চট্টগ্রামের রাস্তাঘাটের দুর্দশা

দেশের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যস্ত শহর চট্টগ্রাম। বাণিজ্যিক রাজধানী নামেও খ্যাত। কিন্তু বর্তমানে এই বাণিজ্যিক রাজধানীর অবস্থা খুবই শোচনীয়, বিশেষভাবে রাস্তাঘাটের। চট্টগ্রামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো এখন প্রায় অচল। ভঙ্গ রাস্তাঘাট, অপরিকল্পিত রাস্তা নির্মাণ, অবৈধভাবে রাস্তা দখল, নো পার্কিং এ গাড়ি পার্ক করা ইত্যাদি সব মিলিয়েই চট্টগ্রামের রাস্তাঘাটের দুরবস্থা। বড়বড় গর্ত, উঁচুনিচু এবং এবড়োখেবড়ো রাস্তায় যানবাহন চলউচ্চ আদালত এবং সরকারের নির্দেশনার পরও রোগীর ব্যবস্থাপত্র বা প্রেসক্রিপশনে চিকিৎসকদের অস্পষ্ট লেখা বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যবস্থাপত্রে ওষুধের সংক্ষিপ্ত নাম এবং দুর্বোধ্য লেখার কারণে রোগীরা যেমন সমস্যায় পড়ছেন, তেমনি ওষুধ বিক্রেতারাও অনেক সময় সঠিক ওষুধ দিতে ভুল করেন; যার নেতিবাচক পরিণতি ভোগ করতে হয় সংশ্লিষ্ট রোগীকে।

২০১৭ সালের জানুয়ারিতে রোগীর ব্যবস্থাপত্রে ওষুধের নাম সুস্পষ্টভাবে লিখতে নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশনার সূত্রে সরকারও চিকিৎসকদের বিষয়টি সম্পর্কে সতর্ক ও সচেতন থাকার নির্দেশনা প্রদান করেন। বড় অক্ষরে স্পষ্টভাবে লেখার নির্দেশনা দেওয়া হলেও এখনও অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোগীদের ব্যবস্থাপত্রের লেখা অস্পষ্ট। উচ্চশিক্ষিতদেরও ওষুধের প্রকৃত নাম বুঝতে বিপাকে পড়তে হয়। ব্যবস্থাপত্রের অস্পষ্ট লেখার দরুন রোগী যেমন ওষুধের নাম বলতে পারেন না, তেমনি কতিপয় সুযোগসন্ধানী বিক্রেতা নিম্নমানের ওষুধ বেশি দামে বিক্রির সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে। এতে সংশ্লিষ্ট রোগীকে শারীরিক ক্ষতির পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। শহরাঞ্চলের বিভিন্ন জনবহুল এলাকা এবং প্রান্তিক জনপদের অনেক ওষুধের দোকানের মালিক বা বিক্রয়কর্মী অল্পশিক্ষিত। অস্পষ্ট লেখা বা ওষুধের সংক্ষিপ্ত নাম লেখা ব্যবস্থাপত্র তাদের বোধগম্যতার বাইরে।

আবার একই ওষুধ কোম্পানিভেদে ভিন্ন ভিন্ন নামে বাজারজাতকরণ করা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে অনেক চিকিৎসক এবং বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে কম্পিউটারে প্রিন্ট করে ব্যবস্থাপত্র সরবরাহ করা হচ্ছে। অনেকক্ষেত্রে একজন চিকিৎসক একটানা বেশি রোগী দেখার কারণেও ব্যবস্থাপত্রে হাতের লেখা অস্পষ্ট হয়। সবমিলিয়ে ক্ষতিটা শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সকল রোগীকেই বহন করতে হয়। তাই রোগীদের সুস্থতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি অসাধু ব্যবসায়ীদের স্বার্থসিদ্ধি ঠেকাতে রোগীদের ব্যবস্থাপত্রে স্পষ্ট ও বড় অক্ষরে ওষুধের নাম ও পরামর্শ লেখার প্রতি দেশের সরকারি ও বেসরকারি সকল পর্যায়ের চিকিৎসকদের সুদৃষ্টি প্রত্যাশিত।

আবু ফারুক

বনরুপাপাড়া, সদর, বান্দরবান।তে গিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটে যাচ্ছে অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনা। অন্যদিকে অপরিকল্পিতভাবে রাস্তা তৈরি করার ফলে বৈদ্যুতিক খুঁটি, মসজিদ-মাজার পড়ছে রাস্তার মাঝে। তাছাড়া অবৈধভাবে রাস্তা দখল তো চলছে নিয়মিত, সেই সঙ্গে যেখানে সেখানে পার্ক করছে ভারি যানবাহনসহ, রিকশা-সিএনজি গণপরিবহন।

যার ফলে চার লেনের রাস্তা হয়ে গেছে দুই লেনের। এতে বাড়ছে ট্রাফিক জ্যাম এবং অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনা। ফুটপাত দখল করে আছে হকার্সরা ফলে বাধ্য হয়ে সাধারণ জনগণকে হাঁটতে হচ্ছে রাস্তার পাশ দিয়ে, ঝুঁকিপূর্ণভাবে!

আরেকটি বিষয় হচ্ছে, আমাদের দেশে রাস্তা নির্মাণের পর পিচের উপর বালি দেয়া হয়। কিন্তু যথাসময়ে সেই বালি অপসারণ করা হয় না। ফলে কিছু বালি রাস্তার পাশের ড্রেনে পতিত হয় এবং ড্রেনের পানি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যার দরুন সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় পানি জমে যায়। আর কিছু বালি পড়ে থাকে রাস্তার পাশেই এবং সেই ভেজা বালিতে হাঁটা-চলা করতে ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ জনগণকে।

এই অতীব জরুরি এবং গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাটিকে নির্মূল করতে হলে প্রশাসনকে অবশ্যই সজাগ হতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব ভঙ্গ রাস্তাগুলোকে পুনঃনির্মাণ এবং যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। সেই সঙ্গে নির্মাণের পর দেয়া বালি দ্রুত অপসারণ করতে হবে। পরিকল্পিতভাবে রাস্তা নির্মাণ করতে হবে। যেখানে সেখানে পার্কিং করার বি-দ্ধে আরো কঠোরভাবে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

মুন্সী মুহাম্মদ জুয়েল

ডিপার্টমেন্ট অব ফিলোসফি

চট্টগ্রাম কলেজ, চট্টগ্রাম

বুধবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৯ মহররম ১৪৪২, ২১ ভাদ্র ১৪২৭

চট্টগ্রামের রাস্তাঘাটের দুর্দশা

দেশের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যস্ত শহর চট্টগ্রাম। বাণিজ্যিক রাজধানী নামেও খ্যাত। কিন্তু বর্তমানে এই বাণিজ্যিক রাজধানীর অবস্থা খুবই শোচনীয়, বিশেষভাবে রাস্তাঘাটের। চট্টগ্রামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো এখন প্রায় অচল। ভঙ্গ রাস্তাঘাট, অপরিকল্পিত রাস্তা নির্মাণ, অবৈধভাবে রাস্তা দখল, নো পার্কিং এ গাড়ি পার্ক করা ইত্যাদি সব মিলিয়েই চট্টগ্রামের রাস্তাঘাটের দুরবস্থা। বড়বড় গর্ত, উঁচুনিচু এবং এবড়োখেবড়ো রাস্তায় যানবাহন চলউচ্চ আদালত এবং সরকারের নির্দেশনার পরও রোগীর ব্যবস্থাপত্র বা প্রেসক্রিপশনে চিকিৎসকদের অস্পষ্ট লেখা বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যবস্থাপত্রে ওষুধের সংক্ষিপ্ত নাম এবং দুর্বোধ্য লেখার কারণে রোগীরা যেমন সমস্যায় পড়ছেন, তেমনি ওষুধ বিক্রেতারাও অনেক সময় সঠিক ওষুধ দিতে ভুল করেন; যার নেতিবাচক পরিণতি ভোগ করতে হয় সংশ্লিষ্ট রোগীকে।

২০১৭ সালের জানুয়ারিতে রোগীর ব্যবস্থাপত্রে ওষুধের নাম সুস্পষ্টভাবে লিখতে নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশনার সূত্রে সরকারও চিকিৎসকদের বিষয়টি সম্পর্কে সতর্ক ও সচেতন থাকার নির্দেশনা প্রদান করেন। বড় অক্ষরে স্পষ্টভাবে লেখার নির্দেশনা দেওয়া হলেও এখনও অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোগীদের ব্যবস্থাপত্রের লেখা অস্পষ্ট। উচ্চশিক্ষিতদেরও ওষুধের প্রকৃত নাম বুঝতে বিপাকে পড়তে হয়। ব্যবস্থাপত্রের অস্পষ্ট লেখার দরুন রোগী যেমন ওষুধের নাম বলতে পারেন না, তেমনি কতিপয় সুযোগসন্ধানী বিক্রেতা নিম্নমানের ওষুধ বেশি দামে বিক্রির সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে। এতে সংশ্লিষ্ট রোগীকে শারীরিক ক্ষতির পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। শহরাঞ্চলের বিভিন্ন জনবহুল এলাকা এবং প্রান্তিক জনপদের অনেক ওষুধের দোকানের মালিক বা বিক্রয়কর্মী অল্পশিক্ষিত। অস্পষ্ট লেখা বা ওষুধের সংক্ষিপ্ত নাম লেখা ব্যবস্থাপত্র তাদের বোধগম্যতার বাইরে।

আবার একই ওষুধ কোম্পানিভেদে ভিন্ন ভিন্ন নামে বাজারজাতকরণ করা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে অনেক চিকিৎসক এবং বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে কম্পিউটারে প্রিন্ট করে ব্যবস্থাপত্র সরবরাহ করা হচ্ছে। অনেকক্ষেত্রে একজন চিকিৎসক একটানা বেশি রোগী দেখার কারণেও ব্যবস্থাপত্রে হাতের লেখা অস্পষ্ট হয়। সবমিলিয়ে ক্ষতিটা শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সকল রোগীকেই বহন করতে হয়। তাই রোগীদের সুস্থতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি অসাধু ব্যবসায়ীদের স্বার্থসিদ্ধি ঠেকাতে রোগীদের ব্যবস্থাপত্রে স্পষ্ট ও বড় অক্ষরে ওষুধের নাম ও পরামর্শ লেখার প্রতি দেশের সরকারি ও বেসরকারি সকল পর্যায়ের চিকিৎসকদের সুদৃষ্টি প্রত্যাশিত।

আবু ফারুক

বনরুপাপাড়া, সদর, বান্দরবান।তে গিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটে যাচ্ছে অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনা। অন্যদিকে অপরিকল্পিতভাবে রাস্তা তৈরি করার ফলে বৈদ্যুতিক খুঁটি, মসজিদ-মাজার পড়ছে রাস্তার মাঝে। তাছাড়া অবৈধভাবে রাস্তা দখল তো চলছে নিয়মিত, সেই সঙ্গে যেখানে সেখানে পার্ক করছে ভারি যানবাহনসহ, রিকশা-সিএনজি গণপরিবহন।

যার ফলে চার লেনের রাস্তা হয়ে গেছে দুই লেনের। এতে বাড়ছে ট্রাফিক জ্যাম এবং অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনা। ফুটপাত দখল করে আছে হকার্সরা ফলে বাধ্য হয়ে সাধারণ জনগণকে হাঁটতে হচ্ছে রাস্তার পাশ দিয়ে, ঝুঁকিপূর্ণভাবে!

আরেকটি বিষয় হচ্ছে, আমাদের দেশে রাস্তা নির্মাণের পর পিচের উপর বালি দেয়া হয়। কিন্তু যথাসময়ে সেই বালি অপসারণ করা হয় না। ফলে কিছু বালি রাস্তার পাশের ড্রেনে পতিত হয় এবং ড্রেনের পানি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যার দরুন সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় পানি জমে যায়। আর কিছু বালি পড়ে থাকে রাস্তার পাশেই এবং সেই ভেজা বালিতে হাঁটা-চলা করতে ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ জনগণকে।

এই অতীব জরুরি এবং গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাটিকে নির্মূল করতে হলে প্রশাসনকে অবশ্যই সজাগ হতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব ভঙ্গ রাস্তাগুলোকে পুনঃনির্মাণ এবং যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। সেই সঙ্গে নির্মাণের পর দেয়া বালি দ্রুত অপসারণ করতে হবে। পরিকল্পিতভাবে রাস্তা নির্মাণ করতে হবে। যেখানে সেখানে পার্কিং করার বি-দ্ধে আরো কঠোরভাবে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

মুন্সী মুহাম্মদ জুয়েল

ডিপার্টমেন্ট অব ফিলোসফি

চট্টগ্রাম কলেজ, চট্টগ্রাম