পাঁচ কার্যদিবস পর পতন শেয়ারবাজারে

আগেরদিন উত্থান হলেও গতকাল পতনে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। টানা ৫ কার্যদিবস উত্থানের পর গতকাল কিছুটা পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। এদিন উভয় শেয়ারবাজারের সব সূচক কমেছে। একই সঙ্গে কমেছে টাকার পরিমাণে লেনদেন। তবে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

গতকাল ডিএসইতে ডিএসইএক্স ৬.৬৩ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৯৭১.৬৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৩.৭৫ পয়েন্ট, ডিএসই-৩০ সূচক ৭.৩২ পয়েন্ট এবং নতুন চালু হওয়া সিডিএসইটি সূচক ২.১০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১৪৬.৪৪, ১৭২৬.৯০ ও ১০০৯.৯৮ পয়েন্টে। ডিএসইতে এদিন টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৭৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। যা আগের দিন থেকে ১১২ কোটি ১৮ লাখ টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ১৯০ কোটি ১৫ লাখ টাকার। ডিএসইতে গতকাল ৩৫৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৬৫টির বা ৪৬.৪৭ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। দর কমেছে ১৪৭টির বা ৪১.৪০ শতাংশের এবং ৪৩টি বা ১২.১১ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ২৪.৭১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ১৯৪.৮৫ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৮৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১১৯টির, কমেছে ১৩২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টির দর। গতকাল সিএসইতে ২৮ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

এদিকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ২৫টি কোম্পানি শেয়ার লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির সাড়ে ৫৮ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর ১ কোটি ৮৪ লাখ ৪৮ হাজার ৬৯২টি শেয়ার ৯২ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ৫৮ কোটি ৬৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১৭ কোটি ৮৯ লাখ ২০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে সামিট পাওয়ারের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭ কোটি ৮০ লাখ টাকার ব্যাংক এশিয়ার এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩ কোটি ৮৫ লাখ ৩৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এসকে ট্রিমসের।

এছাড়া ইয়াকিন পলিমারের ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকার, ট্রাস্ট ব্যাংকের ৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকার, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ টাকার, সী পার্লের ৩৮ লাখ ৪০ হাজার টাকার, রানার অটোমোবাইলসের ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকার, রেনেটার ৩ কোট ২৮ লাখ টাকার, ওরিয়ন ফার্মার ১২ লাখ ৩৮ হাজার টাকার, এমএল ডাইংয়ের ৪১ লাখ ৬১ হাজার টাকার, ইনটেকের ৪৩ লাখ ২১ হাজার টাকার, জিকিউ বলপেনের ১৪ লাখ ৬৭ হাজার টাকার, জেনেক্সের ১ কোটি ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকার, ফু-ওয়াং ফুডসের ১১ লাখ ১১ হাজার টাকার, ফাইন ফুডসের ৩ কোটি ৮১ লাখ ৭৩ হাজার টাকার, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের ৬৮ লাখ ৬০ হাজার টাকার, ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের ৬৬ লাখ ৭১ হাজার টাকার, সিটি ব্যাংকের ১ কোটি ১৩ লাখ টাকার, বেক্সিমকো ফার্মার ১১ লাখ ৭৯ হাজার টাকার, ব্র্যাক ব্যাংকের ১ কোটি ৮ লাখ ৮৭ হাজার টাকার, ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর ১ কোটি ১২ লাখ ৩০ হাজার টাকার, বারাকা পাওয়ারের ৮ লাখ ২৫ হাজার টাকার, এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্সের ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকার এবং আমান ফিডের ২১ লাখ ৫৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২০ মহররম ১৪৪২, ২২ ভাদ্র ১৪২৭

পাঁচ কার্যদিবস পর পতন শেয়ারবাজারে

image

আগেরদিন উত্থান হলেও গতকাল পতনে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। টানা ৫ কার্যদিবস উত্থানের পর গতকাল কিছুটা পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। এদিন উভয় শেয়ারবাজারের সব সূচক কমেছে। একই সঙ্গে কমেছে টাকার পরিমাণে লেনদেন। তবে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

গতকাল ডিএসইতে ডিএসইএক্স ৬.৬৩ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৯৭১.৬৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৩.৭৫ পয়েন্ট, ডিএসই-৩০ সূচক ৭.৩২ পয়েন্ট এবং নতুন চালু হওয়া সিডিএসইটি সূচক ২.১০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১৪৬.৪৪, ১৭২৬.৯০ ও ১০০৯.৯৮ পয়েন্টে। ডিএসইতে এদিন টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৭৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। যা আগের দিন থেকে ১১২ কোটি ১৮ লাখ টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ১৯০ কোটি ১৫ লাখ টাকার। ডিএসইতে গতকাল ৩৫৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৬৫টির বা ৪৬.৪৭ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। দর কমেছে ১৪৭টির বা ৪১.৪০ শতাংশের এবং ৪৩টি বা ১২.১১ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ২৪.৭১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ১৯৪.৮৫ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৮৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১১৯টির, কমেছে ১৩২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টির দর। গতকাল সিএসইতে ২৮ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

এদিকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ২৫টি কোম্পানি শেয়ার লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির সাড়ে ৫৮ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর ১ কোটি ৮৪ লাখ ৪৮ হাজার ৬৯২টি শেয়ার ৯২ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ৫৮ কোটি ৬৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১৭ কোটি ৮৯ লাখ ২০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে সামিট পাওয়ারের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭ কোটি ৮০ লাখ টাকার ব্যাংক এশিয়ার এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩ কোটি ৮৫ লাখ ৩৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এসকে ট্রিমসের।

এছাড়া ইয়াকিন পলিমারের ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকার, ট্রাস্ট ব্যাংকের ৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকার, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ টাকার, সী পার্লের ৩৮ লাখ ৪০ হাজার টাকার, রানার অটোমোবাইলসের ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকার, রেনেটার ৩ কোট ২৮ লাখ টাকার, ওরিয়ন ফার্মার ১২ লাখ ৩৮ হাজার টাকার, এমএল ডাইংয়ের ৪১ লাখ ৬১ হাজার টাকার, ইনটেকের ৪৩ লাখ ২১ হাজার টাকার, জিকিউ বলপেনের ১৪ লাখ ৬৭ হাজার টাকার, জেনেক্সের ১ কোটি ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকার, ফু-ওয়াং ফুডসের ১১ লাখ ১১ হাজার টাকার, ফাইন ফুডসের ৩ কোটি ৮১ লাখ ৭৩ হাজার টাকার, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের ৬৮ লাখ ৬০ হাজার টাকার, ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের ৬৬ লাখ ৭১ হাজার টাকার, সিটি ব্যাংকের ১ কোটি ১৩ লাখ টাকার, বেক্সিমকো ফার্মার ১১ লাখ ৭৯ হাজার টাকার, ব্র্যাক ব্যাংকের ১ কোটি ৮ লাখ ৮৭ হাজার টাকার, ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর ১ কোটি ১২ লাখ ৩০ হাজার টাকার, বারাকা পাওয়ারের ৮ লাখ ২৫ হাজার টাকার, এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্সের ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকার এবং আমান ফিডের ২১ লাখ ৫৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।