রোগীর ব্যবস্থাপত্রের লেখা স্পষ্ট হোক

উচ্চ আদালত এবং সরকারের নির্দেশনার পরও রোগীর ব্যবস্থাপত্র বা প্রেসক্রিপশনে চিকিৎসকদের অস্পষ্ট লেখা বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যবস্থাপত্রে ওষুধের সংক্ষিপ্ত নাম এবং দুর্বোধ্য লেখার কারণে রোগীরা যেমন সমস্যায় পড়ছেন, তেমনি ওষুধ বিক্রেতারাও অনেক সময় সঠিক ওষুধ দিতে ভুল করেন; যার নেতিবাচক পরিণতি ভোগ করতে হয় সংশ্লিষ্ট রোগীকে।

২০১৭ সালের জানুয়ারিতে রোগীর ব্যবস্থাপত্রে ওষুধের নাম সুস্পষ্টভাবে লিখতে নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশনার সূত্রে সরকারও চিকিৎসকদের বিষয়টি সম্পর্কে সতর্ক ও সচেতন থাকার নির্দেশনা প্রদান করেন। বড় অক্ষরে স্পষ্টভাবে লেখার নির্দেশনা দেওয়া হলেও এখনও অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোগীদের ব্যবস্থাপত্রের লেখা অস্পষ্ট। উচ্চশিক্ষিতদেরও ওষুধের প্রকৃত নাম বুঝতে বিপাকে পড়তে হয়। ব্যবস্থাপত্রের অস্পষ্ট লেখার দরুন রোগী যেমন ওষুধের নাম বলতে পারেন না, তেমনি কতিপয় সুযোগসন্ধানী বিক্রেতা নিম্নমানের ওষুধ বেশি দামে বিক্রির সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে। এতে সংশ্লিষ্ট রোগীকে শারীরিক ক্ষতির পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। শহরাঞ্চলের বিভিন্ন জনবহুল এলাকা এবং প্রান্তিক জনপদের অনেক ওষুধের দোকানের মালিক বা বিক্রয়কর্মী অল্পশিক্ষিত। অস্পষ্ট লেখা বা ওষুধের সংক্ষিপ্ত নাম লেখা ব্যবস্থাপত্র তাদের বোধগম্যতার বাইরে।

আবার একই ওষুধ কোম্পানিভেদে ভিন্ন ভিন্ন নামে বাজারজাতকরণ করা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে অনেক চিকিৎসক এবং বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে কম্পিউটারে প্রিন্ট করে ব্যবস্থাপত্র সরবরাহ করা হচ্ছে। অনেকক্ষেত্রে একজন চিকিৎসক একটানা বেশি রোগী দেখার কারণেও ব্যবস্থাপত্রে হাতের লেখা অস্পষ্ট হয়। সবমিলিয়ে ক্ষতিটা শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সকল রোগীকেই বহন করতে হয়। তাই রোগীদের সুস্থতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি অসাধু ব্যবসায়ীদের স্বার্থসিদ্ধি ঠেকাতে রোগীদের ব্যবস্থাপত্রে স্পষ্ট ও বড় অক্ষরে ওষুধের নাম ও পরামর্শ লেখার প্রতি দেশের সরকারি ও বেসরকারি সকল পর্যায়ের চিকিৎসকদের সুদৃষ্টি প্রত্যাশিত।

আবু ফারুক

বনরুপাপাড়া, সদর, বান্দরবান।

বুধবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৯ মহররম ১৪৪২, ২১ ভাদ্র ১৪২৭

রোগীর ব্যবস্থাপত্রের লেখা স্পষ্ট হোক

উচ্চ আদালত এবং সরকারের নির্দেশনার পরও রোগীর ব্যবস্থাপত্র বা প্রেসক্রিপশনে চিকিৎসকদের অস্পষ্ট লেখা বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যবস্থাপত্রে ওষুধের সংক্ষিপ্ত নাম এবং দুর্বোধ্য লেখার কারণে রোগীরা যেমন সমস্যায় পড়ছেন, তেমনি ওষুধ বিক্রেতারাও অনেক সময় সঠিক ওষুধ দিতে ভুল করেন; যার নেতিবাচক পরিণতি ভোগ করতে হয় সংশ্লিষ্ট রোগীকে।

২০১৭ সালের জানুয়ারিতে রোগীর ব্যবস্থাপত্রে ওষুধের নাম সুস্পষ্টভাবে লিখতে নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশনার সূত্রে সরকারও চিকিৎসকদের বিষয়টি সম্পর্কে সতর্ক ও সচেতন থাকার নির্দেশনা প্রদান করেন। বড় অক্ষরে স্পষ্টভাবে লেখার নির্দেশনা দেওয়া হলেও এখনও অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোগীদের ব্যবস্থাপত্রের লেখা অস্পষ্ট। উচ্চশিক্ষিতদেরও ওষুধের প্রকৃত নাম বুঝতে বিপাকে পড়তে হয়। ব্যবস্থাপত্রের অস্পষ্ট লেখার দরুন রোগী যেমন ওষুধের নাম বলতে পারেন না, তেমনি কতিপয় সুযোগসন্ধানী বিক্রেতা নিম্নমানের ওষুধ বেশি দামে বিক্রির সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে। এতে সংশ্লিষ্ট রোগীকে শারীরিক ক্ষতির পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। শহরাঞ্চলের বিভিন্ন জনবহুল এলাকা এবং প্রান্তিক জনপদের অনেক ওষুধের দোকানের মালিক বা বিক্রয়কর্মী অল্পশিক্ষিত। অস্পষ্ট লেখা বা ওষুধের সংক্ষিপ্ত নাম লেখা ব্যবস্থাপত্র তাদের বোধগম্যতার বাইরে।

আবার একই ওষুধ কোম্পানিভেদে ভিন্ন ভিন্ন নামে বাজারজাতকরণ করা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে অনেক চিকিৎসক এবং বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে কম্পিউটারে প্রিন্ট করে ব্যবস্থাপত্র সরবরাহ করা হচ্ছে। অনেকক্ষেত্রে একজন চিকিৎসক একটানা বেশি রোগী দেখার কারণেও ব্যবস্থাপত্রে হাতের লেখা অস্পষ্ট হয়। সবমিলিয়ে ক্ষতিটা শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সকল রোগীকেই বহন করতে হয়। তাই রোগীদের সুস্থতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি অসাধু ব্যবসায়ীদের স্বার্থসিদ্ধি ঠেকাতে রোগীদের ব্যবস্থাপত্রে স্পষ্ট ও বড় অক্ষরে ওষুধের নাম ও পরামর্শ লেখার প্রতি দেশের সরকারি ও বেসরকারি সকল পর্যায়ের চিকিৎসকদের সুদৃষ্টি প্রত্যাশিত।

আবু ফারুক

বনরুপাপাড়া, সদর, বান্দরবান।