বেসরকারি ও এমপিওভুক্ত কলেজে একাদশ শ্রেণীতে শিক্ষার্থী ভর্তির সর্বোচ্চ ফি পাঁচ হাজার টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি। ভর্তি ফিসহ মাসিক বেতন ও যাবতীয় খরচের বিষয়ে অবহিত করে সংশ্লিষ্ট কলেজে ভর্তির নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ভর্তিযোগ্য শিক্ষার্থীদের তালিকা কলেজগুলোকে তাদের নোটিশ বোর্ড ও ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশ দিয়ে গতকাল আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোটার শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত সনদ দেখে ভর্তি করাতে হবে।
গত ৯ আগস্ট কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে একাদশে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়। ভর্তি প্রক্রিয়ার সব ধাপ শেষে আগামী ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের কলেজে ভর্তি হতে হবে। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছে, তারা অনলাইনে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হতে আবেদন করছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি মফস্বল, পৌর ও মেট্রোপলিটন এলাকার বেসরকারি কলেজে ভর্তিতে সর্বোচ্চ ফি নির্ধারণ করে দিয়েছে। এতে এমপিওভুক্ত মফস্বল বা পৌর (উপজেলা) এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো একাদশ শ্রেণীতে ভর্তিতে সেশন ফিসহ ভর্তি ফি সর্বসাকুল্যে এক হাজার টাকা, পৌর (জেলা সদর) এলাকায় দুই হাজার টাকা এবং ঢাকা মহানগর ছাড়া অন্য মেট্রোপলিটন এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো তিন হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না। মেট্রোপলিটন এলাকায় অবস্থিত এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে পাঁচ হাজার টাকার বেশি অর্থ আদায় করতে পারবে না।
তবে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার আংশিক এমপিওভুক্ত বা এমপিও বহির্ভূত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন ও এমপিও বহির্ভূত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেয়ার জন্য শিক্ষার্থী ভর্তির সময় ভর্তি ফি, সেশন চার্জ ও উন্নয়ন ফিসহ বাংলা মাধ্যমে সর্বোচ্চ সাড়ে সাত হাজার টাকা এবং ইংরেজি ভার্সনে সর্বোচ্চ সাড়ে আট হাজার টাকা নিতে পারবে। উন্নয়ন খাতে কোন প্রতিষ্ঠান এবার দেড় হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে রেড ক্রিসেন্ট ফি বাবদ ১২ টাকা নিতে পারবে। কোন শিক্ষার্থীর পাঠ বিরতি থাকলেও বিলম্বে ভর্তি হলে তাকে ১৫০ টাকা পাঠ বিলম্ব ফি এবং ১০০ টাকা বিলম্ব ভর্তি দিতে হবে।
ভর্তি নীতিমালা না মেনে শিক্ষার্থী ভর্তি করালে অভিযুক্ত কলেজের পাঠদানের অনুমতি বা স্বীকৃতি বাতিলসহ কলেজের এমপিওভুক্তি বাতিল করা হবে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকারি কলেজ ও সমমানের প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্নের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর ব্যত্যয় ঘটলে সব দায়-দায়িত্ব কলেজ কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে।
সরকারি কলেজে পরিপত্র অনুযায়ী ফি সংগ্রহ
আন্ত:শিক্ষা বোর্ড শিক্ষার্থীদের অনুমোদিত ফি’র বেশি না দেয়ার নির্দেশনা দিয়ে সব ফি রশিদের মাধ্যমে নিতে বলেছে। কোভিড-১৯ এবং অভিভাবকদের আর্থিক অস্বচ্ছলতার বিষয় বিবেচনা করে দরিদ্র, মেধাবী ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ভর্তিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাগুলোকে উল্লেখিত ফি যতদূর সম্ভব মওকুফ করতে হবে। তবে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর শিক্ষা বোর্ডে বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে শিক্ষার্থীরা বোর্ডের অনুমতি নিয়ে প্রয়োজনীয় ফি জমা দিয়ে কলেজ, গ্রুপ ও বিষয় পরিবর্তন করতে পারবে। তবে মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে গ্রুপ পরিবর্তনের কোন সুযোগ নেই। বিজ্ঞান গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী অন্য গ্রুপে একবার ভর্তি হওয়ার পর পরবর্তী সময়ে বিজ্ঞান বিভাগে প্রত্যাবর্তনের কোন সুযোগ নেই।
বুধবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৯ মহররম ১৪৪২, ২১ ভাদ্র ১৪২৭
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
বেসরকারি ও এমপিওভুক্ত কলেজে একাদশ শ্রেণীতে শিক্ষার্থী ভর্তির সর্বোচ্চ ফি পাঁচ হাজার টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি। ভর্তি ফিসহ মাসিক বেতন ও যাবতীয় খরচের বিষয়ে অবহিত করে সংশ্লিষ্ট কলেজে ভর্তির নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ভর্তিযোগ্য শিক্ষার্থীদের তালিকা কলেজগুলোকে তাদের নোটিশ বোর্ড ও ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশ দিয়ে গতকাল আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোটার শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত সনদ দেখে ভর্তি করাতে হবে।
গত ৯ আগস্ট কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে একাদশে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়। ভর্তি প্রক্রিয়ার সব ধাপ শেষে আগামী ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের কলেজে ভর্তি হতে হবে। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছে, তারা অনলাইনে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হতে আবেদন করছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি মফস্বল, পৌর ও মেট্রোপলিটন এলাকার বেসরকারি কলেজে ভর্তিতে সর্বোচ্চ ফি নির্ধারণ করে দিয়েছে। এতে এমপিওভুক্ত মফস্বল বা পৌর (উপজেলা) এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো একাদশ শ্রেণীতে ভর্তিতে সেশন ফিসহ ভর্তি ফি সর্বসাকুল্যে এক হাজার টাকা, পৌর (জেলা সদর) এলাকায় দুই হাজার টাকা এবং ঢাকা মহানগর ছাড়া অন্য মেট্রোপলিটন এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো তিন হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না। মেট্রোপলিটন এলাকায় অবস্থিত এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে পাঁচ হাজার টাকার বেশি অর্থ আদায় করতে পারবে না।
তবে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার আংশিক এমপিওভুক্ত বা এমপিও বহির্ভূত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন ও এমপিও বহির্ভূত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেয়ার জন্য শিক্ষার্থী ভর্তির সময় ভর্তি ফি, সেশন চার্জ ও উন্নয়ন ফিসহ বাংলা মাধ্যমে সর্বোচ্চ সাড়ে সাত হাজার টাকা এবং ইংরেজি ভার্সনে সর্বোচ্চ সাড়ে আট হাজার টাকা নিতে পারবে। উন্নয়ন খাতে কোন প্রতিষ্ঠান এবার দেড় হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে রেড ক্রিসেন্ট ফি বাবদ ১২ টাকা নিতে পারবে। কোন শিক্ষার্থীর পাঠ বিরতি থাকলেও বিলম্বে ভর্তি হলে তাকে ১৫০ টাকা পাঠ বিলম্ব ফি এবং ১০০ টাকা বিলম্ব ভর্তি দিতে হবে।
ভর্তি নীতিমালা না মেনে শিক্ষার্থী ভর্তি করালে অভিযুক্ত কলেজের পাঠদানের অনুমতি বা স্বীকৃতি বাতিলসহ কলেজের এমপিওভুক্তি বাতিল করা হবে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকারি কলেজ ও সমমানের প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্নের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর ব্যত্যয় ঘটলে সব দায়-দায়িত্ব কলেজ কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে।
সরকারি কলেজে পরিপত্র অনুযায়ী ফি সংগ্রহ
আন্ত:শিক্ষা বোর্ড শিক্ষার্থীদের অনুমোদিত ফি’র বেশি না দেয়ার নির্দেশনা দিয়ে সব ফি রশিদের মাধ্যমে নিতে বলেছে। কোভিড-১৯ এবং অভিভাবকদের আর্থিক অস্বচ্ছলতার বিষয় বিবেচনা করে দরিদ্র, মেধাবী ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ভর্তিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাগুলোকে উল্লেখিত ফি যতদূর সম্ভব মওকুফ করতে হবে। তবে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর শিক্ষা বোর্ডে বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে শিক্ষার্থীরা বোর্ডের অনুমতি নিয়ে প্রয়োজনীয় ফি জমা দিয়ে কলেজ, গ্রুপ ও বিষয় পরিবর্তন করতে পারবে। তবে মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে গ্রুপ পরিবর্তনের কোন সুযোগ নেই। বিজ্ঞান গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী অন্য গ্রুপে একবার ভর্তি হওয়ার পর পরবর্তী সময়ে বিজ্ঞান বিভাগে প্রত্যাবর্তনের কোন সুযোগ নেই।