‘বিশ্বভরা প্রাণ’-এ শর্মিলী আহমেদ ও তারিন

দু’দিন আগে শর্মিলী আহমেদ ও তারিন; ফারিয়া হোসেনের রচনায় ও চয়নিকা চৌধুরীর পরিচালনায় দুর্গাপূজার বিশেষ নাটক ‘বিশ্বভরা প্রাণ’এ অভিনয় করেছেন। এই নাটকে শর্মিলী আহমেদ জেঠি, আবুল হায়াত জেঠা এবং তারিন অভিনয় করেছেন আবুল হায়াতেরই ছোট ভাইয়ের মেয়ের চরিত্রে; যার নাম শুভ্রা, যিনি জাপানে পিএইচডি করছেন। নাটকটিতে আরো দুটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন রওনক হাসান ও ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর।

শর্মিলী আহমেদ এই নাটকে কাজ করা নিয়ে বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর তারিনের সঙ্গে একই নাটকে কাজ করেছি। তারিন আমার ভীষণ আদরের। নি:সন্দেহে তারিন একজন ভালো অভিনেত্রী। আমাদের চোখের সামনেইতো দেখতে দেখতে তারিনের বড় হয়ে উঠা, শিশুশিল্পী থেকে পরিণত বয়সের অভিনেত্রী হয়ে উঠা। তার সফলতার ধারাবাহিকতাটা যেন চোখে লেগে আছে। একজন শিল্পীর সত্যিকার অর্থেই অভিনয়ের প্রতি ভালোলাগা, ভালোবাসা, অধ্যবসায় থাকলে যে অভিনয়ে পরিপূর্ণতা পেতে পারেন, তারিন যেন তার প্রজন্মে অনন্য দৃষ্টান্ত। ভীষণ লক্ষ্মী একটা মেয়ে। কত্তোদিন পর তারসঙ্গে একই নাটকে অভিনয়, আমারই মন ভরে গেছে। কারণ কী যে সম্মান করে, ভালোবাসে আমাকে তা বলে বুঝানো সম্ভব নয়। সবচেয়ে বড় কথা সিনিয়র শিল্পীদের প্রতি তারিনের কেয়ারিং বিষয়টা অন্যদের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকারই মতো।’ তারিন জাহান বলেন, ‘আমাদের মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রির সবার প্রিয় মা শর্মিলী মা। একটা সময় ছিল যখন টিভির সব নাটকে বাবা মার চরিত্রে তাদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হতো, তাদের স্নেহ, ভালোবাসা আন্তরিকতা উৎসাহ আমাকে কাজের অনুপ্রেরণাা দিয়েছে। কিন্তু এই সময়ে নাটকে বাজেট স্বল্পতা, কিংবা বাবা মা ছাড়া পা-ুলিপি হয় (অনেক ক্ষেত্রে), তাদের সঙ্গে কাজের সুযোগ হয় কম। কিন্তু একজন শিল্পী যার রক্তে অভিনয়, অভিনয় চর্চা ছাড়া যে মানুষটা জীবনে আর অন্য কোণ পেশায় ছিল না, অভিনয় করা যার ভালোবাসা সাধনার জায়গা, সেখানে বয়স/ বার্ধক্যের কোণ শারীরিক কষ্ট তা বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। কাজের প্রতি নিষ্ঠা আর ভালোবাসার মূল্য তাই অপরিসীম। গত দুদিন দুর্গাপূজার জন্য নির্মিত নাটকে শর্মিলী মার সঙ্গে কাজকরলাম দীর্ঘদিন পর। পায়ের ব্যথা নিয়েই কাজ করলেন। আমি প্রশ্ন করলাম, শরীর খারাপ নিয়ে কেন কাজ করছো মা? উত্তরে বললেন, কাজ করলেই ভালো থাকি, অভিনয় থেকে দুরে থাকতে পারি না’। তোমাদের কাছ থেকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের অনেক কিছু শেখার আছে। তোমাদের মতো শিল্পীদের যথার্থ সম্মান আমরা যেন দিতে পারি। এমন করেই যেন তোমাদের আশীর্বাদ আর স্নেহ ভালোবাসা অর্জন করতে পারি।’

মঙ্গলবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৮ মহররম ১৪৪২, ২২ ভাদ্র ১৪২৭

‘বিশ্বভরা প্রাণ’-এ শর্মিলী আহমেদ ও তারিন

বিনোদন প্রতিবেদক |

image

দু’দিন আগে শর্মিলী আহমেদ ও তারিন; ফারিয়া হোসেনের রচনায় ও চয়নিকা চৌধুরীর পরিচালনায় দুর্গাপূজার বিশেষ নাটক ‘বিশ্বভরা প্রাণ’এ অভিনয় করেছেন। এই নাটকে শর্মিলী আহমেদ জেঠি, আবুল হায়াত জেঠা এবং তারিন অভিনয় করেছেন আবুল হায়াতেরই ছোট ভাইয়ের মেয়ের চরিত্রে; যার নাম শুভ্রা, যিনি জাপানে পিএইচডি করছেন। নাটকটিতে আরো দুটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন রওনক হাসান ও ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর।

শর্মিলী আহমেদ এই নাটকে কাজ করা নিয়ে বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর তারিনের সঙ্গে একই নাটকে কাজ করেছি। তারিন আমার ভীষণ আদরের। নি:সন্দেহে তারিন একজন ভালো অভিনেত্রী। আমাদের চোখের সামনেইতো দেখতে দেখতে তারিনের বড় হয়ে উঠা, শিশুশিল্পী থেকে পরিণত বয়সের অভিনেত্রী হয়ে উঠা। তার সফলতার ধারাবাহিকতাটা যেন চোখে লেগে আছে। একজন শিল্পীর সত্যিকার অর্থেই অভিনয়ের প্রতি ভালোলাগা, ভালোবাসা, অধ্যবসায় থাকলে যে অভিনয়ে পরিপূর্ণতা পেতে পারেন, তারিন যেন তার প্রজন্মে অনন্য দৃষ্টান্ত। ভীষণ লক্ষ্মী একটা মেয়ে। কত্তোদিন পর তারসঙ্গে একই নাটকে অভিনয়, আমারই মন ভরে গেছে। কারণ কী যে সম্মান করে, ভালোবাসে আমাকে তা বলে বুঝানো সম্ভব নয়। সবচেয়ে বড় কথা সিনিয়র শিল্পীদের প্রতি তারিনের কেয়ারিং বিষয়টা অন্যদের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকারই মতো।’ তারিন জাহান বলেন, ‘আমাদের মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রির সবার প্রিয় মা শর্মিলী মা। একটা সময় ছিল যখন টিভির সব নাটকে বাবা মার চরিত্রে তাদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হতো, তাদের স্নেহ, ভালোবাসা আন্তরিকতা উৎসাহ আমাকে কাজের অনুপ্রেরণাা দিয়েছে। কিন্তু এই সময়ে নাটকে বাজেট স্বল্পতা, কিংবা বাবা মা ছাড়া পা-ুলিপি হয় (অনেক ক্ষেত্রে), তাদের সঙ্গে কাজের সুযোগ হয় কম। কিন্তু একজন শিল্পী যার রক্তে অভিনয়, অভিনয় চর্চা ছাড়া যে মানুষটা জীবনে আর অন্য কোণ পেশায় ছিল না, অভিনয় করা যার ভালোবাসা সাধনার জায়গা, সেখানে বয়স/ বার্ধক্যের কোণ শারীরিক কষ্ট তা বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। কাজের প্রতি নিষ্ঠা আর ভালোবাসার মূল্য তাই অপরিসীম। গত দুদিন দুর্গাপূজার জন্য নির্মিত নাটকে শর্মিলী মার সঙ্গে কাজকরলাম দীর্ঘদিন পর। পায়ের ব্যথা নিয়েই কাজ করলেন। আমি প্রশ্ন করলাম, শরীর খারাপ নিয়ে কেন কাজ করছো মা? উত্তরে বললেন, কাজ করলেই ভালো থাকি, অভিনয় থেকে দুরে থাকতে পারি না’। তোমাদের কাছ থেকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের অনেক কিছু শেখার আছে। তোমাদের মতো শিল্পীদের যথার্থ সম্মান আমরা যেন দিতে পারি। এমন করেই যেন তোমাদের আশীর্বাদ আর স্নেহ ভালোবাসা অর্জন করতে পারি।’