নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে করা রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার অস্ত্র আইনের মামলায় সাক্ষ্য ও জেরা সমাপ্ত হয়েছে। এর আগে মামলায় মোট ১৪ সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাপস কুমার পাল সাংবাদিকদের জানান, মামলার সর্বশেষ সাক্ষী হিসেবে তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরিফুজ্জামানকে জেরা শেষ করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। পরে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ আজ আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
এরআগে আসামিদের বিরুদ্ধে ২৯ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে র্যাব। পরে বিচারের জন্য এ আদালতে মামলাটি বদলি হয় বিচারিক আদালতে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ ফেব্রুয়ারি দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করার সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দও থেকে দুই সহযোগীসহ পাপিয়া এবং তার স্বামীকে আটক করে র্যাব-১। এ সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল নোট, ১১ হাজার ৪৮১ ডলার, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের কিছু মুদ্রা এবং দুটি ডেবিট কার্ড জব্দ করা হয়। পরে পাপিয়ার ফার্মগেটের ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগজিন, ২০টি গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড উদ্ধার করে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় একটি অস্ত্র ও একটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে এবং বিমান বন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা করা হয়।
বুধবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৯ মহররম ১৪৪২, ২১ ভাদ্র ১৪২৭
আদালত বার্তা পরিবেশক
নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে করা রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার অস্ত্র আইনের মামলায় সাক্ষ্য ও জেরা সমাপ্ত হয়েছে। এর আগে মামলায় মোট ১৪ সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাপস কুমার পাল সাংবাদিকদের জানান, মামলার সর্বশেষ সাক্ষী হিসেবে তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরিফুজ্জামানকে জেরা শেষ করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। পরে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ আজ আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
এরআগে আসামিদের বিরুদ্ধে ২৯ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে র্যাব। পরে বিচারের জন্য এ আদালতে মামলাটি বদলি হয় বিচারিক আদালতে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ ফেব্রুয়ারি দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করার সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দও থেকে দুই সহযোগীসহ পাপিয়া এবং তার স্বামীকে আটক করে র্যাব-১। এ সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল নোট, ১১ হাজার ৪৮১ ডলার, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের কিছু মুদ্রা এবং দুটি ডেবিট কার্ড জব্দ করা হয়। পরে পাপিয়ার ফার্মগেটের ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগজিন, ২০টি গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড উদ্ধার করে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় একটি অস্ত্র ও একটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে এবং বিমান বন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা করা হয়।