নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বোমা হামলার মামলাটি পুনরায় তদন্তের জন্য আবেদন জানিয়েছেন এই মামলার সাক্ষী সরকারদলীয় এমপি একেএম শামীম ওসমান। পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদন (চার্জশিট) দেয়ার সাত বছর পর তাতে নারাজি দিয়ে এ আবেদন জানান তিনি।
গতকাল দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শেখ রাজিয়া সুলতানার আদালতে সাক্ষী দিতে আসেন সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। ৩০ মিনিটেরও বেশি সময় আদালতে সাক্ষী দেন তিনি। এ সময় পুলিশের তদন্তে দেয়া তার সাক্ষ্য ও চার্জশিটে উল্লেখিত ঘটনায় সামঞ্জস্য নেই দাবি করে এই মামলার পুনরায় তদন্তের আবেদন করেন। আবেদনে পুলিশ সুপার পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়ার কথা বলা হয়েছে। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিকে এ সংক্রান্ত একটি পিটিশন দাখিলের আদেশ দেন।
আদালত থেকে বেরিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা একেএম শামীম ওসমান বলেন, ‘আমি এই চার্জশিট মানি না। বোমা হামলার ঘটনার পরপর আমার কাছ থেকে সাক্ষ্য নেয়া হয়েছিল। আমার দেয়া সাক্ষ্যের সঙ্গে এই চার্জশিটের কোন মিল নেই। এজন্য আমি আদালতকে তা অবগত করেছি এবং আদালত তা গ্রহণ করে আদালতের পিপিকে পিটিশন দেয়ার জন্য আদেশ দিয়েছেন।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাড. ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, আদালতের সামনে চার্জশিটে নারাজি দিয়ে এই মামলার সাক্ষী ও ভিক্টিম সংসদ সদস্য শামীম ওসমান পুনঃতদন্তের আবেদন জানান। বিষয়টি আমলে নিয়ে বিজ্ঞ আদালত রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিকে পিটিশন দাখিল করার নির্দেশ দেন। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই পিটিশন দাখিল করা হবে বলে জানান পিপি।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১৬ জুন শহরের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন তৎকালীন আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলা হয়। এ ঘটনায় ২০ জন নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হয়। এ ঘটনায় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
জেলা আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাড. ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, এই মামলার তদন্তকালে ৬ জন তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়েছে। পরে ২০১৩ সালের মে মাসে চূড়ান্ত প্রতিবেদন (চার্জশিট) দাখিল করে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি। পরে মামলার বিচারকার্য শুরু হয়।
মঙ্গলবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৮ মহররম ১৪৪২, ২২ ভাদ্র ১৪২৭
প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বোমা হামলার মামলাটি পুনরায় তদন্তের জন্য আবেদন জানিয়েছেন এই মামলার সাক্ষী সরকারদলীয় এমপি একেএম শামীম ওসমান। পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদন (চার্জশিট) দেয়ার সাত বছর পর তাতে নারাজি দিয়ে এ আবেদন জানান তিনি।
গতকাল দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শেখ রাজিয়া সুলতানার আদালতে সাক্ষী দিতে আসেন সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। ৩০ মিনিটেরও বেশি সময় আদালতে সাক্ষী দেন তিনি। এ সময় পুলিশের তদন্তে দেয়া তার সাক্ষ্য ও চার্জশিটে উল্লেখিত ঘটনায় সামঞ্জস্য নেই দাবি করে এই মামলার পুনরায় তদন্তের আবেদন করেন। আবেদনে পুলিশ সুপার পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়ার কথা বলা হয়েছে। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিকে এ সংক্রান্ত একটি পিটিশন দাখিলের আদেশ দেন।
আদালত থেকে বেরিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা একেএম শামীম ওসমান বলেন, ‘আমি এই চার্জশিট মানি না। বোমা হামলার ঘটনার পরপর আমার কাছ থেকে সাক্ষ্য নেয়া হয়েছিল। আমার দেয়া সাক্ষ্যের সঙ্গে এই চার্জশিটের কোন মিল নেই। এজন্য আমি আদালতকে তা অবগত করেছি এবং আদালত তা গ্রহণ করে আদালতের পিপিকে পিটিশন দেয়ার জন্য আদেশ দিয়েছেন।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাড. ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, আদালতের সামনে চার্জশিটে নারাজি দিয়ে এই মামলার সাক্ষী ও ভিক্টিম সংসদ সদস্য শামীম ওসমান পুনঃতদন্তের আবেদন জানান। বিষয়টি আমলে নিয়ে বিজ্ঞ আদালত রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিকে পিটিশন দাখিল করার নির্দেশ দেন। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই পিটিশন দাখিল করা হবে বলে জানান পিপি।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১৬ জুন শহরের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন তৎকালীন আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলা হয়। এ ঘটনায় ২০ জন নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হয়। এ ঘটনায় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
জেলা আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাড. ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, এই মামলার তদন্তকালে ৬ জন তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়েছে। পরে ২০১৩ সালের মে মাসে চূড়ান্ত প্রতিবেদন (চার্জশিট) দাখিল করে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি। পরে মামলার বিচারকার্য শুরু হয়।