প্রবাসীর পেনশনের অর্থে কেনা যাবে না ওয়েজ আর্নার বন্ড

ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড কেনার যোগ্যতা স্পষ্ট করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে বিদেশে চাকরির বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রাপ্রাপ্ত পেনশনের অর্থ দিয়ে ওয়েজ আর্নার বন্ড কেনা যাবে না। গত সোমবার ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড ‘ক্রয়ের যোগ্যতা’ সংশ্লিষ্ট বিধি অধিকতর স্পষ্টীকরণবিষয়ক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিদেশের চাকরির বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রাপ্রাপ্ত পেনশনের অর্থ দ্বারা প্রবাসী বাংলাদেশিরা এবং প্রবাস থেকে পেনশনপ্রাপ্ত কিন্তু বর্তমানে নিবাসী বাংলাদেশিদের ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড করার সুযোগ নেই। ওয়েজ আর্নারের মৃত্যুর পরবর্তী সার্ভিস বেনিফিট বাবদ প্রাপ্ত অর্থ দ্বারা বেনিফিশিয়ারি ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডও ক্রয় করার সুযোগ নেই। বিদেশি মালিকানাধীন শিপিং এয়ারওয়েজ কোম্পানিতে চাকরিরত বাংলাদেশ মেরিনার ও পাইলট কেবিন ক্রুদের এবং বাংলাদেশে মালিকানাধীন শিপিং এয়ারওয়েজ কোম্পানিতে বিদেশি অফিসে নিয়োগপ্রাপ্ত এবং সেখান থেকে বৈদেশিক মুদ্রাপ্রাপ্ত মেরিনার ও পাইলট কেবিন ক্রুদের ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড কেনার সুযোগ নেই।

ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডের যাত্রা ১৯৮১ সালে। পাঁচ বছর মেয়াদি এ বন্ডে সর্বনিম্ন ২৫ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যায়। মেয়াদ শেষে মুনাফা ১২ শতাংশ। প্রতি ছয় মাস অন্তর মুনাফা তোলার সুযোগ রয়েছে। কেউ যদি ছয় মাসে মুনাফা না তোলে তবে মেয়াদপূর্তিতে মূল অঙ্কের সঙ্গে ষান্মাসিক ভিত্তিতে ১২ শতাংশ চক্রবৃদ্ধি হারে মুনাফা প্রদান করা হবে। এ বন্ডে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার অন্যতম হচ্ছে- মৃত্যুঝুঁকি ও সিআইপি সুবিধা। আট কোটি টাকা বা তার চেয়ে বেশি বিনিয়োগ করলে সিআইপি সুবিধা পাওয়া যায়।

বুধবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৯ মহররম ১৪৪২, ২১ ভাদ্র ১৪২৭

প্রবাসীর পেনশনের অর্থে কেনা যাবে না ওয়েজ আর্নার বন্ড

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

image

ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড কেনার যোগ্যতা স্পষ্ট করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে বিদেশে চাকরির বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রাপ্রাপ্ত পেনশনের অর্থ দিয়ে ওয়েজ আর্নার বন্ড কেনা যাবে না। গত সোমবার ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড ‘ক্রয়ের যোগ্যতা’ সংশ্লিষ্ট বিধি অধিকতর স্পষ্টীকরণবিষয়ক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিদেশের চাকরির বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রাপ্রাপ্ত পেনশনের অর্থ দ্বারা প্রবাসী বাংলাদেশিরা এবং প্রবাস থেকে পেনশনপ্রাপ্ত কিন্তু বর্তমানে নিবাসী বাংলাদেশিদের ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড করার সুযোগ নেই। ওয়েজ আর্নারের মৃত্যুর পরবর্তী সার্ভিস বেনিফিট বাবদ প্রাপ্ত অর্থ দ্বারা বেনিফিশিয়ারি ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডও ক্রয় করার সুযোগ নেই। বিদেশি মালিকানাধীন শিপিং এয়ারওয়েজ কোম্পানিতে চাকরিরত বাংলাদেশ মেরিনার ও পাইলট কেবিন ক্রুদের এবং বাংলাদেশে মালিকানাধীন শিপিং এয়ারওয়েজ কোম্পানিতে বিদেশি অফিসে নিয়োগপ্রাপ্ত এবং সেখান থেকে বৈদেশিক মুদ্রাপ্রাপ্ত মেরিনার ও পাইলট কেবিন ক্রুদের ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড কেনার সুযোগ নেই।

ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডের যাত্রা ১৯৮১ সালে। পাঁচ বছর মেয়াদি এ বন্ডে সর্বনিম্ন ২৫ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যায়। মেয়াদ শেষে মুনাফা ১২ শতাংশ। প্রতি ছয় মাস অন্তর মুনাফা তোলার সুযোগ রয়েছে। কেউ যদি ছয় মাসে মুনাফা না তোলে তবে মেয়াদপূর্তিতে মূল অঙ্কের সঙ্গে ষান্মাসিক ভিত্তিতে ১২ শতাংশ চক্রবৃদ্ধি হারে মুনাফা প্রদান করা হবে। এ বন্ডে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার অন্যতম হচ্ছে- মৃত্যুঝুঁকি ও সিআইপি সুবিধা। আট কোটি টাকা বা তার চেয়ে বেশি বিনিয়োগ করলে সিআইপি সুবিধা পাওয়া যায়।