বন্যার পানি নামার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভাঙন

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার, মাহমুদপুর ও নাংলা এ দুইটি ইউনিয়নের মধ্যে বন্যার পানি নামার সাথে পাল্লা দিয়ে মাদারদহ নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এতে শাহীন বাজারসহ খাসিমারা-পুটিয়াপাড়া এলাকা বিলীন হবার উপক্রম। গত তিন বছর যাবত নদী ভাঙ্গনের কারণে এই দু’টি গ্রামের অনেক আবাদি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। গত সপ্তাহ থেকে মাদারদহ নদী ভাঙ্গনের মাত্রা আরও বাড়ছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রভাবশালীরা বালি উত্তোলন করায় নদীর গতিপথ পরিবর্তন হতে চলেছে। বর্তমানে মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ সড়ক এবং সড়কটিও হুমকির মুখে পড়েছে। বালি উত্তোলন বন্ধে এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি। আর মাত্র ১০-১২ হাত জায়গা নদী ভাঙলেই ঐতিহাসিক শাহীন বাজার, অত্যাধুনিক মসজিদ, মাদ্রাসা, ব্রিজ, রাস্তা এমনকি বসতি বাড়িও নদী গর্ভে বিলীন হবার সম্ভাবনা আছে। এতে মানুষ স্থবির হয়ে পড়বে। ভুক্তভোগী কৃষক শেলি মিয়া (৪৬) জানান, গত তিন বছরে শুধু আমারই সাত বিঘা আবাদি জমি, মাছের পুকুর মাদারদহ নদীতে চলে গেছে। এ বছরও ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। আমিই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। সংসদ সদস্য আলহাজ মির্জা আজম গত বছর মাদারদহ নদীর পাড়ে বেড়ি বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে শাহীন বাজারে যাতায়াতের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আমরাও দ্রুত এই বাঁধটি চাই। স্থানীয় নাংলা ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক মাফল জানান-মাদারদহ নদী ভাঙ্গনে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দ্রুত এই বাঁধটি নির্মাণের উদ্যোগ নিলে এলাকাটি রক্ষা হবে। ইউএনও তামিম আল ইয়ামীন জানান, বালি উত্তোলনের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে বাঁধ নির্মাণের বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন।

বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২০ মহররম ১৪৪২, ২২ ভাদ্র ১৪২৭

বন্যার পানি নামার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভাঙন

সামিলউল ইসলাম, মেলান্দহ (জামালপুর)

image

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার, মাহমুদপুর ও নাংলা এ দুইটি ইউনিয়নের মধ্যে বন্যার পানি নামার সাথে পাল্লা দিয়ে মাদারদহ নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এতে শাহীন বাজারসহ খাসিমারা-পুটিয়াপাড়া এলাকা বিলীন হবার উপক্রম। গত তিন বছর যাবত নদী ভাঙ্গনের কারণে এই দু’টি গ্রামের অনেক আবাদি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। গত সপ্তাহ থেকে মাদারদহ নদী ভাঙ্গনের মাত্রা আরও বাড়ছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রভাবশালীরা বালি উত্তোলন করায় নদীর গতিপথ পরিবর্তন হতে চলেছে। বর্তমানে মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ সড়ক এবং সড়কটিও হুমকির মুখে পড়েছে। বালি উত্তোলন বন্ধে এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি। আর মাত্র ১০-১২ হাত জায়গা নদী ভাঙলেই ঐতিহাসিক শাহীন বাজার, অত্যাধুনিক মসজিদ, মাদ্রাসা, ব্রিজ, রাস্তা এমনকি বসতি বাড়িও নদী গর্ভে বিলীন হবার সম্ভাবনা আছে। এতে মানুষ স্থবির হয়ে পড়বে। ভুক্তভোগী কৃষক শেলি মিয়া (৪৬) জানান, গত তিন বছরে শুধু আমারই সাত বিঘা আবাদি জমি, মাছের পুকুর মাদারদহ নদীতে চলে গেছে। এ বছরও ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। আমিই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। সংসদ সদস্য আলহাজ মির্জা আজম গত বছর মাদারদহ নদীর পাড়ে বেড়ি বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে শাহীন বাজারে যাতায়াতের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আমরাও দ্রুত এই বাঁধটি চাই। স্থানীয় নাংলা ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক মাফল জানান-মাদারদহ নদী ভাঙ্গনে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দ্রুত এই বাঁধটি নির্মাণের উদ্যোগ নিলে এলাকাটি রক্ষা হবে। ইউএনও তামিম আল ইয়ামীন জানান, বালি উত্তোলনের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে বাঁধ নির্মাণের বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন।