ও এনজিওর অফিসারদের মধ্যে আলাপ আলোচনা শেষে কে বাদী হয়ে মামলা করবে তার সিদ্ধান্ত হলে মামলা করবে বলে এনজিও অফিস ও নিহতের পরিবার সূত্র জানায়।

সোমবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৭ মহররম ১৪৪২, ২১ ভাদ্র ১৪২৭

সোনারগাঁয়ে

এনজিও কর্মীকে গলা কেটে হত্যা

প্রতিনিধি, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ)

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে সাজেদুল ইসলাম (৪৫) নামের এক এনজিও কর্মীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে বারদী মিস্ত্রীপাড়া গ্রামের সামসুদ্দিনের বাড়িতে হত্যার এই ঘটনা ঘটে। তবে কে বা কারা কি কারণে এই হত্যাকা- ঘটিয়েছে তার কোন কারণ জানা যায়নি। এই ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ রফিকুল ইসলাম জানান, গতকাল বেসরকারি ক্ষুদ্রঋণ দাতা ‘বাংলাদেশ ব্যুরো’ নামের একটি এনজিওর কর্মী সাজেদুল ইসলাম তার আঞ্চলিক অফিস (বারদী নেছারিয়া আলিয়া মাদ্রাসার পাশের রফিকের বাড়ি) থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে পার্শ্ববর্তী সামসুদ্দিনের বাড়িতে (এনজিও’র গ্রাহকদের বসার স্থান) গিয়ে তাদের গ্রাহকদের ক্ষুদ্রঋণ দিয়ে অফিসে চলে যায়। পরে দুপুর ১২টার দিকে তিনি আবার গ্রাহকদের কাছ থেকে আগের কিস্তির টাকা আনতে সামসুদ্দিনের বাড়িতে যান। পরে কে বা কারা তাকে গলাকেটে হত্যা করে লাশটি ঘরের চৌকিতে রেখে পালিয়ে যায়। এদিকে ক্ষুদ্রঋণ গ্রহীতারা ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে এনজিওকর্মী সাজেদুল ইসলামের লাশ চৌকির ওপর দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত সাজেদুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এই ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খোরশেদ আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এনজিও কর্মীর গলা কেটে হত্যা করা হলেও তার সঙ্গে থাকা নগদ ৭ হাজার টাকা নেয়নি ঘাতকরা। ধারণা করা হচ্ছে একাধিক ব্যাক্তি এই হত্যায় জড়িত। তবে কি কারণে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে কোন ধারণা করতে পারেনি পুলিশ। ঘাতকদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। নিহত সাজেদুল ইসলাম টাঙ্গাইল জেলার মুগদা ইউনিয়নের মীরপুর গ্রামের মৃত আ. সাত্তার মিয়ার ছেলে। এই ঘটনায় নিহতের পরিবার ও এনজিওর অফিসারদের মধ্যে আলাপ আলোচনা শেষে কে বাদী হয়ে মামলা করবে তার সিদ্ধান্ত হলে মামলা করবে বলে এনজিও অফিস ও নিহতের পরিবার সূত্র জানায়।