নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে দ্রুত পদক্ষেপ নিন

দীর্ঘ পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত বাংলাদেশ। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার লকডাউন, দীর্ঘ সাধারণ ছুটি দিয়েছে। বেসরকারি সংস্থা পিপিআরসি ও বিআইজিডির গবেষণায় বলা হয়েছেÑ করোনার কারণে কাজের ক্ষেত্র সীমিত হওয়ায় দেশের ৭০ শতাংশ নিম্ন আয়ের মানুষসহ জনসাধারণের আয়ের পরিমাণ কমে গেছে, অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিতে পড়েছে ১০ কোটি ২২ লাখ মানুষ, কর্মহীন হয়ে পড়েছে অনেকে। এমন পরিস্থিতে বাজারে চাল-ডাল, শাক-সবজিসহ নিত্যপণ্যের চড়া দামে মানুষের দুর্ভোগ আরও চরমে উঠেছে। আয়ের তুলনায় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উল্লম্ফন ঘটায় সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে দেশের মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষজন।

একদিকে করোনায় মানুষের আয় কমেছে অন্যদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যেরর দাম মারাত্মকভাবে বেড়েছেÑ এ যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। এতে ভোক্তার জন্য যেমন কষ্টকর তেমনি অর্থনীতির জন্যও অশনিসংকেত। অধিকাংশ সময় নানা অজুহাত দেখিয়ে বা কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয় একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা। এবারও এর ব্যতিক্রম নয়। বাজারে কেজি প্রতি ৭০-৯০ টাকার নিচে কোন সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। কাঁচামরিচ ৩০০-৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চালের পর্যাপ্ত মজুদ থাকলেও সাধারণ চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫২-৬০ টাকা দরে। আবার অনেক দোকানদার পণ্যের সংকট দেখিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্যও চড়া দামের বিক্রি করছে। মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের কারসাজি, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য, বাজার তদারকিতে মন্ত্রণালয় যুক্ত না থাকা এবং সুষ্ঠু সরবরাহ ব্যবস্থা না থাকায় নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থায় নিয়ন্ত্রণহীন পণ্যমূল্য জনসাধারণকে হতাশ করছে। সর্বাবস্থা বিবেচনা করে- টিসিবি, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বাজার মনিটরিংয়ের জোর দাবি জানাই।

মোহম্মদ শাহিন

সোমবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৭ মহররম ১৪৪২, ২১ ভাদ্র ১৪২৭

নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে দ্রুত পদক্ষেপ নিন

দীর্ঘ পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত বাংলাদেশ। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার লকডাউন, দীর্ঘ সাধারণ ছুটি দিয়েছে। বেসরকারি সংস্থা পিপিআরসি ও বিআইজিডির গবেষণায় বলা হয়েছেÑ করোনার কারণে কাজের ক্ষেত্র সীমিত হওয়ায় দেশের ৭০ শতাংশ নিম্ন আয়ের মানুষসহ জনসাধারণের আয়ের পরিমাণ কমে গেছে, অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিতে পড়েছে ১০ কোটি ২২ লাখ মানুষ, কর্মহীন হয়ে পড়েছে অনেকে। এমন পরিস্থিতে বাজারে চাল-ডাল, শাক-সবজিসহ নিত্যপণ্যের চড়া দামে মানুষের দুর্ভোগ আরও চরমে উঠেছে। আয়ের তুলনায় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উল্লম্ফন ঘটায় সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে দেশের মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষজন।

একদিকে করোনায় মানুষের আয় কমেছে অন্যদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যেরর দাম মারাত্মকভাবে বেড়েছেÑ এ যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। এতে ভোক্তার জন্য যেমন কষ্টকর তেমনি অর্থনীতির জন্যও অশনিসংকেত। অধিকাংশ সময় নানা অজুহাত দেখিয়ে বা কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয় একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা। এবারও এর ব্যতিক্রম নয়। বাজারে কেজি প্রতি ৭০-৯০ টাকার নিচে কোন সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। কাঁচামরিচ ৩০০-৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চালের পর্যাপ্ত মজুদ থাকলেও সাধারণ চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫২-৬০ টাকা দরে। আবার অনেক দোকানদার পণ্যের সংকট দেখিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্যও চড়া দামের বিক্রি করছে। মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের কারসাজি, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য, বাজার তদারকিতে মন্ত্রণালয় যুক্ত না থাকা এবং সুষ্ঠু সরবরাহ ব্যবস্থা না থাকায় নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থায় নিয়ন্ত্রণহীন পণ্যমূল্য জনসাধারণকে হতাশ করছে। সর্বাবস্থা বিবেচনা করে- টিসিবি, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বাজার মনিটরিংয়ের জোর দাবি জানাই।

মোহম্মদ শাহিন