বেলারুশে

লুকাশেঙ্কোর নতুন নির্বাচনের ইঙ্গিত

বেলারুশে আবারও নতুন করে নির্বাচনের ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির নবাগত প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো। ইউরোপের দেশ বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো নতুন নির্বাচনের ইঙ্গিত দিয়ে অবাক করেছে দেশবাসীকে। রাশিয়ার সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো পুনরায় নির্বাচনের সম্ভাবনা খারিজ করে দেননি। তিনি বলেছেন, বোধ হয় বেশিদিন ধরে প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছে। তবে লুকাশেঙ্কো এটাও জোর দিয়ে বলেছেন, তিনি ছাড়া বেলারুশকে কেউ এখন রক্ষা করতে পারবে না। রয়টার্স। লুকাশেঙ্কো এর আগেও আরো একবার নতুন করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

রাশিয়ার সংবাদ মাধ্যমের নিকট লুকাশেঙ্কো দাবি করেন, বিক্ষোভের ফলে তার শাসনের অবসান হলে এরপর রাশিয়াও রেহাই পাবে না। তাকে সরে যেতে হলে রাশিয়ায় বিক্ষোভ শুরু হবে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লুকাশেঙ্কোর প্রধান প্রতিপক্ষ শে ভেৎলানা এক ভিডিও বার্তায় বিশ্বের দেশগুলোর কাছে অনুরোধ করেছেন, তারা যেন বেলারুশের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। শেভেৎলানা বলেছেন, ‘আমার দেশ, আমার দেশের লোক এখন আপনাদের কাছ থেকে সাহায্য পেতে চায়। কিন্তু তারপর তিনি আর সে পথে এগোননি; বরং নিরাপত্তা বাহিনীকে দিয়ে জোর করে বিক্ষোভ থামানোর চেষ্টা করেছেন। এবার লুকাশেঙ্কো বলেছে, ‘আমি আগে সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধন করতে চাই।

তারপর আবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা যেতে পারে।’ বিক্ষোভ করার সময় বিরোধী নেত্রী কোলেসনিকোভাকে অপহরণ করেছিল মুখোশধারীরা। তারা মিনস্ক থেকে কোলেসনিকোভাকে সোজা নিয়ে যায় ইউক্রেনের সীমান্তে। জোর করে তাকে বেলারুশ থেকে ইউক্রেনে পাঠানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কোলেসনিকোভা সেখানে নিজের পাসপোর্ট ছিঁড়ে ফেলে দেন। ফলে তাকে আর জোর করে ইউক্রেন পাঠানো যায়নি। কোলেসনিকোভার সঙ্গে থাকা দুই অনুগামীকে তার আগে ইউক্রেনে পাঠিয়ে দেয়া হয়। আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো ১৯৯৪ প্রথম নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় আসেন। ৪৫ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তিনি বেলারুশের নীতিকে রাশিয়ার নিকটবর্তী করে তোলেন। ১৯৯৬ এ ১৯৯ জন সংসদ সদস্য সংবিধান বিরোধিতার দায়ে লুকাশেঙ্কোর অপসারণের দাবি তোলেন জনগণ। কিন্তু লুকাশেঙ্কোকে ক্ষমতাচ্যুত করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে লুকাশেঙ্কো আবার নির্বাচনের ইঙ্গিত দিলেও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন। রাশিয়ার এক বেতার কেন্দ্রকে লুকাশেঙ্কো জানিয়েছে, ‘এ বিক্ষোভকারীদের নেতৃত্ব কে দিচ্ছেন, সেটাই তো আমি জানি না।’

বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২০ মহররম ১৪৪২, ২২ ভাদ্র ১৪২৭

বেলারুশে

লুকাশেঙ্কোর নতুন নির্বাচনের ইঙ্গিত

image

বেলারুশে আবারও নতুন করে নির্বাচনের ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির নবাগত প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো। ইউরোপের দেশ বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো নতুন নির্বাচনের ইঙ্গিত দিয়ে অবাক করেছে দেশবাসীকে। রাশিয়ার সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো পুনরায় নির্বাচনের সম্ভাবনা খারিজ করে দেননি। তিনি বলেছেন, বোধ হয় বেশিদিন ধরে প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছে। তবে লুকাশেঙ্কো এটাও জোর দিয়ে বলেছেন, তিনি ছাড়া বেলারুশকে কেউ এখন রক্ষা করতে পারবে না। রয়টার্স। লুকাশেঙ্কো এর আগেও আরো একবার নতুন করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

রাশিয়ার সংবাদ মাধ্যমের নিকট লুকাশেঙ্কো দাবি করেন, বিক্ষোভের ফলে তার শাসনের অবসান হলে এরপর রাশিয়াও রেহাই পাবে না। তাকে সরে যেতে হলে রাশিয়ায় বিক্ষোভ শুরু হবে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লুকাশেঙ্কোর প্রধান প্রতিপক্ষ শে ভেৎলানা এক ভিডিও বার্তায় বিশ্বের দেশগুলোর কাছে অনুরোধ করেছেন, তারা যেন বেলারুশের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। শেভেৎলানা বলেছেন, ‘আমার দেশ, আমার দেশের লোক এখন আপনাদের কাছ থেকে সাহায্য পেতে চায়। কিন্তু তারপর তিনি আর সে পথে এগোননি; বরং নিরাপত্তা বাহিনীকে দিয়ে জোর করে বিক্ষোভ থামানোর চেষ্টা করেছেন। এবার লুকাশেঙ্কো বলেছে, ‘আমি আগে সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধন করতে চাই।

তারপর আবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা যেতে পারে।’ বিক্ষোভ করার সময় বিরোধী নেত্রী কোলেসনিকোভাকে অপহরণ করেছিল মুখোশধারীরা। তারা মিনস্ক থেকে কোলেসনিকোভাকে সোজা নিয়ে যায় ইউক্রেনের সীমান্তে। জোর করে তাকে বেলারুশ থেকে ইউক্রেনে পাঠানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কোলেসনিকোভা সেখানে নিজের পাসপোর্ট ছিঁড়ে ফেলে দেন। ফলে তাকে আর জোর করে ইউক্রেন পাঠানো যায়নি। কোলেসনিকোভার সঙ্গে থাকা দুই অনুগামীকে তার আগে ইউক্রেনে পাঠিয়ে দেয়া হয়। আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো ১৯৯৪ প্রথম নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় আসেন। ৪৫ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তিনি বেলারুশের নীতিকে রাশিয়ার নিকটবর্তী করে তোলেন। ১৯৯৬ এ ১৯৯ জন সংসদ সদস্য সংবিধান বিরোধিতার দায়ে লুকাশেঙ্কোর অপসারণের দাবি তোলেন জনগণ। কিন্তু লুকাশেঙ্কোকে ক্ষমতাচ্যুত করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে লুকাশেঙ্কো আবার নির্বাচনের ইঙ্গিত দিলেও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন। রাশিয়ার এক বেতার কেন্দ্রকে লুকাশেঙ্কো জানিয়েছে, ‘এ বিক্ষোভকারীদের নেতৃত্ব কে দিচ্ছেন, সেটাই তো আমি জানি না।’