ক্রসফায়ার-গুমের বিচার বিভাগীয় তদন্ত চায় বাম ঐক্য

ক্রসফায়ার-গুম বন্ধ ও প্রতিটি ক্রসফায়ার-গুমের বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য। গতকাল প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানান বক্তারা।

সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক সামছুল আলমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) সিপিবি (এম)‘র সাধারণ সম্পাদক কমরেড ডা. এমএ সামাদ, কৃষক মোর্চার আহ্বায়ক মোহাম্মদ মাসুম, পিডিবির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) সিপিবি(এম)’র কেন্দ্রীয় সদস্য সামছুল হক সরকার, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য সিরাজুল ইসলাম মাস্টারং বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনার সরকার গত ১২ বছর যাবৎ সারাদেশে পুলিশ ও র‌্যাব দিয়ে বিচার বহির্ভূত মানুষকে ক্রসফায়ার দিয়ে যাচ্ছে। এই ক্রসফায়ার ব্যবস্থার প্রবর্তক বেগম খালেদা জিয়ার সরকার র‌্যাব গঠন করে বাংলাদেশের এক কমিউনিস্ট বামপন্থি পন্ডিত মোফাক্কর চৌধুরীকে ক্রসফায়ার দেয়। শতশত বাম কমিউনিস্ট কর্মীদের এই যাবৎ ক্রসফায়ার দেয়া হয়েছে। গত ১৫ বছর যাবৎ পুলিশ র‌্যাব লাগাতার ভাবে ক্রসফায়ার নাটক করে বেড়াচ্ছে। কিছু পুলিশ ও র‌্যাব সদস্য টাকা কামানোর হাতিয়ার হিসেবে ক্রসফায়ারের ব্যবহার করছে। ২০১৮ সালে ২৬মে টেকনাফের ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাবেক যুবলীগ নেতা একরামুল হককে হত্যার পরও ক্রসফায়ার বলে চালিয়ে দেয়া হয় এবং মিথ্যা প্রেসনোট প্রদান করা হয়। গত ১৫ বছরে ৩ হাজারের বেশি মানুষকে ক্রসফায়ারে বিচার বহির্ভূত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।

তারা বলেন, ২০১৮ সালে পুলিশ-র‌্যাব মিলে ৪২১ জন মানুষকে ক্রসফায়ারে হত্যা করেছে। ২০১৯ সালে পুলিশ-র‌্যাব মিলে ৩৬৭ জন মানুষকে ক্রসফায়ারের নামে বিনা বিচারে হত্যা করেছে। চলতি বছর ২০২০ সালে এ যাবৎ পর্যন্ত পুলিশ-র‌্যাব মিলে ২৮৫ জন মানুষকে ক্রসফায়ার দেয়া হয়েছে। কোন কোন সময় ক্রসফায়ারে নিহত পরিবারের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করে। রাষ্ট্রপক্ষ এই রিটের আরগুমেন্ট করতে দিচ্ছে না। যেসব কোর্টে এই মামলা থাকে সেই কোর্টে প্রধান বিচারপতি বেঞ্চ ভেঙে দিয়ে আইনি লড়াই থেকে বিচার প্রার্থীদের বঞ্চিত করছে।

বক্তারা আরও বলেন, বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার মুখে আইনের শাসনের কথা বললে বাস্তবে র‌্যাব-পুলিশ দিয়ে বিনা বিচারে মানুষ হত্যা করছে। এখনই সময় বিচারহীনতার এ সংস্কৃতি থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে এবং প্রতিটি বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের জন্য আলাদা বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠন করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। পুলিশের মধ্যে শুদ্ধি অভিযান চালিয়ে অসৎ পুলিশ সদস্যদের পদচ্যুত করে সৎ পুলিশ সদস্য নিয়োগদান করতে হবে।

আরও খবর
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রতিশ্রুতির চাঁদা বাড়াতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল বিলসহ ৩ বিল পাস
জেসিসি ষষ্ঠ বৈঠক হবে ভার্চুয়ালি এ মাসের শেষে
১০০ উপজেলায় টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থাপন নিয়ে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ ও ইইডি বিরোধ
আন্দোলনে সরকার পরিবর্তনের পরিস্থিতি দেশে নেই কাদের
ছাতক সিমেন্ট কোম্পানির সাবেক দুই এমডির বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট
এলজিইডি’র পৌনে তিনশ’ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি
পাপিয়া দম্পতির অস্ত্র মামলায় সাক্ষ্য ও জেরা সমাপ্ত
নিখোঁজের ৭ দিন পর পথশিশু জিনিয়াকে না’গঞ্জে উদ্ধার
রনির নেতৃত্বে ৬ বছর আগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে চলছে রংপুর ছাত্রলীগ
মারমা কিশোরী ধর্ষণ ঘটনায়
নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি জনজীবনে নাভিশ্বাস
ভাইকে হত্যা করে ঘরেই মাটিচাপা দেয় বড় ভাই
৪০ হাজার গ্রাহকের ৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ

বুধবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৯ মহররম ১৪৪২, ২১ ভাদ্র ১৪২৭

ক্রসফায়ার-গুমের বিচার বিভাগীয় তদন্ত চায় বাম ঐক্য

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

ক্রসফায়ার-গুম বন্ধ ও প্রতিটি ক্রসফায়ার-গুমের বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য। গতকাল প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানান বক্তারা।

সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক সামছুল আলমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) সিপিবি (এম)‘র সাধারণ সম্পাদক কমরেড ডা. এমএ সামাদ, কৃষক মোর্চার আহ্বায়ক মোহাম্মদ মাসুম, পিডিবির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) সিপিবি(এম)’র কেন্দ্রীয় সদস্য সামছুল হক সরকার, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য সিরাজুল ইসলাম মাস্টারং বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনার সরকার গত ১২ বছর যাবৎ সারাদেশে পুলিশ ও র‌্যাব দিয়ে বিচার বহির্ভূত মানুষকে ক্রসফায়ার দিয়ে যাচ্ছে। এই ক্রসফায়ার ব্যবস্থার প্রবর্তক বেগম খালেদা জিয়ার সরকার র‌্যাব গঠন করে বাংলাদেশের এক কমিউনিস্ট বামপন্থি পন্ডিত মোফাক্কর চৌধুরীকে ক্রসফায়ার দেয়। শতশত বাম কমিউনিস্ট কর্মীদের এই যাবৎ ক্রসফায়ার দেয়া হয়েছে। গত ১৫ বছর যাবৎ পুলিশ র‌্যাব লাগাতার ভাবে ক্রসফায়ার নাটক করে বেড়াচ্ছে। কিছু পুলিশ ও র‌্যাব সদস্য টাকা কামানোর হাতিয়ার হিসেবে ক্রসফায়ারের ব্যবহার করছে। ২০১৮ সালে ২৬মে টেকনাফের ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাবেক যুবলীগ নেতা একরামুল হককে হত্যার পরও ক্রসফায়ার বলে চালিয়ে দেয়া হয় এবং মিথ্যা প্রেসনোট প্রদান করা হয়। গত ১৫ বছরে ৩ হাজারের বেশি মানুষকে ক্রসফায়ারে বিচার বহির্ভূত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।

তারা বলেন, ২০১৮ সালে পুলিশ-র‌্যাব মিলে ৪২১ জন মানুষকে ক্রসফায়ারে হত্যা করেছে। ২০১৯ সালে পুলিশ-র‌্যাব মিলে ৩৬৭ জন মানুষকে ক্রসফায়ারের নামে বিনা বিচারে হত্যা করেছে। চলতি বছর ২০২০ সালে এ যাবৎ পর্যন্ত পুলিশ-র‌্যাব মিলে ২৮৫ জন মানুষকে ক্রসফায়ার দেয়া হয়েছে। কোন কোন সময় ক্রসফায়ারে নিহত পরিবারের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করে। রাষ্ট্রপক্ষ এই রিটের আরগুমেন্ট করতে দিচ্ছে না। যেসব কোর্টে এই মামলা থাকে সেই কোর্টে প্রধান বিচারপতি বেঞ্চ ভেঙে দিয়ে আইনি লড়াই থেকে বিচার প্রার্থীদের বঞ্চিত করছে।

বক্তারা আরও বলেন, বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার মুখে আইনের শাসনের কথা বললে বাস্তবে র‌্যাব-পুলিশ দিয়ে বিনা বিচারে মানুষ হত্যা করছে। এখনই সময় বিচারহীনতার এ সংস্কৃতি থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে এবং প্রতিটি বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের জন্য আলাদা বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠন করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। পুলিশের মধ্যে শুদ্ধি অভিযান চালিয়ে অসৎ পুলিশ সদস্যদের পদচ্যুত করে সৎ পুলিশ সদস্য নিয়োগদান করতে হবে।