অমিত হাসানের অতৃপ্তি

ছটকু আহমেদ পরিচালিত ‘চেতনা’ সিনেমার মধ্যদিয়ে সিনেমাতে পেশাগতভাবে অমিত হাসানের পথচলা শুরু। সিনেমাটিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন হাসি। বিগত ৩০ বছরেরও বেশি সময়ে একজন অভিনেতা হিসেবে পথচলার মধ্যদিয়ে তিনি কোটি দর্শকের ভালোবাসায় নিজেকে সিক্ত করলেও দর্শকের এই ভালোবাসার মাঝেই নিজের মধ্যে অমিত হাসানের এক দুঃখবোধ রয়েছে। রয়েছে ভীষণ অতৃপ্তি। সিনেমায় যারা অভিনয় করেন তাদের অনেকেই এক বা একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারকে পেয়ে থাকেন। একজন অভিনেতা কিংবা খল অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পাননি অমিত হাসানকে। অমিত হাসান বলেন, ‘অনেক দর্শকপ্রিয় সিনেমা রয়েছে যাতে আমি আমার মতে খুব ভালো অভিনয় করেছি। বিশেষভাবে উল্লেখ করার মতো যদি বলতে হয় তাহলে দিদ্রোহী প্রেমিক, উজান ভাটি, তুমি শুধু তুমি, বিনি সুতার মালা’ সিনেমার কথা বলা যায়। আবার খল অভিনেতা হিসেবে এই তো প্রেম, শাহেনশাহ’র কথাও বলা যায়। কিন্তু কোনভাবেই ভাগ্যে জুটলোনা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। তাই কোটি দর্শকের ভালোবাসার মাঝে যে সুখ আছে সেই সুখের মাঝেও প্রায়শই দুঃখ নড়েচড়ে উঠে। কষ্ট হয়। এতোটা বছর ধরে চলচ্চিত্রে নিরলসভাবে শ্রম দিয়ে যাচ্ছি, অভিনয় করে যাচ্ছি। কিন্তু জাতীয় স্বীকৃতি মিলেনি, এটা সত্যিই অনেক কষ্টের, বেদনার।’ এদিকে আজ অমিত হাসানের জন্মদিন। করোনার এই কালে পরিবারের সঙ্গেই ঘরোয়াভাবে দিনটি উদযাপন করা হবে বলে জানান অমিত হাসান। তিনি সবার দোয়া চান। অমিত হাসান বলেন, ‘আজকের যতোটুকু হয়েছি আমি তার পুরো কৃতিত্ব আমার মা মালিহা রহমানের। আম্মার উৎসাহ, অনুপ্রেরণাতেই আজকের অমিত আমি। আর দর্শকের ভালোবাসাতো রয়েছেই।’ অমিত হাসানের সঙ্গে লাবণী হাসানের বিয়ে হয় ১৯৯৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি। অমিত লাবণী দম্পতির দুই সন্তান লামিসা ও সামান্তা। টাঙ্গাইলের সন্তান অমিত হাসান দুটি সিনেমা প্রযোজনা করেছেন। একটি ‘কে আপন কে পর’ এবং অন্যটি ‘বিনি সুতার মালা’। এরইমধ্যে অমিত হাসান প্রায় শেষ করেছেন শাহীন সুমনের ‘বিদ্রোহী’, ‘শামীম আহমেদ রনির ‘বিক্ষোভ’, মনতাজুর রহমান আকবরের ‘মাই ডার্লিং’, আবুল খালাম আজাদের ‘ও মাই লাভ’ এবং রকিবুল আলম রকিবের ‘ইয়েস ম্যাডাম’। এখন পর্যন্ত ১৫টিরও বেশি টিভি নাটকে অভিনয় করেছেন অমিত হাসান। অমিত হাসান বর্তমানে ‘বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাব লিমিটেড’র প্রেসিডেন্ট।

বুধবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৯ মহররম ১৪৪২, ২১ ভাদ্র ১৪২৭

অমিত হাসানের অতৃপ্তি

বিনোদন প্রতিবেদক |

image

ছটকু আহমেদ পরিচালিত ‘চেতনা’ সিনেমার মধ্যদিয়ে সিনেমাতে পেশাগতভাবে অমিত হাসানের পথচলা শুরু। সিনেমাটিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন হাসি। বিগত ৩০ বছরেরও বেশি সময়ে একজন অভিনেতা হিসেবে পথচলার মধ্যদিয়ে তিনি কোটি দর্শকের ভালোবাসায় নিজেকে সিক্ত করলেও দর্শকের এই ভালোবাসার মাঝেই নিজের মধ্যে অমিত হাসানের এক দুঃখবোধ রয়েছে। রয়েছে ভীষণ অতৃপ্তি। সিনেমায় যারা অভিনয় করেন তাদের অনেকেই এক বা একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারকে পেয়ে থাকেন। একজন অভিনেতা কিংবা খল অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পাননি অমিত হাসানকে। অমিত হাসান বলেন, ‘অনেক দর্শকপ্রিয় সিনেমা রয়েছে যাতে আমি আমার মতে খুব ভালো অভিনয় করেছি। বিশেষভাবে উল্লেখ করার মতো যদি বলতে হয় তাহলে দিদ্রোহী প্রেমিক, উজান ভাটি, তুমি শুধু তুমি, বিনি সুতার মালা’ সিনেমার কথা বলা যায়। আবার খল অভিনেতা হিসেবে এই তো প্রেম, শাহেনশাহ’র কথাও বলা যায়। কিন্তু কোনভাবেই ভাগ্যে জুটলোনা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। তাই কোটি দর্শকের ভালোবাসার মাঝে যে সুখ আছে সেই সুখের মাঝেও প্রায়শই দুঃখ নড়েচড়ে উঠে। কষ্ট হয়। এতোটা বছর ধরে চলচ্চিত্রে নিরলসভাবে শ্রম দিয়ে যাচ্ছি, অভিনয় করে যাচ্ছি। কিন্তু জাতীয় স্বীকৃতি মিলেনি, এটা সত্যিই অনেক কষ্টের, বেদনার।’ এদিকে আজ অমিত হাসানের জন্মদিন। করোনার এই কালে পরিবারের সঙ্গেই ঘরোয়াভাবে দিনটি উদযাপন করা হবে বলে জানান অমিত হাসান। তিনি সবার দোয়া চান। অমিত হাসান বলেন, ‘আজকের যতোটুকু হয়েছি আমি তার পুরো কৃতিত্ব আমার মা মালিহা রহমানের। আম্মার উৎসাহ, অনুপ্রেরণাতেই আজকের অমিত আমি। আর দর্শকের ভালোবাসাতো রয়েছেই।’ অমিত হাসানের সঙ্গে লাবণী হাসানের বিয়ে হয় ১৯৯৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি। অমিত লাবণী দম্পতির দুই সন্তান লামিসা ও সামান্তা। টাঙ্গাইলের সন্তান অমিত হাসান দুটি সিনেমা প্রযোজনা করেছেন। একটি ‘কে আপন কে পর’ এবং অন্যটি ‘বিনি সুতার মালা’। এরইমধ্যে অমিত হাসান প্রায় শেষ করেছেন শাহীন সুমনের ‘বিদ্রোহী’, ‘শামীম আহমেদ রনির ‘বিক্ষোভ’, মনতাজুর রহমান আকবরের ‘মাই ডার্লিং’, আবুল খালাম আজাদের ‘ও মাই লাভ’ এবং রকিবুল আলম রকিবের ‘ইয়েস ম্যাডাম’। এখন পর্যন্ত ১৫টিরও বেশি টিভি নাটকে অভিনয় করেছেন অমিত হাসান। অমিত হাসান বর্তমানে ‘বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাব লিমিটেড’র প্রেসিডেন্ট।