কিশোরগঞ্জে সর. মূল্যের দেড় গুণ দামে এলপি গ্যাস বিক্রি!

কিশোরগঞ্জে সরকারি মূল্যের প্রায় দেড়গুণ দামে প্রাইভেট কোম্পানিগুলোর এলপি গ্যাস বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা জানিয়েছেন, সরকার বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) ১২ কেজি এলপি গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম ৬শ’ টাকা নির্ধারণ করলেও কিশোরগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন প্রাইভেট কোম্পানির গ্যাস ৮৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। শহরের রথখলা ঈশাখাঁ সড়কের চাকরিজীবী মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি ১২ কেজির একটি সিলিন্ডার কিনেছেন ৮৫০ টাকায়। আবার গৌরাঙ্গবাজারের বাসিন্দা মো. রইছ উদ্দিন জানিয়েছেন, তিনি পরিচিত দোকান থেকে কিনেছেন ১২ কেজির সিলিন্ডার ৫০ টাকা কমে ৮শ’ টাকায়। কিশোরগঞ্জ শহরের অনেক এলাকায় গ্যাস লাইন যায়নি। আবার সরকার গ্যাস সংযোগ বন্ধ রাখায় শত শত পরিবার সিল্ডিারের গ্যাস ব্যবহার করে। আবার গ্রামাঞ্চলেও অনেক পরিবার এখন জ্বালানি কাঠের পরিবর্তে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করে। এর ফলে গ্যাসের বিক্রি যেমন বেড়েছে, ব্যবসায়ীদের আয়ও বেড়েছে। আবার গ্রামাঞ্চলে এলপি গ্যাস ব্যবহার করায় প্রচুর বনজ সম্পদও গৃহস্থালি জ্বালানির হাতে থেকে রক্ষা পাচ্ছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা মাত্রারিক্ত মুনাফা করার কারণে ক্রমবর্ধমান দ্রব্যমূল্যের এই বাজারে স্বল্প আয়ের পরিবারগুলো হিমশিম খাচ্ছে। এ ব্যাপারে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হৃদয় রঞ্জন বণিককে প্রশ্ন করলে বলেন, সরকার বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের গ্যাসের দাম ৬শ’ টাকা নির্ধারণ করলেও প্রাইভেট কোম্পানিগুলোর সিলিন্ডারের কোন মূল্য নির্ধারণ করেনি। তবে সপ্তাহখানেক আগে তিনি শহরের ডিলারদের সঙ্গে বসেছিলেন। তিনি সবাইকে মূল্যতালিকা দিতে বলেছেন। কত দামে কেনা হচ্ছে, আর কত দামে বিক্রি হচ্ছে, যাচাই করলেই মুনাফার অঙ্কটা বোঝা যাবে বলে তিনি জানিয়েছেন। তবে তার কাছে ডিলাররা বলেছেন, তারা ২০ টাকা থেকে ৫০ টাকা মুনাফায় একটি সিলিন্ডার বিক্রি করেন। কোম্পানি থেকে তারা একটি সিলিন্ডার ৭৫০ টাকায় কেনেন। সেই ক্ষেত্রে ৮৫০ টাকায় বিক্রি করাটা অন্যায় বলে সহকারী পরিচালন মন্তব্য করেছেন। কোন ক্রেতা লিখিত অভিযোগ দিলে তিনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।

শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২১ মহররম ১৪৪২, ২৩ ভাদ্র ১৪২৭

কিশোরগঞ্জে সর. মূল্যের দেড় গুণ দামে এলপি গ্যাস বিক্রি!

জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জে সরকারি মূল্যের প্রায় দেড়গুণ দামে প্রাইভেট কোম্পানিগুলোর এলপি গ্যাস বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা জানিয়েছেন, সরকার বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) ১২ কেজি এলপি গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম ৬শ’ টাকা নির্ধারণ করলেও কিশোরগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন প্রাইভেট কোম্পানির গ্যাস ৮৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। শহরের রথখলা ঈশাখাঁ সড়কের চাকরিজীবী মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি ১২ কেজির একটি সিলিন্ডার কিনেছেন ৮৫০ টাকায়। আবার গৌরাঙ্গবাজারের বাসিন্দা মো. রইছ উদ্দিন জানিয়েছেন, তিনি পরিচিত দোকান থেকে কিনেছেন ১২ কেজির সিলিন্ডার ৫০ টাকা কমে ৮শ’ টাকায়। কিশোরগঞ্জ শহরের অনেক এলাকায় গ্যাস লাইন যায়নি। আবার সরকার গ্যাস সংযোগ বন্ধ রাখায় শত শত পরিবার সিল্ডিারের গ্যাস ব্যবহার করে। আবার গ্রামাঞ্চলেও অনেক পরিবার এখন জ্বালানি কাঠের পরিবর্তে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করে। এর ফলে গ্যাসের বিক্রি যেমন বেড়েছে, ব্যবসায়ীদের আয়ও বেড়েছে। আবার গ্রামাঞ্চলে এলপি গ্যাস ব্যবহার করায় প্রচুর বনজ সম্পদও গৃহস্থালি জ্বালানির হাতে থেকে রক্ষা পাচ্ছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা মাত্রারিক্ত মুনাফা করার কারণে ক্রমবর্ধমান দ্রব্যমূল্যের এই বাজারে স্বল্প আয়ের পরিবারগুলো হিমশিম খাচ্ছে। এ ব্যাপারে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হৃদয় রঞ্জন বণিককে প্রশ্ন করলে বলেন, সরকার বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের গ্যাসের দাম ৬শ’ টাকা নির্ধারণ করলেও প্রাইভেট কোম্পানিগুলোর সিলিন্ডারের কোন মূল্য নির্ধারণ করেনি। তবে সপ্তাহখানেক আগে তিনি শহরের ডিলারদের সঙ্গে বসেছিলেন। তিনি সবাইকে মূল্যতালিকা দিতে বলেছেন। কত দামে কেনা হচ্ছে, আর কত দামে বিক্রি হচ্ছে, যাচাই করলেই মুনাফার অঙ্কটা বোঝা যাবে বলে তিনি জানিয়েছেন। তবে তার কাছে ডিলাররা বলেছেন, তারা ২০ টাকা থেকে ৫০ টাকা মুনাফায় একটি সিলিন্ডার বিক্রি করেন। কোম্পানি থেকে তারা একটি সিলিন্ডার ৭৫০ টাকায় কেনেন। সেই ক্ষেত্রে ৮৫০ টাকায় বিক্রি করাটা অন্যায় বলে সহকারী পরিচালন মন্তব্য করেছেন। কোন ক্রেতা লিখিত অভিযোগ দিলে তিনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।